শিক্ষা দপ্তরের জারি করা নির্দেশিকা'কে জলাঞ্জলি দিয়ে গোটা তেলিয়ামুড়া জুড়ে চালিয়ে যাচ্ছেন বিদ্যা ব্যাবসার রমরমা বাণিজ্য-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা

১৩ সেপ্টেম্বর

মঙ্গলবার

তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ শিক্ষা দপ্তরের জারি করা নির্দেশিকা'কে জলাঞ্জলি দিয়ে গোটা তেলিয়ামুড়া জুড়ে চালিয়ে যাচ্ছেন বিদ্যা ব্যাবসার রমরমা বাণিজ্য। ফলে ক্ষোভে ফুঁসছে উচ্চ শিক্ষিত বেকার যারা টিউশনকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার রসদ 

খুঁজে চলছেন নিরন্তর ভাবে। তাই তেলিয়ামুড়াকে অনেকে আবার কটাক্ষ করে এখন সরকারি শিক্ষক কর্তৃক বিদ্যা ব্যাবসার মূল করিডর হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। যেখানে রাজ্য সরকারের বলিষ্ঠ সিদ্ধান্তের ফলে সরকারি শিক্ষকরা দিকে দিকে টিউশন বাণিজ্য গুটিয়ে ফেলার কথা ভাবছেন। ঠিক সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তেলিয়ামুড়ার একাংশ সরকারি শিক্ষকরা বারবার দপ্তরের নির্দেশিকাকে বৃদ্ধাঙ্গষ্ট দেখিয়ে যেমন বিদ্যা ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছেন, তেমনি বেহাল তবিয়তে নিজের 

                         হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

সরকারি চাকরিও করে চলেছে। সূত্র মারফত খবর, এরকম বেশ কয়েকজন সরকারি শিক্ষকের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ সহ অভিযান সংঘটিত করবে শিক্ষিত বেকার মহল।খবরে প্রকাশ,তেলিয়ামুড়া সরকারি ইংরেজি মাধ্যম দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষক সুশান্ত বিশ্বাস শিক্ষা দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহাশয়'কে ম্যানেজ করে তেলিয়ামুড়ার  বিভিন্ন স্থানে, বিশেষ করে করইলং শিশু বিহার এলাকার সূত্রধর বাড়িতে চুটিয়ে চালাচ্ছে বিদ্যা ব্যাবসার রমরমা বাণিজ্য। অথচ সবকিছু জেনে শুনে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহাশয়। শিক্ষিত বেকার মহলের অভিযোগ সুশান্ত স্যার উনি উনার লাল রঙ্গের গ্লেমার বাইকে চেপে শিশুবিহার এলাকার সূত্রধর বাড়িতে ব্যাচ পড়াতে আসেন। শিক্ষিত যুবকদের অভিযোগ পেয়ে কর্তব্যরত সাংবাদিকরা ওই স্থানে গেলে সুশান্ত স্যার সাংবাদিকদের দেখে রীতিমতো ভূত দেখার মতো সেই স্থান থেকে পালিয়ে বাঁচলেন।উল্লেখ্য থাকে, এই তেলিয়ামুড়া সরকারি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের শুধু সুশান্ত স্যারই নন, এই বিদ্যালয়ের আরও দু’জন শিক্ষকের বিদ্যালয় কামাই করে প্রাইভেট পড়ানোর সংবাদও পূর্বে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়েছে। এরপরও এখন পর্যন্ত ওইসব শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিন্দুমাত্র ব্যাবস্থা গ্রহণ করেনি শিক্ষা দপ্তর। অথচ রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী রতন লাল নাথ মিডিয়ার সামনে ও মাইকের সামনে 

দাঁড়িয়ে সরকারি শিক্ষকদের প্রাইভেট না পড়ানোর জন্য হুঁশিয়ারি দিলেও মন্ত্রী বাহাদুরের কোন কথাই কানে তুলছেন না অতি মুনাফা লোভী একাংশ শিক্ষকেরা।এখন দেখার বিষয় সুশান্ত বিশ্বাসের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের কত ঘন্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন শিক্ষা দপ্তর। নাকি শিক্ষা মন্ত্রীর জারি করা নির্দেশিকাকে শুঁকনো কলাপাতা বানিয়ে দিব্যি চালিয়ে যান সুশান্ত বিশ্বাসের মতো শিক্ষকেরা অবাদে বিদ্যা ব্যাবসার রমরমা বাণিজ্য।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu