তিলথৈ রুপচরন দ্বাদশমান বিদ্যালয়ে অচলা বস্হার স্ব-চিএ সংবাদ মাধ্যমে ক্যামেরা বন্ধি-Sabuj Tripura

 সবুজ ত্রিপুরা

১৩ আগস্ট

শনিবার

পানিসাগর প্রতিনিধিঃ উওর জেলার একের পর এক দ্বাদশমান বিদ্যালয়ের পঠন পাঠনের হাল হকিকত সহ আনুষাঙ্গিক স্ব চিএ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ফুটে উঠলেও রাজ্য শিক্ষা দপ্তর শীত ঘুমে।বিগত কয়েকদিন পুর্বে পানিসাগর দ্বাদশমান বিদ্যালয়ে 

প্রাথমিক বিভাগের অচলা বস্হার স্ব চিএ সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হবার সপ্তাহকাল যেতে না যেতেই পুনরায় উওর জেলার আরকটি বনেদি স্কুলের করুন দশা ক্যামেরা বন্ধি হল সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায়।ঘটনাটি উওর জেলার তিলথৈ রুপচরন দ্বাদশমান বিদ্যালয়ে।বিগত ১৯৪০ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্টা লাভের পর থেকে বিভিন্ন ধরনের ঘাত প্রতিঘাত সহ বহু চড়াই উৎরাই পেরিয়ে বিভিন্ন সময়ে সুনামের কৃতিত্বের খাতায় নাম লিখিয়েছে।যদিও এখনো তা থেমে নেই।গত ১০ ই আগষ্ট ছিলো স্কুলটিতে নবম ও দশম শ্রেণির স্কুলের ছাএ ছাএিদের মধ্যে স্কুল টেষ্ট পরিক্ষা।স্বভাবতই পরিক্ষায় অংশ গ্রহণে স্কুলে আসে ছাএ ছাএিরা।কিন্ত বাঁধ সাধে এখানেই,স্কুলের শ্রেনী কক্ষের তুলনায় ছাএ ছাএিদের উপস্হিতি ছিলো অত্যধিক।তাই বাধ্য হয়ে স্কুল কতৃপক্ষ পরিক্ষা 

                          হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

দিতে আসা দশম শ্রেণির ছাএ ছাএিদের পরিক্ষা বাতিল করে তাদের বাড়ি ফিরিয়ে দেয়।এই বিষয়টি অবগত করেন ছাএ ছাএিদের অভিবাবকরা।তাই বিষয়টি নিয়ে খোজ খবর করে স্বরনাপন্ন হয় স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে।ঘটনার সত্যাতা চাক্ষুষ করতে সংবাদ প্রতিনিধিগন বিদ্যালয়ে গিয়ে ছাএ ছাএিদের সাথে কথা বলে জানতে পারে আসল রহস্য।এই নিয়ে ভার প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্রীযুক্ত দেবাশীষ নাথ মহাশয়ের সাক্ষাতে বেরিয়ে আসে স্কুলটির হালহকিকতের আসল তথ্য।বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ছাএ ছাএির সংখ্যা প্রায় সাত শতাধিক।শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছে পনেরো জন।তবে পনেরো জন শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে ব্যাক্তিগত সমস্যা,সার্ভের কাজ,অবসর কালীন সময়,অসুস্থতা বিষয়ক সমস্যা নিয়ে সাত জন থাকেন গঠ হাজির।বাকি আট জন শিক্ষক শিক্ষিকা দিয়ে চলছে বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন।নবম এবং দশম শ্রেণিতে ছাএ ছাএির সংখ্যা যতাক্রমে ৯১ এবং ৮৩ জন।অথচ প্রতিটি শ্রেনী কক্ষে ছাএ ছাএিরা বসতে পারে চল্লিশ থেকে পয়তাল্লিশ জন।পরিক্ষা ব্যাতিত সময়ে ছাএ ছাএিদের গড়হাজিরের কারনে তেমনটা সমস্যা না হলেও, পরিক্ষা চলাকালীন সময়ে সমস্যা চরম রুপ ধারন করে।শ্রেনী কক্ষের পরিধির তুলনায় দ্বিগুন ছাএ ছাএি হওয়াতে দাড়িয়ে দাড়িয়ে পরিক্ষা দিতে হয়।বিদ্যালয়টিতে একটি ছাএি আবাস থাকা সত্বেও নেই কোন বাউন্ডারি ওয়াল।নেই কোন সিকিউরিটির সুব্যবস্থা। পানীয় জলের তেমনটা সমস্যা না থাকলেও সৌচালয়ে সমস্যা রয়েছে।রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে আসবাব পএের অভাব।মুলত শ্রোনীকক্ষের সল্পতার কারনে পরাশুনা বিঘ্নিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।এই নিয়ে ছাএ ছাএিরা একরাশ ক্ষোভ উগরে দেয়।অথচ 

বিষয় গুলো স্কুল পরিচালন কমিটির, পি,আর,আই,বডি সহ স্থানীয় এলাকার জনপ্রতিনিধিরা অবগত থাকা সত্বেও কারোর কোন হেলদোল নেই।এই ধরনের হালহকিকতের বিষয় গুলো স্থানীয় বিদ্যালয় পরিদর্শকের নজরে থাকা সত্বেও কোন ধরনের হস্তক্ষেপের উদ্দ্যোগ নেই।শিক্ষা মন্ত্রীর শিক্ষা বিপ্লবের জোয়ারে তলিয়ে যেতে বসেছে বহুদিনের স্বনাম ধন্য বিদ্যালয়টি।এমতাবস্থায় দিশে হারা বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা সহ অভিবাবকগন।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu