জ্বলাবাসা উচ্চতর মধ্যমিক বিদ্যালয়ে এই বছরে মধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক চূড়ান্ত ফলাফলে অভূতপূর্ব সাফল্য পরিলক্ষিত-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা

১৯ জুলাই

মঙ্গলবার

পানিসাগর প্রতিনিধিঃ উত্তর ত্রিপুরা জেলার পানিসাগর মহকুমার অন্তর্গত জ্বলাবাসা উচ্চতর মধ্যমিক বিদ্যালয়ে এই বছরে মধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক চূড়ান্ত ফলাফলে অভূতপূর্ব সাফল্য পরিলক্ষিত হয়েছে। 

উচ্চমাধ্যমিক কলা বিভাগে মোট ৫৮জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসেছিল। উত্তীর্ণের শতকরা হার একশো শতাংশ।প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে একচল্লিশজন ছাত্র- ছাত্রী এবং বাকি সতেরজন দ্বিতীয় বিভাগে  উত্তীর্ণ। এ বছর উচ্চমধ্যমিক পরীক্ষায় রিয়া গোস্বামী সর্বোচ্চ ৪৭৯ নম্বর পেয়েছে। তার প্রাপ্ত নম্বররের শতকরা হার ৯৫.৮%, সে যদি মোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে মাত্র এক(০১) মার্ক বেশি পেতো, তবে সে রাজ্যের সেরা তালিকায় স্থান করে নিতে পারতো। উচ্চমধ্যমিকের এই ফলাফলে সংশ্লিষ্ট এলাকার ছাত্র-অভিভাবক মহলে খুশির হাওয়া বইছে। একরাশ আনন্দের মধ্যেও ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ের শিক্ষক স্বল্পতা নিয়ে দুঃখ ব্যক্ত করেছে। বারো বছর 

                          হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

আগেই এই বিদ্যালয়টি উচ্চমাধ্যমিক স্তরে উন্নীত হয়। সেই জন্মলগ্ন থেকেই বিদ্যালয়ে "এডুকেশন" বিষয়ের জন্য স্নাতকোওর শিক্ষক নেই। যদিও এই বিষটি পড়ানোর রাজ্য সরকারের শিক্ষাদপ্তর কর্তৃক এফিলিয়েশন রয়েছে। এই স্থায়ী সমস্যাটি সমাধানের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট এলাকার বিদ্যার্থী ও অভিভাবক মন্ডলী বিদ্যালয়ের এস. এম. সি. কমিটি, স্থানীয় বিধায়ক এবং উত্তর ত্রিপুরা জেলার সহশিক্ষা অধিকর্তা সমীপে আবেদন-নিবেদন জানানো সত্বেও গ্রামীণ এলাকার এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক স্বল্পতা  দূরীকরণে আন্তরিক পদক্ষেপ বাস্তবায়িত করা হচ্ছে না। প্রায় আটশত সংখ্যক শিক্ষার্থী বিশিষ্ট এই বিদ্যালয়ে "পিউর সায়েন্সের শিক্ষক মাত্র একজন। সবেধন নীলমনি একজন বিজ্ঞান শিক্ষক দিয়ে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ের শ্রেণীপাঠ কতটুকু বিজ্ঞানসম্মতভাকে করা সম্ভব, তা সহজেই অনুমেয়। তদুপরি এই বিদ্যালয়ে কর্মরত বর্তমান শিক্ষক- শিক্ষিকামন্ডলীর ত্যাগ স্বীকারের মাধ্যমে এই বছর ১২৭ জন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ১১৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। পাশের শতকরা হার প্রায় ৮৯ শতাংশ। ০৯জন শিক্ষার্থী বছর বাছাঁও পরীক্ষায় বসতে পারবে এবং পাঁচজন শিক্ষার্থী মাত্র অনুত্তীর্ণ  হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে- জ্বলাবাসা দ্বাদশমান বিদ্যালয়ের পার্শবর্তী নয়দ্রোন, পেকুছড়া, ধর্মটিল্লা, ভাল্লুকছড়া ইতাদি এলাকা থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা এসে ভর্তি হয়। সেই দিক থেকে 

এই বিদ্যালয়টি গ্রামীণ এলাকার মধ্যস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপতিষ্ঠান। বিদ্যালয়টির শিক্ষক স্বল্পতা দূরীকরণে শিক্ষাদপ্তর অতিসত্বর কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে সংশ্লিষ্ট এলাকার ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ এবং অভিভাবকমন্তলী প্রত্যাশা ব্যক্ত করছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu