সবুজ ত্রিপুরা
বুধবার
কদমতলা প্রতিনিধিঃ বত্রিশটি সরকারি শেড ঘরকে মেরামতি সহ উন্নতমানের মার্কেট বানানোর পরিকল্পনায় সিল করে দিল মহকুমা প্রশাসন।তাছাড়া ঐ শেড ঘরের অধিকাংশ দোকানিদের দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারি ভাড়া বকেয়া পড়ে রয়েছিল।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উত্তর জেলার কদমতলা ব্লকাধীন দক্ষিণ কদমতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের কদমতলা ডাক বাংলা স্তিত বত্রিশটি শেড ঘর পুরোপুরি সিল করে দেওয়া হয় ধর্মনগর মহকুমা প্রশাসনের তরফে। উল্লেখযোগ্য, কিছু দিন পূর্বে কদমতলা সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক প্রনয় দাস সকল দোকানিদের সাথে বৈঠক করে বকেয়া ভাড়া সহ মেরামতির জন্য আপাত্ত শেড ঘর গুলি ছেড়ে দেবার কথা বললে কুড়ি তারিখ দোকানিদের ঘর ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু দোকানিরা ঘর না ছাড়ায় প্রশাসনের তরফে ডিসিএম জি দেববর্মা কদমতলা থানার বিশাল পুলিশ ও টি এস আর বাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী নিয়ে শেড ঘরের সকল জিনিসপত্র বের করে সিল করে দেন। এদিকে কদমতলা ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক প্রনয় দাস জানান,ডাক বাংলা স্তিত দ্বিতল বিল্ডিং এ মোট বত্রিশটি শেড ঘর রয়েছে।
আর ঐ শেড ঘরের সকল দোকানিরা বিনা অ্যালটমেন্টে সরকারি বিল্ডিং এ ব্যবসা করে আসছিলেন।তারমধ্যে পাঁচ থেকে ছয় টি রুমে য়েগুলার দোকান পাট খোলা হলেও বাকি রুম গুলি বিভিন্ন ধরনের গোডাউন বানিয়ে রেখেছিলেন দোকানিরা। পাশাপাশি অধিকাংশ দোকানিদের সতেরো আঠারো হাজার টাকা করে রুম ভাড়া বকেয়া পড়ে রয়েছে।আর ইতিমধ্যে ঐ দ্বিতল বিল্ডিংটি মেরামতি করে একটি উন্নত মানের মার্কেটে রুপান্তরিত করা হবে তাই তাদের আপাতত রুম থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।রুম গুলি মেরামতি হয়ে গেলে তাদের নতুন ভাবে এখানেই রুম দেওয়া হবে। অপরদিকে দোকানিরা তাদের দোকান ভিটে হারিয়ে নিরুপায় হয়ে রাস্তায় বসেছে।
তাদের একটাই দাবি সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক তাদের বিকল্প ব্যবস্থা না করে তাদের উচ্ছেদ করে দিয়েছেন।এখন তারা পরিবারের পরিজন নিয়ে কোথায় যাবে।তাই তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহনের জোরালো দাবি তুলছেন উচ্ছেদ হওয়া দোকানিরা।এখন দেখার বিষয় মানবিক দৃষ্টি ভঙ্গি দিয়ে প্রশাসন অসহায় দোকানিদের বিকল্প কি ব্যবস্থা গ্রহন করে।
0 মন্তব্যসমূহ