সবুজ ত্রিপুরা
মঙ্গলবার
বক্সনগর প্রতিনিধিঃ বক্সনগর এলাকার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘূরে ঝাড়ু বিক্রি করেই কোনো রকমে সংসার পরিচালনা করেন।ঝাড়ু,রাখবেন,ঝাড়ু বলে পাড়ায় পাড়ায় উলু ছনের ঝাড়ুর বোঝা মাথায় নিয়ে বিক্রি করেন ছায়েব আলী নামে ৮৫ বছরের এক বৃদ্ধ।
ছায়েব আলীর আদি বাসস্থান এিপুরা রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চল দক্ষিণে বীর চন্দ্র মনু উপজাতি সংলগ্ন এলাকায় গাড়ো কলোনিতে। বীর চন্দ্র মনু থেকে স্থানান্তরিত হয়ে বর্তমানে বক্সনগর আর ডি ব্লকের আশাবাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েত নতুন বাজার এলাকায় স্থায়ী ভাবে বসবাস করছে। পরিবারের পাঁচ জন সদস্য রয়েছে তার মধ্যে স্ত্রী দুই ছেলে ,এক মেয়ে সঙ্গে রয়েছে নাতি। ছেলে ও মেয়েদের বিবাহ দিয়েছেন মানুষের সাহায্যের মাধ্যমে।আশাবাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতে বসবাস করার পর বি পি এল কার্ড প্রদান করেছে বাম আমলে। ছায়েব আলী বৃদ্ধ ভাতা প্রাপক, কিন্তু তিন মাস ধরে ভাতা প্রদান করছে না সরকার ভাতা না পাওয়ার কারনে সংসারের ঘানি টানতে খুবই কষ্টের শিকার হতে হচ্ছে। পাড়ায় পাড়ায় ঝাড়ু বিক্রি করে যা কিছু রোজগার হয় তা দিয়ে কায় ক্লাশে
হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন
নুন আনতে পান্তা ফুড়ায় অবস্থায় দিন গুজরান হয় । একটা ঝাড়ু এিশ টাকা বিক্রি করা হয়,দুটো একসঙে ক্রয় করিলে পঞ্চাশ টাকা , ভাগ্য ভালো হলে বেচা বিক্রি ভাল হয়, অনেক দিন আবার খারাপ ও হয়। প্রায় এিশ /পঁয়এিশ বছর যাবত ঝাড়ু বিক্রি করে আসছে। কিন্তু সবচেয়ে কঠিন ও কষ্টের শিকার হয়েছিল করুনা কালীন সময়ে।সেই মহামারীর সময়ে একমাএ আশা ও ভরসা পেয়ে ছিলেন রেশনিং ফ্রি চাউল এবং দু টাকা দরে চাউলের মাধ্যমে পরিবার পরিজন দের নিয়ে দু বেলা দু মোটো ভাতের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন মোদী সরকার। আর তা না হলে ভাতে জন্য মৃত্যু নির্ধারিত।এখন তো আগের মতো উলু ছন পাওয়া যায় না।এক কথায় দুলর্ব বস্থু হয়ে গেছে। রাজ্যের বিভিন্ন জাগায় থেকে উলুছন সংগ্রহ করে ক্রয় করিয়া নিজ বাড়ীতে এনে সেগুলোকে পরিস্কার পরিছন্ন করে প্লাসটিক বেত দিয়ে মুড়িয়ে বেধে ঝাড়ু তৈরী করা হয়।
পতিছড়ি মনু টাকারজলা জম্পুইজলা বিশ্রামগঞ্জের পাহাড়ি এলাকা থেকে ক্রয় করা হয়। হালকা পাতলা গড়ন বয়সের ভারে নুব্জ একটি লাটি ভর দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ঝাড়ু বিক্রি করছে।বাবু আমি গরিব হতে পারি কিন্তু হাত পাতবোনা পরিশ্রম ও কষ্ট করে জীবন বাচিয়ে রাখব। আর বতর্মান সরকারের নিকট আমার একটা আকুলের প্রার্থনা আমার পরিবারের পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই।
এখনো গর্তের জলই একমাএ ভরসা।আশাবাড়ী কোনো প্রত্যন্ত অঞ্চল নয় পানীয় জলের ব্যবস্থা খুব দ্রুত করে দেবার জন্য আবেদন।তার পাশাপাশি বাড়ীতে আসা যাওয়ার রাস্থাটি কাচা একটু বৃষ্টি হলে ছিদ্দতের পারাপার নেই। যেন রোয়া খেতের কর্দমাক্ত মাটি যা চলাচলের অযোগ্য।সেই রাস্থাটি ইট সইলিং করে দেবার জন্য সরকারের নিকট বিনম্র প্রার্থনা করেন।
0 মন্তব্যসমূহ