সবুজ ত্রিপুরা
৫ নভেম্বর
শনিবার
ধর্মনগর প্রতিনিধিঃ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর সমবন্টনের অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েত সচিব ও গ্রাম সেবককে তালা ঝুলিয়ে প্রতিবাদে বসলো ঘর প্রাপকরা। দুপুর দুটো থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলে
এই প্রতিবাদ।ঘুষ নিয়ে পঞ্চায়েত সচিব,প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ব্লক ইনচার্জ ও এক অস্হায়ী কর্মচারী ঘর বন্টনে অনিয়মের অভিযোগ।ডিসিএমের হস্তক্ষেপে তালা মুক্ত সচিব ও গ্রাম সেবক।ঘটনা কদমতলা ব্লকাধীন রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে। জানা গেছে রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর বন্টনে অনিয়মের অভিযোগ চলে আসছিল বহুদিন ধরে।স্হানীয়দের অভিযোগ মোতাবেক সি লিস্টে মাত্র ৬৯ জন বেনিফিশিয়ারি সরকারি ঘর লাভ করেন। কিন্তু পাশের গ্রাম পঞ্চায়েতে অনেক বেশি পরিমাণে ঘর বন্টন করেছে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ।তাতে স্হানীয় জনগণের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হলে তাদের আশ্বস্ত করা হয়, পরবর্তীতে অর্থাৎ ডি লিস্টে তাদেরকে বেশি পরিমানে ঘর দেওয়া হবে। কিন্তু শুক্রবার স্হানীয়রা জানতে পারেন কদমতলা ব্লকের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ইনচার্জ বিশ্বজিৎ দাস,এক অস্হায়ী কর্মী মান্না শিল ও রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিব চন্দন দাস ঘুষের বিনিময়ে অনান্য গ্রাম পঞ্চায়েতে অধিক পরিমাণে ঘর দিয়ে দিয়েছেন।আর রাজনগর পঞ্চায়েতে মাত্র নয়টি সরকারি ঘর এসেছে।তখনি স্হানীয়রা একত্রিত হয়ে স্হানীয় পঞ্চায়েতে এসে দুপুর দুটো নাগাদ সচিব চন্দন দাস ও গ্রাম সেবক সিরাজ উদ্দিনকে পঞ্চায়েত অফিসের ভেতরে রেখে বাইরে থেকে তালা বন্দি করে প্রতিবাদ শুরু করেন।স্হানীয়দের দাবি, ডি লিস্টের জন্য ২৭২ জন
হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন
বেনিফিশিয়ারির জায়গায় জিও ট্রেকিং করেছিল সংশ্লিষ্ট দপ্তর।আর স্প্রতি কদমতলা ব্লক এলাকায় প্রায় এগারো শো সরকারি ঘর এসেছে।তাই তাদের নায্য ঘর বন্টন করুক সংশ্লিষ্ট দপ্তর।আর অর্থের বিনিময়ে ঘর বন্টনের অনিয়মে জড়িত প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ইনচার্জ ও পঞ্চায়েত সচিবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করুক প্রশাসন।ছাঁটাই করা হোক অস্হায়ী ঐ কর্মীকেও। অবশেষে দীর্ঘ কয়েকঘন্টা পঞ্চায়েত তালা বন্দির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান পঞ্চায়েত এক্সটেনশন অফিসার হেলাল উদ্দিন ও কদমতলা থানার পুলিশ। তাঁরা দীর্ঘক্ষণ প্রতিবাদকারী জনতাকে বুঝালেও কোন লাভ হয়। অবশেষে ঘটনাস্থলে পৌছান ধর্মনগর মহকুমার ডিসিএম।তিনি প্রতিবাদকারী জনতার সাথে আলোচনাক্রমে আশ্বস্ত করেন ও লিখিত আকারে নেন যে,তাদের দাবি গুলি
অতিসত্বর পূরনের লক্ষ্যে জেলা শাসকের গোচরে নেবেন। অবশেষে ডিসিএমের আশ্বাসে আশ্বস্ত হয়ে দীর্ঘ চার ঘন্টা পর সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ তালা মুক্ত হন সচিব ও গ্রাম সেবক।এখন দেখার বিষয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রতিবাদকারী জনতার দাবি পূরণে কতটুকু গুরুত্ব দেয়।নাকি গল্পের গরু গাছে উঠে।
0 মন্তব্যসমূহ