বক্সনগর এর আশাবাড়ী এলাকায় এয়ারটেল এর ফোরজি পরিষেবা খোলে না পেজ, যায় না কল, দুর্ভোগ গ্রাহকদের-Sabuj Tripura

 

 সবুজ ত্রিপুরা

২৬ জুলাই

মঙ্গলবার

বক্সনগর প্রতিনিধিঃ বক্সনগর এর আশাবাড়ী এলাকায় মোবাইল ফোন পরিষেবা দিনকে দিন অবনতি হচ্ছে। জিও এবং এয়ারটেল সবারই একই হাল। জানা যায় সোনামুড়া মহকুমার বক্সনগর ব্লকের অন্তর্গত 

আশাবাড়ী, মধ্য বক্সনগর, পশ্চিমপাড়া, দক্ষিণপাড়া, নগর সহ বেশ কয়েকটি স্থানে পরিষেবা একেবারেই বেহাল। বি এস এন এল বাদে বাকি বেসরকারি অপারেটরদের ফোরজি নেটওয়ার্ক রয়েছে এবং পরিষেবা ও চালু আছে। কিন্তু বাস্তবে নেটের ডাউনলোড স্পিড ঘোষিত স্পিডের অনেক নীচে। এই জনবহুল এলাকাগুলিতেই সিগন্যাল একেবারে দুর্বল। কল করা যায় না। অস্পষ্ট বয়েজ। নেট দুর্বলতার কারণেই পেজ খোলে না। ইত্যাদি নানাবিধ সমস্যায় নাজেহাল হচ্ছে গ্রাহকরা। জানা যায় গত কিছুদিন আগে বক্সনগর এর আশাবাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বক্সনগর নর্থ এসবি স্কুল সংলগ্ন আবু খায়ের এর বাড়িতে একটি নতুন এয়ারটেল টাওয়ার বসানো হয়। এদিকে এলাকার গ্রাহকদের অভিযোগ আগে বক্সনগর এবং রহিমপুর দুটি টাওয়ার ছিল। এই দুটি টাওয়ারের 

                          হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন


মাঝামাঝি অংশ ছিল আশাবাড়ী এলাকা। দূরত্ব প্রায় ২ কিলোমিটার । তবে তাদের অভিযোগ আগে আশাবাড়ী এলাকায় টাওয়ার না থাকার ফলে বক্সনগর এবং রহিমপুর থেকে যে টাওয়ার পাওয়া যেত তা দিয়ে চলতো। কিন্তু এখন আশাবাড়ী এলাকায় টাওয়ার বসানোর পর টাওয়ারের স্পিড বেশি না হয়ে অনেকটাই কমে গেছে বলে দাবি করছেন গ্রাহকরা। তারা বলছেন বক্সনগর, রহিমপুর, বাজার গুলিতে পরিষেবার মান সঠিক মানদণ্ডের ধারে কাছে নেই। আশাবাড়ী এলাকায় টাওয়ার বসানোর পর থেকে এয়ারটেল এবং জিওর পরিষেবা ভীশন রকম খারাপ হয়ে আছে। যেখানে ফোরজির ডাউনলোড স্পিড কমপক্ষে গড়ে ৪-৫ মেগাবাইট প্রতি সেকেন্ডে পাবার কথা সেখানে ১০০ - ২০০ কেবির বেশি পাওয়া যাচ্ছে না। আবার প্রায় সময় পেজ আটকে থাকছে। এহেন যন্ত্রনাদায়ক পরিষেবার হাল ফেরাতে নজর নেই টেলিকম সংস্থাগুলির । আশাবাড়ী এলাকার গ্রাহকদের অভিযোগ জিও এবং এয়ারটেল নতুন টাওয়ার বসানোর পর থেকেই এমন ধরনের ঘটনা ঘটছে। দূরবর্তী টাওয়ারগুলি থেকে ফোনে সিগন্যাল ধরা পড়লেও তা খুবই দুর্বল। মাস ফুরোতেই রিচার্জ করতে হয়। কিন্তু পরিষেবার কোন নাম গন্ধ নেই। প্রায় সময় এয়ারটেলের মত প্রথম সারির টেলিকম অপারেটরদের সিগন্যাল উধাও হয়ে যায়। না কথা বলা যায়,  না সোশ্যাল মিডিয়ার পেজ দেখা যায়। এদিকে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী যারা প্রতিনিয়ত অনলাইন ক্লাস থেকে শুরু করে, বিভিন্ন অনলাইনে পড়াশোনা করেন, এমনকি সাংবাদিক প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিগণ সাধারণ মানুষ সবাইকে এই এয়ারটেল টাওয়ার এর উপর ক্ষোভ লক্ষ্য করা যায়। এলাকার সবার অভিমত যাই হোক অনেক জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে আশাবাড়ী এলাকায় এয়ারটেল এর মত প্রথম সারির টাওয়ার পেয়ে অনেক আনন্দিত। কিন্তু ফোরজি টাওয়ার বসানোর পর গ্রাহকদের মধ্যে স্মার্টফোনের ব্যবহার খুব দ্রুত হারে বেড়েছে এলাকায়। সেই সঙ্গে বেড়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাত্রাও। মূলত ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়ার গ্রাহকরা যুক্ত হয়ে যাওয়ার কারণে নেটের ব্যবহার দ্রুত বেড়েছে। কিন্তু নেট পরিষেবা নিয়ে আশাবাড়ী এলাকার গ্রাহকদের মধ্যে জমেছে চাপা ক্ষোভ। এদিকে ঝড় বৃষ্টি হলে পরিষেবা আরো বেহাল হয়ে পড়ে। অভিযোগ জানানোর কোন জায়গা নেই। কাস্টমার কেয়ার সেন্টার নেই। ফোনে অভিযোগ জানানো না জানানো মূল্যহীন। কার্যত টেলিকম সংস্থাগুলি যে যার মত করে চলছে। জিও বাজারে আসার পর গ্রাহকরা মনে করেছিলেন স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা হবে। তাতে বাড়বে পরিষেবার মানও। কিন্তু খোদ জিওর পরিষেবা আরো অসন্তোষজনক। কদম মিলিয়ে চলছে অন্য সংস্থাগুলিও। 

অনেকেই পোটিং করে সংস্থা বদল করেছেন ভালো পরিষেবা পাবার আশায়, কিন্তু কোথাও যন্ত্রণা মুক্তির সুযোগ নেই। এদিকে আশাবাড়ী এলাকার গ্রাহকরা  দাবি করছেন অতি শিগগিরই যাতে এই এয়ারটেল টাওয়ার এর সমস্যা সমাধান করেন। এদিকে তাকিয়ে আছে গ্রাহকরা। এখন দেখার বিষয় টেলিকম সংস্থাগুলি এর দিকে নজর দেয় কিনা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu