সবুজ ত্রিপুরা
২৬ জুলাই
মঙ্গলবার
বক্সনগর প্রতিনিধিঃ ব্যবসার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সোনামুড়া মহকুমার রহিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গত কিছুদিনের মধ্যেই বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে ।
জানা যায় গতকাল গভীর রাতে মোবারক হোসেন নামে এক যুবককে ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে এমনকি পূর্ব শত্রুতার জেরে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে । এমনই এক ঘটনার সাক্ষী হল গতকাল গভীর রাতে।জানা যায় গতকাল রাতে মোবারক হোসেনের পুত্রের প্রচন্ড জ্বর উঠে। সারারাত প্রচন্ড অস্থিরতা ও কান্নাকাটি করেন। ফলে ছেলের জন্য সারারাত মোবারক হোসেন এবং তার স্ত্রী রোজিনা আক্তারের ঘুম হয়নি। এদিকে মোবারক হোসেনের মা রাত আনুমানক দের টা পর্যন্ত মোবারক হোসেনের বাড়িতেই ছিলেন। মোবারক হোসেনের মার বাড়িটি একটু দূরে হওয়ায় তিনি দেড়টার পর তার নিজ ঘরে চলে যান ঘুমানোর জন্য। রাত আনুমানিক দুটার সময় মোবারক হোসেনের অসুস্থ ছেলের মাথায় জল দেওয়ার জন্য মোবারক হোসেন বাহিরে থেকে জল আনার জন্য যায়। তখন তার
হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন
স্ত্রী নিজ ঘরের খাটের উপরে তার অসুস্থ পুত্রকে কোলে নিয়ে বসে আছেন। স্বামী মোবারক হোসেনের পুত্রের জন্য ঘরে জল এনে পুনরায় আবার ঘর থেকে বাহির হয়ে একটু যেতে, হঠাৎ একটি শব্দ হয়। তখন স্ত্রী ঘর থেকে বাহির হতেই দুজন লোক দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখেন, এবং স্বামী মোবারক হোসেন চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যায়। তখন স্ত্রী মোবারক হোসেনের কাছে গিয়ে দেখেন তার পুরো মুখমণ্ডল রক্তাক্ত হয়ে আছে । তখন তিনি হতভম্ব হয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। স্বামী মোবারক হোসেনের তখন জ্ঞান ছিল। বিবাদীরা গুলি করেছে বলে তিনি তার স্ত্রীকে জানান। তখন কিছুক্ষণের মধ্যেই ধীরে ধীরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন স্বামী মোবারক। এদিকে স্ত্রীর চিৎকার চেঁচামেচি শুনে প্রতিবেশী দৌড়ে ঘটনাস্থলে আসে এবং মোবারক হোসেনের মা-বাবাও ঘটনা স্থলে এসে পৌঁছায়। তখন তড়িঘড়ি একটি গাড়ি করে মোবারক হোসেনকে প্রথমে কলমচৌড়া থানায় এবং পরে বক্সনগর সামাজিক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে আগরতলা জিবি হাসপাতালে রেফার করে দেন। বর্তমানে মোবারক হোসেন আগরতলা জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খবর লেখা পর্যন্ত জানা যায় মোবারক হোসেনের এখনো জ্ঞান ফেরেনি। মোবারক হোসেনের মুখের নিম্নাংশে গুলি লাগে।
এদিকে গুলির কাবারটি কলমচৌড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে আনে। এদিকে সোমবার সকালে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কলমচৌড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেন স্ত্রী রোজিনা আক্তার। অভিযুক্তরা হলেন মাইন উদ্দিন, মৈইন উদ্দিন, এবং আলাউদ্দিন, জানা যায় তাদের বাড়ি রহিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ২ নং ওয়ার্ড এলাকায়। এ নিয়ে গোটা রহিমপুর এলাকায় চাঞ্চল্য এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
0 মন্তব্যসমূহ