হাসপাতালের সরকারি গাছ নিয়ে অভিযোগ-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা

২২ নভেম্বর

মঙ্গলবার

বিশালগড় প্রতিনিধিঃ সরকারি গাছ গিলে খেলো নেতারা হাসপাতালের সরকারি গাছ গিলে খাওয়ার অভিযোগ তুললো দুই নেতার বিরুদ্ধে কমলাসাগর বিধানসভার বিধায়ক নারায়ণ চৌধুরী। 

শুধু তাই নয় তিনি বনদপ্তর এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের নিকট দাবি রাখলেন সুষ্ঠু তদন্ত করার  জন্য। যদিও এই ঘটনাকে তিনি নিন্দা জানিয়েছেন। ঘটনার বিবৱনে প্রকাশ মধুপুর হাসপাতাল সূত্রে খবর আগামী ২৪ নভেম্বর মধুপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র নতুন পাকা বাড়ি উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে। সেই পাকা বাড়ির উদ্বোধন করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা। আর সেই উদ্বোধন পর্বকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল চত্বর সাজিয়ে তুলা এবং সভাস্থল করার জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জানা যায় হাসপাতালের ভেতরের অনেক কাজ বাকি রেখেই নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে হাসপাতালেৱ নতুন পাকা বাড়ি উদ্বোধনের জন্য দৌড়ঝাপ শুরু করে দিয়েছে। আর শেষ পর্যন্ত আগামী ২৪ নভেম্বর উদ্বোধন হতে চলেছে। ইতিমধ্যে জেলা সমাহর্তা মহকুমা শাসক সহ স্বাস্থ্য দপ্তরের একাংশ অফিসারেরা সেই হাসপাতালে পরিদর্শন করে যান। এদিকে হাসপাতালে সামনে থাকা বৃহৎ আকারের পাঁচটি একাশিয়া গাছ বনদপ্তর এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে কিংবা বনদপ্তরের কোন অনুমতি ছাড়াই এলাকার প্রধান এবং নেতা হজম করে নিয়েছেন। আর সেই অভিযোগ তুললেন কমলাসাগৱ বিধানসভার বিধায়ক নারায়ণ চৌধুরী। তিনি বলেন সরকারি গাছ কি করে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান এবং যুব মোর্চার নেতা নিয়ে গেল। তিনি বলেন পাঁচটি গাছ কমপক্ষে লক্ষাধিক টাকার অধিক হবে। 

                         হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

যদি সরকারি কোষাগাড়ে সেই গাছগুলি টাকা কারোর কাছে বিক্রি করে জমা হতো তাহলে জনগণের কাজে আসতো। একজন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান হয়েও এবং যুব মোর্চার নেতা হয়েও কি করে পাঁচ-  পাঁচটি কাজ নিয়ে গেল তা নিয়ে তিনি খুব প্রকাশ করেন। পাশাপাশি সুস্থ তদন্তের  দাবি জানান। এদিকে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান রত্না সরকারের  সাথে কথা বলতে গেলে তিনি বলেন এই ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন নি এবং এলাকার বিধায়ক যে অভিযোগ তুলেছে তার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীনl এদিকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সরকারি গাছ গুলি যদিও কিছু হয়ে থাকে কিংবা মড়গ ধরে তবু সরকারি অনুমতি কিংবা বনদপ্তরে অনুমতি ছাড়া কেউ নিতে পারে না। তাহলে কি করে একজন পঞ্চায়েত প্রতিনিধি হয়েও এই কাজটা করেছে তা নিয়ে এলাকায় ছি:ছি ৱব উঠেছে। আদৌ 

কি সরকারি গাছ পঞ্চায়েত প্রধান জানা সত্ত্বেও এ ঘটনা ঘটেছে নাকি পঞ্চায়েত প্রধান আড়াল করার চেষ্টা করছে। আবার অন্যদিকে এলাকার বিধায়ক নারায়ণ চৌধুরী কেনই বা প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনবেন তা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu