নোংরা দুর্গন্ধে চরম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় এলাকায় সুস্থতা বিপন্নতার সম্মুখীন-Sabuj Tripura

 

 সবুজ ত্রিপুরা

২৩ জুলাই

শনিবার

পানিসাগর প্রতিনিধিঃ উত্তর ত্রিপুরা জেলার পানিসাগর মহকুমার অন্তর্গত জলাবাসা গ্রাম একটি মিশ্র জনবসতিপূর্ণ এলাকা। সংশ্লিষ্ট এলাকায় বসবাসকারী নাগরিকদের মধ্যে অধিকাংশই কৃষিজীবী এবং শ্রমজীবী। 

পার্শ্ববর্তী জনপদকে ভিত্তি করে জলাবাসা গ্রামের প্রাণকেন্দ্রেই অবস্থিত গ্রামীণ বাজার। প্রতি সপ্তাহে দুইদিন মঙ্গল এবং শুক্রবারে এখানে হাট বসে। পেকুছড়া, ভাল্লুকছড়া, ধর্মটিলধর্মটিল্লা, নয়দ্রোন, বত্রিশদ্রোন, রৌয়া, প্রভৃতি এলাকা থেকে অসংখ্য ক্রেতা সাধারণ প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করতে এই বাজারে এসে সমবেত হয়। ঋতু কালীন সবচেয়ে পাশাপাশি, মাছ শুটকি মাংস বিক্রির চাহিদা নিতান্ত কম নয়। কিন্তু সম্প্রতি জ্বলাবাসা বাজারে মাছ মাংস শুটকির পরিত্যক্ত বর্জ্য পদার্থের দুর্গন্ধে এলাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বিরাজমান। স্তূপীকৃত আবর্জনার বিষাক্ত গন্ধে সংশ্লিষ্ট এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাসকারী জনগণরা ভীষণ রকম ভাবে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। পচা উৎকট গন্ধে অনেকে বমি করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হচ্ছে। অথচ বাজারস্থান নিয়মিত পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য সপ্তাহে দুইবার মৎস্য, মাংস, শুকনো মাছ বিক্রেতাদের নিকট থেকে ত্রিশ টাকা করে আদায় করা হয়। 

                          হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

মাছ মাংস বিক্রেতাদের উদ্যোগে গঠিত যে কমিটি রয়েছে তার দায়িত্বে রয়েছেন বিরূ মালাকার। নিয়মিত চাঁদা আদায়ের বিষয়টি তিনি মুখ্যত: তদারকি করেন। এই সু তীব্র দুর্গন্ধ, স্তূপীকৃত আবর্জনা এবং অপরিচ্ছন্ন নোংরা পরিবেশকে সুস্থ সুন্দর স্বাভাবিক রাখার জন্য অত্র এলাকায় বসবাসকারী নাগরিকবৃন্দ এবং অন্যান্য স্তরে ব্যবসায়ীরা বারবার আবেদন নিবেদন জানিও সুরাহা হচ্ছেনা। জ্বলাবাসা বাজার কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সঞ্জন ব্যক্তিদের নিকট উল্লেখিত সমস্যা তুলে ধরেও কাঙ্খিত সমাধান দূর অস্ত। এই সমস্যাটি বিগত দেড় বছর ধরে উত্তরোর উত্তরোর বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বচ্ছ ভারত অভিযানের নামে মাঝেমধ্যে স্থানীয় কতিপয় নেতারা ঝাড়ু হাতে  নিয়ে পোস্টার বা ব্যানারের সামনে দাঁড়িয়ে নিজেদের ক্যামেরাবন্দি করে  শুধু অস্তিত্বের জানান দিতেই বেশি ব্যস্ত থাকেন। সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বাজার নিয়মিত জল সংযোগ পরিচ্ছন্ন করার জন্য রাজ্যের মাননীয় মন্ত্রী এনসি দেববর্মার হাত ধরে নতুন বাজার এবং একটি বড় জলের পাম্প মেশিন এর উদ্বোধনের করা হয়। উদ্বোধনের ছয় মাসের মধ্যেই তা বিকল হয়ে যায়। 

অধ্যিবধি তা সংস্কার করার কোনো উদ্যোগ নেই। এমনকি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবগত করানো সত্বেও সামান্যতম প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেই। এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণ স্থানীয় বিধায়ক মহোদয়ের যথাসময়েচিত হস্তক্ষে প প্রত্যাশা করছে। পরিস্থিতি যাতে আরো দুর্বিষহ না হয়ে উঠে, সেটাই সবাই কামনা করছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu