ভালোবাসার অভিনয়ে ব্ল্যাকমেলিং-Sabuj Tripura

সবুজ ত্রিপুরা

২২ নভেম্বর

মঙ্গলবার

বিশালগড় প্রতিনিধিঃ  প্রথমে অভিনয় তারপর ভালোবাসা।পরবর্তী সময়ে ভালোবাসা গভীর থেকে গভীরতর। তারই মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক তাও আবার প্রেমিকার আড়ালে মোবাইলে রেকর্ড বন্দি। 

তারপর থেকে শুরু হয় ব্ল্যাকমেলিং এবং পরবর্তী সময়ে প্রতারণা করে সেই মহিলাকে সোনামুড়া একটি হোটেলে রেখে পালিয়ে যাই যুবক। পরবর্তী সময়ে স্বামীকে ছেড়ে আসা পাঁচ বছর সন্তানকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমের দ্বারস্থ এবং সেই প্রতারক প্রেমিক যুবক বাপন মিয়ার বিরুদ্ধে থানায় মামলা।ঘটনা বুধজংনগর থানার অধীন লাড্ডু চৌমুহনী এলাকায়।ঘটনার বিবরনে প্রকাশ গত সাত বছর পূর্বে জিবি বাজার এলাকার যুবতীর সাথে বিয়ে হয় লাড্ডু চৌমুহনী এলাকার এক যুবকের। বিয়ের পর কয়েক মাস সংসার ভালো ভাবে চললেও তারই মধ্যে সংসারের অশান্তি দেখা দেয়। প্রায় সময় স্বামী মদমত্ত হয়ে তার স্ত্রীর উপর আক্রমণ চালাতো। তা নিয়ে এলাকায় দফায় দফায় সালিশি সভা হয়। তারই মধ্যে তাদের সংসারে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। তারপর থেকেও সেই নির্যাতনের মাত্রা দ্বিগুণ বেড়ে যায় বলে দাবি করেন গৃহবধূ। তাদের স্বামী-স্ত্রীর ঝামেলার সময় গৃহবধূর স্বামীর বাড়ির পাশে এক যুবক প্রায় সময়ই তাদের জামেলার মধ্যে এসে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন। কিন্তু তারই মধ্যে যুবক বাপন মিয়ার সাথে সেই গৃহবধূর একটা সম্পর্ক হয়ে যায়। এদিকে গৃহবধুর অভিযোগ বাপন মিয়া তাকে ফুসলিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্বামীর সংসার ত্যাগ করে তাকে নিয়ে চম্পট দেই। 

                         হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

কিন্তু আশ্বাস দিয়েছিল তার স্বামীর সংসার ত্যাগ করলে তাকে বিবাহ করবে। কিন্তু বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বারবার সেই মহিলার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। একটা সময় সেই ভিডিওগুলি মোবাইলের রেকর্ডিং করে পরবর্তী সময়ে সেই প্রতারক যুবক-বাপন মিয়া সেই ভিডিওগুলি দেখিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেলিং করতে থাকে এবং দাবি করতে থাকে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। নতুবা তা সামাজিক মাধ্যমে ছেড়ে দেবে। একটা সময় সেই গৃহবধু তার পাঁচ বছরের সন্তানকে নিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে ।পরে তাকে একটি হোটেলে রেখে বাপন মিয়া সেখান থেকে পালিয়ে যায় জানাযায় বাপন মিয়া লাড্ডু চৌমুহনী এলাকায় ইলেকট্রিক কাজ করে থাকে। এদিকে সেই গৃহবধূ স্বামীর সংসার ত্যাগ করে সেই বাপন মিয়া নামে যুবকের আশায় হাত ধরে বর্তমানে নিশ্ব হয়ে পড়ে। পরবর্তী সময়ে সংবাদমাধ্যমের 

দ্বারস্থ হয়ে বুধজনগর থানায় প্রতারক বাপন মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এদিকে আরো গৃহবধুর অভিযোগ থেকে জানা যায় বাপন মিয়া সেই গৃহবধূকে স্বামীর ঘর থেকে এনে হোটেলে রেখে এখন অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তুতী নেয়। এখন দেখার বিষয় পুলিশ মামলা হাতে নিয়ে কি ভূমিকা গ্রহণ করে পাপন মিয়ার  বিরুদ্ধে।

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu