গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু, চাঞ্চল্য ধর্মনগর পশ্চিম চন্দ্রপুর এলাকায়-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা

৪  নভেম্বর

শুক্রবার

ধর্মনগর প্রতিনিধিঃ পরিকল্পিত হত্যা না আত্মহত্যা? সাত সকালে মহিলা থানার পুলিশ ধর্মনগর পশ্চিম চন্দ্রপুর ১ নং ওয়ার্ড এলাকার এক বাড়ি থেকে সঞ্জিতা হক নামে এক গৃহবধুর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায় । 

ঘটনার বিবরণে জানা গেছে মৃতার সঞ্জিতা হক( ২০),বাবার বাড়ি ধর্মনগরের পূর্ব হুরুয়া এলাকায়। ধর্মনগর পশ্চিম চন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা হাস্কর আলী (২৫)  পিতা আব্দুল সত্তার, পেশায় গাড়ি চালক  , এর  সাথে গত দুই বছর পূর্বে বিবাহ হয় সঞ্জিতা হকের । নিহত গৃহবধু পিতার অভিযোগ বিয়ের  পর থেকে সঞ্জিতার স্বামী  তার ওপর পনের দাবি নিয়ে শারীরিক ও মানষিক অত্যাচার করতো, পাশাপাশি শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা ও তাকে নির্যাতন করতো। এনিয়ে কয়েকবার সামাজিক ভাবে গ্রামের মানুষ নিয়ে বিচার ও হয়েছে। অবশেষে গতকাল রাত আনুমানিক দুটো নাগাদ এই বেদনাদায়ক ঘটনাটি ঘটে। 

                         হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

মৃতার একটি এগারো মাসের পুত্র সন্তানও রয়েছে। মৃতার স্বামীর বক্তব্য তারা রাতে খাওদাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়েছিল,  রাত আনুমানিক দুটো নাগাদ তার ঘুম ভাঙ্গলে সে বিছানার পাশেই তার স্ত্রীর গলায় ফাস লাগানো অবস্থায় ঝুলন্ত মৃত দেহ দেখতে পায়। তবে এই ঘটনা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না মৃতার বাবার বাড়ি লোকজনরা। তারা সরাসরি অভিযোগ করে বলেছেন স্বামী সহ পরিবারের লোকজনরা পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। বর্তমানে মৃতদেহটি জেলা হাসপাতালের মর্গে রয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। ময়নাতদন্তের পর পরিবারের লোকজনদের হাতে তুলে দেওয়া হবে মৃতদেহ। মৃতার বাবার অভিযোগ অনুযায়ী মৃত গৃহবধূর স্বামীকে ধর্মনগর মহিলা থানার পুলিশ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। এখন দেখার বিষয় পুলিশী তদন্তে কি রহস্য উন্মোচন হয়। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা একমাত্র পুলিশী তদন্তে বেরিয়ে আসবে।

তবে এলাকাবাসীদের দাবি যদি আত্মহত্যাও হয় তাহলেও তার দায়ী কিন্তু স্বামী সহ শশুবাড়ির লোকজনরা হবেন কারন মৃতা গৃহবধুর উপর পণের জন্য তারা প্রতিনিয়ত নির্যাতন চালাতেন,স্বামী সহ শশুর বাড়ির লোকজনদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সকলে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu