সবুজ ত্রিপুরা
২ আগস্ট
মঙ্গলবার
পানিসাগর প্রতিনিধিঃ স্বামী কতৃক স্ত্রী নির্যাতনের ঘটনা আজ আর তেমন নতুন কিছু নয়।এটা যেন একটা ট্রেডিশনে পরিনত হয়ে উটেছে।তেমনি একটি ঘটনার সাক্ষি হয়ে রইল পানিসাগর মহকুমার অগ্নিপাশা এলাকা।ঘটনার বিবরনে যানা যায় যে,উওর জেলার
পানিসাগর মহকুমার অন্তর্গত অগ্নিপাশা গ্রামের মৃত সুমন্ত দাসের পুএ পেষায় শ্রমজীবী জীবন্ত দাস কান্চনপুর মহকুমার দশদা এলাকার প্রনতি বালা দাস কে সামাজিক রিতীমেনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।বিয়ের পরবর্তী দুএক বছর যেতে না যেতেই তাদের দাম্পত্য জীবনে নেমে আসে কালো মেঘের ছায়া।স্ত্রী প্রনতি সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করে বলেন ওর স্বামী মাদকাসক্ত অবস্হায় যখন তখন ওর উপর শারিরীক ও মানুষিক নির্যাতন চালাতো।এরই মধ্যে এদের সংসারে আসে একটি কন্যা সন্তান।যার বয়স বর্তমানে প্রায় এগারো বৎসর।বিগত প্রায় সাত আট বৎসর যাবৎ প্রনতির স্বামী নিকি অন্য এক মহিলার সাথে অবৈধ সম্পর্কে জরিয়ে পড়ে।এই নিয়ে প্রায় সময়ই তাদের সংসারে অশান্তি লেগেই থাকতো।
হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন
এরই অচিলায় স্বামী জীবন্ত নাকি তাকে শারিরীক ভাবে মার দোর করত।এমনকি স্বামী কতৃক যৌন নির্যাতনের স্বাীকার পর্যন্ত হতে হতো।এমনকি স্ত্রীকে নাকি প্রান নাশের হুমকি পর্যন্ত দেয় স্বামী জীবন্ত।নির্যাতনের হাত থেকে পরিএান পায় নি দুধের শিশু কন্যা সন্তানটিও।এই ধরনের যন্ত্রনায় অতিষ্ট হয়ে একটা সময় নিরুপায় হয়ে পানিসাগর থানার স্মরনাপন্ন হয় স্ত্রী প্রনতী।অভিযোগ পেয়ে পানিসাগর থানা ওদের বাড়িতে গেলেও পরিবারের লোকজনদের প্রচেষ্টায় পাশ্ববর্তী বাড়ির লোকজনদের সহয়তায় পানিসাগর পুলিশ কে স্থানীয় মাতব্বর গনের উপস্থিতিতে সমাধান করা হবে বলে ফিরিয়ে দেয়।বিগত প্রায় মাস তিনের পূর্বে এলাকার মাতব্বর গনের উপস্থিততে তাদের বাড়িতে বসে একটি মিমাংসা সভার মাধ্যমে বিষয়টি মিটমাট করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।এমতাবস্থায় পুনরায় শারিরীক
ও মানুষিক নির্যাতনের হাত থেকে পরিএান পেতে স্ত্রী প্রনতী কন্যা সন্তান সহ স্বামীর বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে পানিসাগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।এখন তিনি সঠিক বিচারের আশায় নিরবে নিভৃতে কাঁদছেন।এখন দেখার বিষয় পানিসাগর থানার পুলিশ কি ভুমিকা পালন করেন।
0 মন্তব্যসমূহ