ভারতের যুবক ফেসবুকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বাংলাদেশী মেয়েকে নিয়ে আসে ভারতে-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা

১০  অক্টোবর

সোমবার

বক্সনগর প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের চিটাগাং এর এক মেয়ের সাথে ফেসবুকে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে ত্রিপুরা রাজ্যের ১৯ বছরের যুবক আবির মজুমদারের, দীর্ঘ দেড় বছর আগে কাজ ও বিয়ের কথা বলে বাংলাদেশ থেকে উঠিয়ে নিয়ে আসে রোমা বেগম সহ আর দুটি মেয়েকে।সোনামুড়া 

মহকুমার বেজীমারা গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন নাম্বার ওয়াড এলাকায়। দীর্ঘ বহু বছর যাবত রায়তি হিসাবে বসবাস করছে সে, তার মা আয়সা বেগম মানুষের বাড়িতে  বাড়িতে কাজ করে, আর তার গুণধর ছেলে দেশে আর বিদেশের মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে পিপুল অংকের টাকা আত্মসাৎ করে নেয়। এমনি একটি ঘটনা ঘটলো বাংলাদেশের চিটাগাং এর রোমা বেগমের সাথে। ভালোবেসে বিয়ে এমনকি ভারতে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বাংলাদেশের চিটাগাং এর রুমা বেগম সহ আরো দুটি মেয়েকে রাতের অন্ধকারে তার কাটার ফাঁক দিয়ে নিয়ে আসে এই যুবক। রাতারাতি বাংলাদেশের তিন মেয়ের নামে জাল আধার কার্ড তৈরি করে ট্রেনে করে চেন্নাই চলে যায়। 

                         হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

চেন্নাই যাওয়ার পর বাংলাদেশের দুটি মেয়েকে ওই জায়গায় বিক্রি করে দেয়,এ দিকে রুমাকে বিক্রি না করে চেন্নাই যে কোন একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজে লাগায়, এমনকি দীর্ঘ দেড় বছর এই মেয়ের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। মাসের শেষে যে মাইনে পেতো সেই মাইনে আবির মজুমদার  আত্মসাৎ করে নিতো। যদিও রুমা নিজের গয়নাগাটি বিক্রি করে চেন্নাইতে একটি পার্লারের দোকান দেয়, তাতে  কুনজর ছিল আবিরের।সে পার্লারটিও বিক্রি করে পুরো টাকা আত্মসাৎ করে নেয় আবির। পরবর্তী সময় চেন্নাই থেকে রাজ্যে ফিরে আসে রুমা ও আবির। বেশ কিছুদিন সাগর মহলে রাখার পর সেখান থেকে পালিয়ে যায় আবির। আবিরের ঠিকানা খুঁজতে খুঁজতে এক সময় রুমা চলে আসে আবিরের বাড়িতে, বাড়িতে আসার পর দেখতে পায় বাড়িতে আবির ও তার মা দুজনেই পালিয়ে যায়। অবশেষে আশ্রয় নেয় রুমা নানার বাড়িতে, এমনকি কিছু দিন পর তার মা আয়েশা বেগম তাকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করে বলে এমন ওই অভিযোগ জানায় রোমা। গোটা বিষয়টি নিয়ে যখন বেজিমারা গ্রামের পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কাছে সংবাদমাধ্যম জিজ্ঞেস করে, সেখানে উঠে আসলো আরো একটি অন্য তথ্য। 

উপপ্রধানের বক্তব্য আমির মজুমদার ও তার মা আয়সা বেগম তারা ভারতীয় নাগরিক নয়। তাহলে ওরা কারা, কোথা থেকে আসলো, তাদের উদ্দেশ্য কি। যতগুলো মেয়েরা এই রাজ্যের থেকে  কিডন্যাপিং, মেয়ে চুরি হয়ে যাওয়া, মিসিং হয়ে যাওয়া, তাদের দুজনের হাত থাকতে পারে বলে অভিমত এলাকাবাসীর। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখবে কি রাজ্যের পুলিশ,এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu