জনজাতি গিরিবাসিদের ভাগ্যের চাকা যেই জায়গাতে সেই জায়গায় থমকে রয়েছে-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা

১২ জুলাই

মঙ্গলবার

তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ জনজাতি গিরিবাসিদের  ভাগ্যের চাকা যেই জায়গাতে  সেই জায়গায় থমকে রয়েছে। সরকারী ভাবে মৌলিক অধিকার গুলি পাওয়া থেকে বঞ্চিত। ঘটনা তেলিয়ামুড়া মহকুমা মুঙ্গিয়াকামি ব্লকের অধীনস্থ আঠারোমুড়া এডিসি ভিলেজের 

১৮ মুড়া পাহাড়ের পাদদেশে ৪৭ মাইল মনিজয় লিয়াং পাড়া এলাকায়। মনিজয় লিয়াং পাড়াতে গিয়ে ঠিক এমন এক চিত্রই ধরা পরে আমাদের কেমেরার লেন্সে। হত দরিদ্র অসহায় পরিবারের পাশে দাড়ানোর মত কেও নেই। চিকনতি রিয়াং তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অতিকষ্টের মধ্যদিয়ে বেঁচে থাকার লড়াই করে চলেছে প্রতিটা দিন। এই জীবনযুদ্ধে প্রতিটা দিন জয়ী হবার যুদ্ধ  চালিয়ে যাচ্ছেন নিত্যদিন।আর আশায় আশায় দিন গুনছে হত দরিদ্র পরিবার। নেই বয়ষ্ক ভাতা, বঞ্চিত সরকারি ঘর থেকেও । কিন্তু ভাগ্য যে তার সংগি হতে চাইছেনা কিছুতেই। আজও বয়ষ্ক ভাতা, প্রধানমন্ত্রী 

                          হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

আবাস যোজনার ঘর সহ সরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত এই জনজাতি পরিবার। পরিবারের ৫ (পাঁচ) জন সদস্যদের নিয়ে দূর্দশাগ্রস্থ ঘরে বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। তাও আবার যে কোন সময় মাথার উপর ভেঙ্গে পরার  আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে । মুংগিয়াকামি ব্লকের অধীন  আঠারোমুড়া      এডিসি ভিলাজের মনিজয় রিয়াং পাড়া  এলাকায়। এলাকাটিতে মোট ২৬  রিয়াং সপ্রদায় অংশের পরিবারের বসবাস । ওই এলাকায় বসবাসকারী প্রত্যেকটি পরিবারে জুম চাষ কিংবা লতা পাতা কুড়িয়ে এনে বিক্রি করেই সংসারে প্রতিপালক। ওই এলাকায় প্রত্যেকটি রিয়াং সম্প্রদায়ের পরিবারে মত চিকনতি রিয়াং পরিবারটিও লতাপাতা কুড়িয়ে রাস্তার পাশে বিক্রির মধ্যে দিয়ে সংসারের প্রতিপালক। এদিকে পঁচিশ বছরের বাম শাসন পেরিয়ে বিজেপি আই পি এফ টি জোটের সরকারের প্রায় সাড়ে চার বছর হতে চলছে।কিন্তু আজও  বার্ধক্য সহ সরকারি ঘর থেকে বঞ্চিত বলে জানান।ফলে জংগল থেকে সংগৃহিত লতা পাতা সহ সব্জি বিক্রি করে কোনো প্রকারে সংসারের হাল ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে ।ভগ্ন জরাজীর্ন একটি ঘরে   দিনগুজরান হচ্ছে পাঁচজনের সদস্যদের নিয়ে।বিভিন্ন সময়ে সরকারি সহযোগিতার কথা জানিয়েও আজের কাজ কিছুই হয়নি। পেয়েছে কেবলই আশ্বাস। এখন রাজ্য সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছেন বার্ধক্য ভাতা এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর 

পাওয়ার আশায় প্রহর গুনছে ৭৫ বছরে পা দিয়ে ও। তিনি জানান সরকারি সাহায্য সহযোগিতার হাত বারিয়ে দিলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কোনও রকমে খেয়ে বেচে থাকতে পাড়েন এবং রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পাড়েন। এখন দেখার বিষয় চিকনতি রিয়াং ভাগ্যের চাকা ঘুরতে কতটুকু সময় লাগে। প্রশাসন মুখ ফিরিয়ে তার দিকে কবে নাগাদ দয়া দৃষ্টি করে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu