সবুজ ত্রিপুরা
১৯ অক্টোবর
বুধবার
পানিসাগর প্রতিনিধিঃ বিয়ের সাত মাস যেতে না যেতেই আত্মঘাতী এক গৃহবধূ।ঘটনা উওর জেলার পানিসাগর মহকুমার অন্তর্গত পুর্ব রৌয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নয়দ্রোন তিন নং ওয়ার্ডে।ঘটনার বিবরনে
যানা যায় যে,বিগত চৌদ্দই এপ্রিল ২০২২ ইং তারিখে পানিসাগর অগ্নিপাশা পাঁচ নং ওয়ার্ডে বাসিন্দা রবিন্দ্র দাস এর একুশ বর্ষিয়া কন্যা অনামিকা দাস এর সাথে সামাজিক রিতি মেনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় পানিসাগর মহকুমার পুর্ব রৌয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নয়দ্রোন তিন নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত বাবুল রঞ্জন দাস এর পুত্র বত্রিশ বর্ষিয়া গাড়ি চালক পুত্র নিখিল রঞ্জন দাস ওরফে বাপ্পন এর।বিয়ের পর থেকেই তাদের সংসার চলছিল সুন্দর ভাবেই।তবে অনামিকার শ্বাশুড়ি স্বরস্বতী দাস একটু খেটখেটে মেঝাজের হওয়াতে বিয়ের পর থেকেই শ্বাশুড়ি বৌ এর সম্পর্ক তেমন মধুর হয়ে উটেনি।এলাকায় গুন্জন শুনা যায় শ্বাশুড়ি স্বর্বস্বতী দাসের দৌড়াত্যে ছোট পুত্র বধুও ওনার পুএকে ছেড়ে নাকি দুটি সন্তান ফেলে সংসার ত্যাগী হয়ে রয়েছেন।এমনকি পরিবারের কর্তা প্রয়াত বাবুল রন্জন দাস এর আত্মহত্যা জনিত রহস্য মৃত্যু নিয়ে ও এলাকায় পরিবারিক ইন্ধনের গুজব ছরিয়ে রয়েছে।
হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন
এমতাবস্থায় গতকাল রাএিতে নিজ ঘরে নিজ স্বামীর অনুপস্থিতর সুযোগ বুঝে ফাঁসিতে আত্মহত্যা করে স্ত্রী অনামিকা।মাত্র সাত মাস পুর্বে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সুখের সংসার সাজাতে ব্যার্থ হয়ে অমানিসার করাল গ্রাসে চীর বিদায় নিতে হলো অভাগী অনামিকাকে।সেই আকস্মিক রহস্য মৃত্যুটি কোন ভাবেই মন থেকে মেনে নিতে পারছেনা মৃতার বাবার বাড়ির লোকজন।মৃতার স্বামীর দেওয়া তথ্যে জানা যায় যে,গতকাল গাড়ি চালানোর সুবাদে দুপুর দুইটা নাগাদ নিজ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় স্বামী নিখিল।বাড়িতে ফিরে রাত্রি আনুমানিক দশটা নাগাদ।দরজায় অনেক ডাকাডাকি করা সত্বেও দরজা না খোলাতে মাকে জিজ্ঞেস করলে জানতে পারে যে,বিকেল বেলা আনুমানিক তিনটে নাগাদ ঘরের দরজা বন্ধ করে অনামিকা নাকি শুয়ে রয়েছে।তাই তিনি বৌকে ডাকাডাকি করেনি।এই কথা শুনে সন্দেহ বশত স্বামী নিখিল পাশের ঘরের দেওয়াল টপকে উপরে উটে দেখতে পায় স্ত্রী অনামিকা ঘরের ছাদে শারি দিয়ে ফাসি দিয়ে ঝুলে রয়েছে।পরবর্তীতে চিৎকার চেচামেচি করে ঘরের বিতরে প্রবেশ করলেও শেষ রক্ষা করতে পারেনি।ততক্ষনে সব শেষ।দীর্ঘ প্রায় ছয় সাত ঘন্টা একটি বন্ধ ঘরে শুয়ে থাকলেও শ্বাশুরি স্বরস্বতী একটি বারের জন্যও আশপাশ এলাকার কিংবা নিজ পুএকে বিষয়টা জানানো বোদ করেনি।এই নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হচ্ছে।তড়িঘরি রাএিতেই তাকে নিয়ে আসা হয় জ্বলাবাসা প্রাথমিক হাসপাতালে।চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষনা করে।আকস্মিক মৃত্যু জনিন কারনে আইনি প্রক্রিয়া মোতাবেক মৃত দেহ নিয়ে আসাহয় পানিসাগর মহকুমা হাসপাতালের মর্গে।আজ ময়না তদন্ত শেষে মৃতদেহ তোলে দেওয়া হয় স্বামীর পরিবারের হাতে।মৃতার ভাই অভিযোগ করে জানান বোনের শেষ কৃত্য সম্পন্ন হওয়ার পর বোনের স্বামী এবং শ্বাশুরীর বিরুদ্ধে পানিসাগর
থানায় লিখিত মামলা রুজু করবে।তাদের অভিযোগ পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে নাটকীয় নাটক মন্তস্থ করে চলেছে পরিবারের লোকজন।এখন দেখার মৃতার বাড়ির অভিযোগ মুলে কি ভুমিকা গ্রহণ করে পানিসাগর থানার পুলিশ।পুলিশি তদন্তে কি রহস্য বেরিয়ে আসে।
0 মন্তব্যসমূহ