সবুজ ত্রিপুরা
বুধবার
তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ ছেলেধরা গুজবে দিকে দিকে মার খাচ্ছে বহিঃ রাজ্যের একাংশ শ্রমিকেরা। রাজ্যের বেশ কিছু স্থানে ইতিমধ্যেই ছেলে ধরা গুজবের বশবর্তী হয়ে বিনা অপরাধে উত্তেজিত জনগণের হাতে উত্তম-মাধ্যম খেতে হচ্ছে নিরীহ নিরপরাধ বহিঃ রাজ্যের
একাংশ শ্রমিকদের। গোটা রাজ্যেই এখন ছেলে ধরার গুজবে আকাশ বাতাস সর্বত্র ভারি। ছোট ছোট শিশুদের অভিভাবক সহ একাংশ মানুষজনেরা এখন ছেলে ধরার গুজবে আতঙ্কগ্রস্ত।অন্যদিকে রাজধানী সহ এর আশপাশ এলাকা গুলিতে নিত্যদিন চুরি,ছিনতাই, ডাকাতির ঘটনায়ও এক প্রকার অতিষ্ঠ মানুষজন। একপ্রকার পুলিশ প্রশাসনের উপর আস্থা হারিয়ে দিকে দিকে সাধারণ মানুষজন এখন নিজেরাই ময়দানের সথেষ্ট ছেলে ধরা ও ডাকাত ধরার কাজে। এমনই এক ঘটনা মঙ্গলবার রাতে তেলিয়ামুড়ার পৃথক পৃথক দুটি স্থানে। তেলিয়ামুড়া থানা এলাকার করইলং স্কুল চৌমুহনী এলাকা
থেকে ঝাড়খণ্ডের ৩০ বছর বয়সি হীরালাল ভেংড়ে'কে এলাকার উত্তেজিত জনগণ বেধড়ক মারধোর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। যদিও এলাকা সূত্রে অভিযোগ ছেলেধরা সন্দেহে মূলত বহিঃরাজ্যের ওই যুবককে বেধড়ক মারধোর করা হয়েছে। অপরদিকে তেলিয়ামুড়া মালবতি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে নাবালক এক যুবক'কে এলাকার মানুষজন রাতের অন্ধকারে এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখে সন্দেহবশত আটক করে। যদিও এলাকাবাসীর অভিযোগ করে জানান,, তার সঙ্গে আরো দুজন ছিল, তখন এলাকাবাসীদের সন্দেহ বশত তাদের কিছু জিজ্ঞেস করতে এগিয়ে গেলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও এক নাবালক যুবককে আটক করে এলাকাবাসীরা। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরে রাতের আঁধারে চুরির ঘটনা অহরহ ঘটে চলেছে ওই এলাকায়। মূলত চোর সন্দেহে ওই যুবককে আটক করে তেলিয়ামোড়া থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয় এলাকার সচেতন নাগরিকেরা। পরবর্তীতে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ জ্ঞিজাসাবাদ চালিয়ে নাবালক যুবকটির কথাবার্তায় কোন অসংলগ্নতা না পেয়ে মঙ্গলবার রাতেই তার পরিবারের পরিজনদের খবর দিয়ে তাদের হাতে তুলে দেয়। অন্যদিকে, হীরালাল ভেংড়ে নামে করইলং স্কুল সংলগ্ন এলাকা থেকে আটক হওয়া যুবককে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে জানা গেছে ওই যুবক ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা, সে খোয়াই জেলার কোনো এক ইট ভাট্টার শ্রমিক হিসেবে কর্মরত। তবে পুলিশ তাকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে।
যাই হোক এখন দেখার বিষয় ছেলে ধরার গুজব বন্ধ করার ব্যাপারে প্রশাসন কতটুকু প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করে। কেননা কয়েকদিন পরই শারদীয়া দুর্গোৎসব, এরপর ভিলেজ কাউন্সিল নির্বাচন, তার পরপরই বিধানসভা নির্বাচন। এখন দেখার এই গুজব বন্ধের ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসন কতটুকু সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করে।
0 মন্তব্যসমূহ