সবুজ ত্রিপুরা
২৯ আগস্ট
সোমবার
পানিসাগর প্রতিনিধিঃ আরেকবার বধূ নির্যাতনের স্বচিএ ফুটে উঠে উওর জেলার পানিসাগরে।ঘটনার বিবরনে যানা যায় যে,পানিসাগর মহকুমার অন্তর্গত পদ্মবিল এলাকার পাঁচ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা
পেষায় শ্রমজীবী পরিন্দ্র দেব নাথ মহাশয়ের কন্যা শ্যামলী দেব নাথ কে সামাজিক সম্পর্কের রীতি মেনে বিবাহ হয় রৌয়া এলাকার তিন নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুভেষ দেব নাথের পুএ পেষায় গাড়ি চালক সুজন দেব নাথের সাথে।বিয়ের পরবর্তী পাঁচ সাত মাস কাটতে না কাটতেই পরিবারে নেমে আসে সাংশারিক অশান্তি। নির্যাতিতা বধুটি জানায় ওর স্বামী অন্য এক মহিলার সাথে অবৈধ প্রনয়ে জরিয়ে পড়ে।যখন তখন ফোনে পরিবারের সকলের উপস্হিতিতে ঐ মহুলার সাথে আপওিকর কথাবার্তা বলে।ছেলের এই ধরনের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেও ওর মা,বাবা কিছু না বলে বরং ছেলেকে ইন্ধন যোগীয়ে চলে।এই নিয়ে বিগত প্রায় দুই মাস পুর্বে নির্যাতনের মাএা বৃদ্ধি পাওয়াতে সহ্য করতে না পেরে পাঁচ বছরের কন্যা সন্তান কে নিয়ে পালিয়ে এলাকার এক মাতব্বরের বাড়িতে আশ্রয় নেয়।পরবর্তীতে এলাকার মাতব্বর গনের হস্তক্ষেপে পানিসাগর থানার সহযোগীতায় প্রয়াসের মাধ্যমে মুচলেকা দিয়ে বিষয়টি মিট মাট করে পুনরায় শ্বশুর বাড়িতে পাটানো হয় গৃহবধূ কে।পরবর্তী কয়েকটা
হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন
দিন কিছুটা স্বস্তি পেলেও বিগত তিন চার দিন ধরে পুনরায় শুরু হয় মানুষিক ও দৈহিক নির্যাতন।গতকাল রাএিতে স্ত্রী শ্যামলীকে বেধরক ভাবে মার দোর করে গুরুতর জখম করে পাষণ্ড স্বামী সুজন।মাকে বাঁচাতে অবুজ সন্তানটি এগিয়ে গেলে পাষণ্ড পিতার হাত থেকে রেহাই পায়নি অবুজ কন্যা সন্তানটিও।নির্যাতিতা বধুটি পানিসাগর পুলিশকে জানায় ওর স্বামী নাকি ওকে মেরে ফেলে ঐ মহিলাকে বিয়ে করে স্ত্রী করে নিয়ে আসবে বলে জানিয়ে দেয়।গুরুতর আহত অবস্হায় বঁধু টি খবর পাটায় বাবার বাড়িতে। খবর পেয়ে ওর মা,বাবা ছুটে গিয়ে গুরুতর আহত অবস্হায় মেয়েকে নিয়ে আসে তিলথৈ হাসপাতালে।হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক গন তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত
চিকিৎসার জন্য অন্যএ পাটিয়ে দেয়।কন্যাদায় গ্রস্ত পিতা মাতা নিজ আদরের কন্যার এই নির্মম পরিস্থিতিতে বেসামাল হয়ে পড়েন।এরা নিরাশ হয়ে আহত কন্যাকে নিয়ে পুনরায় পানিসাগর থানার দারস্থ হয় এবং অভিযুক্ত জামাতার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।এখন দেখার বিষয় অসহায় নির্যাতিতা বধুটির অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে পানিসাগর থানা কি ভুমিকা গ্রহন করে।
0 মন্তব্যসমূহ