বানিজ্য নগরী ধর্মনগর শহরের কুমোর পাড়ায় দূর্গা প্রতিমা তৈরিতে মৃত শিল্পীদের চরম ব্যস্ততা-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা

২১ সেপ্টেম্বর

বুধবার

ধর্মনগর প্রতিনিধিঃ শরৎ কাল মানেই নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা ও নদীর তীরে কাশফুলের শুভ্রতা।কাশফুল জানিয়ে দেয় মায়ের আগমনীর বার্তা।তাইতো শরৎ এর কাশফুলের মধ্য দিয়ে চারিদিকে চলছে এখন শারদোৎসবের আবহ।

আর এই আবহকে বাস্তব রূপ দিতে কুমোর পাড়ায় মৃৎশিল্পীরা চরম ব্যস্ত দশভূজা দেবী মা দুর্গা প্রতিমা তৈরিতে।প্রতিটি কুমোরপাড়ায় মৃৎশিল্পীদের দশভূজা দেবী দুর্গা প্রতিমা তৈরির যেন এক অঘোষিত প্রতিযোগিতা। মৃৎশিল্পীরা দিনরাত একাকার করে তাদের দক্ষ হাতের নিপুনতায় মৃন্ময়ী মাকে চিন্ময়ী রুপ দিতে চলেছেন।তবে বিগত দুই বছর করোনা প্রকোপে তেমন জমজমাট পূজো না হলেও এবছর দুর্গা প্রতিমা তৈরি করে বেশ মুনাফার আশায় বুক বেঁধেছেন মৃৎশিল্পীরা।যদিও কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি হলেও ক্লাব ও 

সার্বজনীন পূজা উদ্যোক্তারা মূর্তির মূল্য বৃদ্ধি করছেননা।তাই তাদের মুনাফা কম হলেও অতি সযত্নে দুর্গা প্রতিমা তৈরি করছেন মৃত শিল্পীরা।আর রাজ্যের বানিজ্য নগরী অর্থাৎ উত্তর জেলার ধর্মনগর শহরে উঁচু উঁচু দুর্গা প্রতিমা তৈরি করছেন স্হানীয় মৃতশিল্পীরা।সাথে ধর্মনগর ও পানিসাগর মহকুমার আশপাশের এলাকাগুলিতে বহু মৃৎশিল্পীরা দুর্গা প্রতিমা তৈরি করছেন।সকলেরই একি বক্তব্য, এবছর বিগত দুই বছরের তুলনায় একটু মুনাফা হবে। মৃৎশিল্পীদের বক্তব্য,মাটি,বাঁশ,খের,রং,লোহা, সুতলি, কাপড় সহ অন্যান্য সামগ্রীর অগ্নি মূল্য।কিন্তু মূর্তির দাম বৃদ্ধি হয়নি।তাই মৃৎশিল্পীদের মুনাফা আগের তুলনায় অনেকটাই কমে গেছে। অধিকাংশ মৃৎশিল্পীরা পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার, নবদ্বীপ সহ অসমের ধুবুরী, শিলচর ও রাজ্যের কারিগর দিয়ে মূর্তি তৈরি করছেন।তাদের তৈরি মূর্তি ধর্মনগর ও পানিসাগর মহকুমার বিভিন্ন এলাকাতে বিক্রি হয়ে থাকে। ধর্মনগর শহরের দক্ষিণ নয়াপাড়া এলাকার মৃৎশিল্পী দিলীপ পাল জানান, বহু কাল থেকেই উনি এই মৃৎশিল্পী পেশাকে বেছে নিয়েছিলেন এবং এই কাজের উপরই তাদের সংসার প্রতিপালন হয়ে থাকে।এবছর প্রায় পঁয়ত্রিশটি দূর্গা প্রতিমা তৈরি করছেন তিনি।তাছাড়া বহিঃ রাজ্য কোচবিহারের সাত জন এবং স্হানীয় একজন অর্থাৎ মোট আট জন কারিগর দিনরাত একাকার করে দূর্গা প্রতিমা তৈরি করে চলেছেন উপার দোকানে ।এবারে সর্বোচ্চ দেড় লক্ষ ও সর্বনিম্ন পঁচিশ হাজার টাকার দূর্গা প্রতিমা তৈরি করছেন।  অপরদিকে কৃষ্ণপুর জোর কালভার্ট এলাকার স্হানীয় রতন পাল নামে অপর এক মৃৎশিল্পী জানান,তিনি দীর্ঘ এগারো বছর 

যাবত মূর্তি নির্মাণ করে আসছেন।এবছর প্রায় কুড়িটির অধিক দূর্গা প্রতিমা তৈরি করছেন।মৃত শিল্পই তাঁর পরিবারের একমাত্র উপার্জন। অবশ্য এবছর করোনা মহামারী না থাকার ফলে লাভের অংশ দেখছেন।সরকারি ভাবে আজ অব্দি কোন সুযোগ-সুবিধা পাননি।যদি সরকার তাকে কিছুটা আর্থিকভাবে সাহায্য করতো,তাহলে তার মৃত শিল্প পেশাটাকে বাড়িয়ে আরেকটু স্বাবলম্বী হতে পারতেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu