নোয়াগাঙ বাজার সেডে অনুষ্ঠিত রাজ্য সুপারি চাষি ও ব্যাবসায়ী সমিতির আহবানে এক জরুরি সভা-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা

১৯ জুলাই

মঙ্গলবার

পানিসাগর প্রতিনিধিঃ১৮ ই জুলাই,উওর জেলার পানিসাগর মহকুমার অন্তর্গত উপজাতি অধ্যুষিত নোয়াগাঙ বাজার সেডে অনুষ্ঠিত হয় সারা রাজ্য সুপারি চাষি ও ব্যাবসায়ী সমিতির আহবানে এক জরুরি সভা।এতে সভাপতিত্ব করেন রাই 

চান রাম হালাম।এছাড়াও মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন মঃমকান আলি,লাবণ্য মালাকার এবং রাজ্য কমিটির প্রেসিডেন্ট সন্জয় দাস তালুকদার মহাশয়েরা সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা।তৎসঙ্গে সভায় উপস্থিত ছিলেন গোটা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত সুপারি চাষি থেকে শুরু করে সুপারি ব্যাবসায়ীগন।আহুত সভায় উপস্থিত নেতৃত্বগন রাজ্যের রপ্তানি কৃত পন্যের মধ্যে রাবারের পরেই সুপারি রপ্তানির সমিকরন তুলে ধরেন।রাজ্য সরকার সুপারি চাষি থেকে শুরু করে সুপারি ব্যাবসায়ীদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিলেও পাশ্ববর্তী রাজ্য আসাম সরকার তাতে দ্বিমত পোষণ করেন।রাজ্য সরকার কতৃক নির্ধারিত সরকারি শুল্ক দিয়ে সুপারি ব্যাবসায়ীরা 

                          হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

রাজ্যের চুড়াইবাড়ি পেরিয়ে আসামে প্রবেশের ক্ষেএে আসাম পুলিশ সুপারি গুলিকে গাড়ি সমেত আটক করে কখনো মামলা আবার কখনোবা বাজেয়াপ্ত করার নামে হাফিজ করে নিচ্ছে।ব্যাবসায়ীরা আরও অভিযোগ করেন সুপারি গুলিকে বাজেয়াপ্ত করলেও তাদের কে কোন ধরনের সিজার লিষ্ট প্রদান করা হয়নি।ব্যাবসায়িরা প্রতিবাদ করলে সুপারি সমেত তাদের কে জেলে পুরে দেবার ভয় দেখায়।রাজ্য সরকার কতৃক ঋণ নিয়ে সুপারি চাষিগন বহু কষ্টে বাগান তৈরি করে ফসল ফলিয়ে বাজার জাত করলে বহিরাজ্যে রপ্তানিতে বাঁধা দানের ফলে সঠিক মূল্যের চাইতে অনেক কম মূল্যে বিক্রি করতে হয়।এরই ফলশ্রুতিতে চাষিরা সরকারি ঋণ যথাসময়ে মিটাতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিচ্ছে।মাঝ পথে সচ্ছল পরিবার গুলি চিরতরে হতাশাকে বরন করে নিতে বাধ্য হচ্ছে।সুপারি চাষি ও ব্যাবসায়ীগন জানান এক ধরনের অসাধু সুপারি কারবারিরা পাশ্ববর্তী রাজ্য মায়নমার থেকে বাকা পথে মিজোরাম হয়ে দামছড়া কে করিডোর বানিয়ে রাতের আঁধারে বানিজ্য কায়েম করে মাঝপথে সাধরন চাষি ও ব্যাবসায়ীদের বলিরপাঠা বানাচ্ছেন।এমনকি এরা আরও অভিযোগ করেন ঐ অস্বাধু কারবারিরাদের সাথে গোপন আঁতাত করে কোটি কোটি টাকার ভার্মিজ সুপারি চোরা চালানে দফারফা করে সঠিক সুপারি চাষি ও ব্যাবসায়ীদের হয়রানি করে চলেছন।তাই সুপারি চাষি থেকে শুরু করে ব্যাবসায়ীগন রাজ্য জোরে জাতি,ধর্ম,বর্ণ,নির্বিশেষে  সংঘবদ্ধ ভাবে সংঘটিত হয়ে জেলায় জেলায় সুপারি চাষি ও ব্যাবসায়ীগন ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহন করছেন।এদের দাবি হলো সুপারির মতো অর্থকরী ফসল চাষ ও ব্যাবসা করে রাজ্যের একটা বৃহৎ অংশের জনগন নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করে চলেছেন।তাই বর্তমান রাজ্য সরকার যেন তাদের দিকে তাকিয়ে কিছু একটা সদর্থক ভুমিকা গ্রহণ করেন।অন্যথায় এরা জেলায় জেলায় সংঘটিত হয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধে বসতেও পিছপা হবে না।এই মর্মে আজ 

রাজ্য কমিটির প্রেসিডেন্ট এর উপস্থিতিতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।নবগঠিত কমিটিতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয় রৈ ধন রাম হালাম,সহ সভাপতি মদন হালাম,সম্পাদক মঃআলাউদ্দিন,সহ সম্পাদক প্রদিপ্ত দাস এবং কোষাধ্যক্ষ হিসেবে নির্বাচিত হয় অমলেন্দু দাস।নবগঠিত কমিটির পক্ষথেকে জানানো হয় যে,আগামী কিছু দিনের মধ্যেই এরা উওর জেলার জেলা সমাহর্তার নিকট এই নিয়ে ডেপুটেশন প্রদান করবেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu