আমরা কৃষক কি করে বাঁচবো? কোথায় থাকবো-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা

১৯ জুলাই

মঙ্গলবার

তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ আমরা কৃষক কি করে বাঁচবো, কোথায় থাকবো! বনদপ্তরের যথাযোগ্য ভূমিকা পালন করছে না।একদল বন্য দাঁতাল হাতির তন্ডবে অতিষ্ঠ বছরের পর বছর ধরে গ্রামবাসীরা। বনদপ্তরের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ সাধারণ জনগণ। ঘটনা 

তেলিয়ামুড়া মহাকুমা বনদপ্তরের অধীনস্থ মহারানীপুর এলাকায়। কথায় রয়েছে, বন্যরা বনে আর শিশুরা মাতৃকোলে।আর এই দুইটির মধ্যে যদি পার্থক্য দেখা দেয় তবে অঘটন ঘটবে নিশ্চিত।যার দিতে হচ্ছে সাধারণ খেটে খাওয়া কৃষক পরিবার সহ দিনমজুর গ্রামবাসীদের। বছরের পর বছর ধরে আঠারো মুড়া পাহাড়ের পাদদেশের বিভিন্ন বনাঞ্চল কেটে ফাঁকা করে দিয়েছে বন্য দস্যুরা। বর্তমানেও তেলিয়ামুড়া মহকুমা বনদপ্তরের খামখেয়ালিপনায় পাচার হচ্ছে বনজ সম্পদ তথা মূল্যবান গাছপালা। আর তাতে করে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য হারাচ্ছে তেমনি করে বছরের পর বছর ধরে বন্য দাঁতাল হাতির দলগুলি অবাধে লোকালয়ে চলে আসছে। যার ফলে বন্য হাতির হাতিগুলি লোকালয়ে প্রবেশ করে প্রতিনিয়ত তান্ডবলীলা চালিয়ে যাচ্ছে। দিন কিংবা রাতের অন্ধকারে তান্ডব নীলায় অতিষ্ঠ সাধারণ গ্রামবাসীরা। গ্রামীন এলাকার মানুষজনেরা স্বভাবত কৃষি উপর নির্ভর করে জীবন জীবিকার নির্বাহ করে থাকে। রৌদ্র বৃষ্টি ঝরে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে খুবই পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে কৃষিকাজ করে থাকে গ্রামীন এলাকার বসবাসকারী সাধারণ জনগণ।

                          হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের এই প্রতিবেদন সেই কৃষকদের ফলানো ফসল ঘরে তোলা এবং বন্য দাঁতাল হাতির দলগুলির তান্ডবে নিমিষের মধ্যেই সর্বশান্ত হওয়া। এমনই এক ঘটনা তেলিয়ামুড়া মহকুমার বনদপ্তরের অধীন লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহারানীপুর কপালিটিলা এলাকায়। এই ঘটনা আজকের নয়, দীর্ঘ প্রায়  ১২-১৩ বছর ধরে। অন্যান্য সমস্যার কথা বাদই থাক। তবে নিত্যদিনের সমস্যার সঙ্গী যে বন্য দাঁতাল হাতির তান্ডব লীলা। আজ এই তান্ডবে ঝরঝরিতে হয়ে দিন রাত আতঙ্কের মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করে যাচ্ছে গ্রামবাসীরা। তেলিয়ামুড়া মহকুমার বনদপ্তর সঠিক কোন ভূমিকা গ্রহণ করছে না। এলাকাবাসীদের তরফ থেকে বারবার বন্য হাতির সমস্যা সমাধানের জন্য আবেদন নিবেদন জানিয়ে থাকলেও বনদপ্তর কোন ভূমিকা পালন না করাতে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীরা। তেলিয়ামুড়া মহকুমার বনদপ্তরের অধীনে,কপালি টিলা,হারাধন পাড়া,ভূমিহীন কলোনি, ডি.এম কলোনি,বড় লুঙ্গা,উত্তর কৃষ্ণপুর,মধ্য কৃষ্ণপুর, উত্তর মহারানী, চামপ্লাই, সহ বিভিন্ন এলাকায় বন্য হাতির তাণ্ডবে অতিষ্ঠ সাধারন জনজীবন। জানা গেছে, ওই সকল এলাকা গুলি জনবহুল এলাকা, প্রত্যেকটি পরিবারে কৃষির উপর নির্ভর করে জীবন জীবিকার নির্বাহ করে আসছে। ওই এলাকা গুলিতে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রয়েছে কৃষিজ জমি। আঠারো মুড়া পাহাড়ের বনাঞ্চল তেলিয়ামুড়া মহকুমার বনদপ্তরের বন কর্মীদের চরম খামখেয়ালিপনায় ফাঁকা বিস্তীর্ণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। আর যার ফলে আঠারোমুড়া পাহাড়ের বন্য হাতির দলগুলি অবাধে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। প্রসঙ্গত বন জঙ্গল ফাঁকা হওয়ার কারণে হাতি গুলির মধ্যে খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে,অভাব দেখা দিয়েছে জলের। খাদ্য এবং জলের চাহিদা মেটাতে বন্যদাঁতাল হাতির দল গুলি অবাধে লোকালয়ে চলে আসে। বিগত কয়েক বছর পূর্বে বন্য দাঁতাল হাতির তাণ্ডব কিছুটা কম থাকলেও বর্তমানে চরম আকার ধারণ করেছে লোকালয়ে এসে হাতির তাণ্ডব। হাতির তাড়ানোর জন্য বিগত কয়েক মাস পূর্বে তেলিয়ামুড়া মহকুমার বনদপ্তরের উদ্যোগে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা ব্যায় করে চেষ্টা চালানো হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক বনদপ্তরের সেই কৌশল কোন কাজে আসেনি। আর যার ফলে গ্রামীন এলাকার মানুষজনেরা হাতির তাণ্ডব থেকে পরিত্রান পাচ্ছে না। আর তাতে করে প্রতিনিয়তই বন্য হাতির দল আক্রমণ চালিয়ে ভেঙ্গে চুরমার করে দিচ্ছে ঘরবাড়ি।পাশাপাশি জমির ধান নষ্ট করে দিচ্ছে অবাধে। রবিবার তেলিয়ামুড়া বনদপ্তরের অধীন মহারানীপুর কপালিটিলা এলাকায় রবিবার রাতে বন্য হাতি তান্ডব চালায় এক গৃহস্থের বাড়িতে। তাতে ওই গৃহস্থের বসত ঘর ভেঙ্গে চুরমার করে দেয়। ক্ষতিগ্রস্ত প্রদীপ মল্লিক জানান,,, আমরা কি করে বাঁচবো। প্রতিনিয়তই হাতির আক্রমণ চালায় চাকমা ঘাটের বিভিন্ন এলাকায়। তাতে ঘরবাড়ি সহ কিছু যে ফসল নষ্ট করে দিচ্ছে হাতি। তেলিয়ামুড়া মহকুমার বনদপ্তরকে বারবার জানিয়েও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না বলে 

অভিযোগ করে জানান, সেই গৃহস্থ্য। ফোন যোগের মাধ্যমে বনদপ্তরকে হাতির বিষয়টি ওয়াকিবহাল করে থাকলেও একটি বারের জন্য খবরা খবর নিতে ওই এলাকায় যায়নি বলে অভিযোগ।এলাকাবাসীদের দাবি, হাতির আক্রমণ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য তেলিয়ামুড়া মহকুমার বনদপ্তর যেন সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu