সবুজ ত্রিপুরা
২৯ অক্টোবর
শনিবার
ধর্মনগর প্রতিনিধিঃ সিপিআইএম সরকারের আমলে রাজ্যে চার হাজার সেল্ফ হেল্প গ্রুপ ছিল। বর্তমান সরকারে তা আটত্রিশ হাজারে পৌঁছেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গ্রাম স্বরাজ মিশন নিয়ে প্রতিটি গ্রামকে আনার প্রয়াস চালাচ্ছেন। নতুন প্রযুক্তির ট্রেনিং করতে হবে গ্রামীণ এলাকার জনগনকে। শিলান্যাসের সাথে সেংশন দেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। পূর্বে সরকারি অফিসে লম্বা লম্বা লাইন পরিলক্ষিত হতো। কিন্তু বর্তমান বিজেপি সরকারের আমলে সরকার মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে।তারই জলন্ত উদাহরণ হচ্ছে,প্রতি ঘরে সুশাসন। বিজেপি বিধায়করা প্রশ্ন করেন,কেন আমরা কাজ করতে পারছি না।আর বিরোধী দলের বিধায়করা অট্টালিকায় বসে সময় কাটান। বর্তমান সরকার কেন্দ্র দেয় না বলে কান্নাকাটি করে না।এডিসি তে বসে থাকা সরকার কেন্দ্রে দেয় না বলে মায়া কান্না করে। উত্তর জেলার জেলা পঞ্চায়েত রিসোর্স সেন্টারে (ডি পি আর সি) ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনে এসে এমনটাই বক্তব্য রাখলেন রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রী তথা বিদ্যুৎ মন্ত্রী ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী জিষ্ণু
হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন
দেববর্মণ। শুক্রবার সকাল এগারোটায় প্রথমে ধর্মনগর জেলা শাসকের কনফারেন্স হলে সকল আধিকারিক,বিজেপি বিধায়ক ও পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারপার্সনদের নিয়ে রিভিউ মিটিং এ মিলিত হন উপ মুখ্যমন্ত্রী। তারপর দুপুর দুটোয় ধর্মনগর মহকুমাধীন কালাছড়া ব্লকের ইছাই লালছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে জেলা পঞ্চায়েত রিসোর্স সেন্টারের ভিত্তি প্রস্তর স্হাপনে উদ্ধোধক তথা মুখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন উপ মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন, বিধায়ক বিনয় ভূষণ দাস,বিধায়িকা মলিনা দেবনাথ, ত্রিপুরা শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান টিংকু রায়,কালাছড়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান টিঙ্কু শর্মা, ত্রিপুরা সরকারের বিশেষ সচিব আই এ এস সন্দীপ রাঠোর,জেলা শাসক নাগেশ কুমার বি,গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরের মুখ্য বাস্তুকার স্বপন কুমার দাস,জেলা পরিষদের সভাধিপতি ভবতোষ দাস প্রমুখ। ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শেষে এদিনের উদ্ধোধক তথা মুখ্য অতিথি ভাষন রাখতে গিয়ে বলেন,দুই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে জেলা পঞ্চায়েত রিসোর্স সেন্টারটি। পূর্বে এই সেন্টারটির উত্তর জেলায় ছিলনা।জেলার প্রতিটি গ্রামের জনগনকে উনকোটি জেলায় গিয়ে ট্রেনিং নিতে হতো।এখন থেকে জেলা বাসী জেলা পঞ্চায়েত রিসোর্স সেন্টার থেকেই ট্রেনিং নিতে পারবেন।এই সেন্টারে ট্রেনিং হল, ল্যাব সহ অনান্য সা-সুবিধা থাকবে। তিনি বলেন, ভিত্তি প্রস্তরের সাথে সাথে সেন্টার তৈরির জন্য সেংশন দেওয়া হয়ে গেছে। তাছাড়া প্রতি ঘরে পরিশ্রুত পানীয় জল, কৃষকদের ধান ক্রয় করছে বর্তমান রাজ্য সরকার। পাশাপাশি বিদুৎ চপলতা নিয়ে উপ মুখ্যমন্ত্রী তথা বিদ্যুৎ মন্ত্রী বলেন, পূর্বতন সরকার জোড়া তালি দিয়ে এতদিন বিদুৎ পরিষেবা দিয়ে আসছিল।সকল মেশিন ছিল মান্ধাতার আমলের কমদামী।আমরা ক্ষমতায় এসে বিদুৎ দপ্তরকে আধুনিক মানে নিয়ে যাচ্ছি।আর কিছু দিনের মধ্যেই বিদুৎ চপলতা ও ভোল্টেজের
সমস্যা দূরীকরণ হয়ে যাবে। এদিকে এদিন উপস্থিত অতিথিরা ৪৮৫ জন ভাতা প্রাপকদের হাতে সেংশন পত্র তুলে দেন।তুলে দেন, প্রধান মন্ত্রী আবাস যোজনার ঘরের চেক, সেলফ হেল্প গ্রুপকে চেক, দিব্যাঙ্গদের সার্টিফিকেট,ট্রেড লাইসেন্স ইত্যাদি।সাথে জেলা পরিষদের তহবিল থেকে মোলাহই ও জারিলা ক্লাব কতৃপক্ষের হাতে খেলার সা-সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।
0 মন্তব্যসমূহ