পুরানো রাস্তার মাঝখানে পড়লো বেড়া, দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হল বাক বিতন্ড-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা

১৩ জুলাই

বুধবার

বক্সেনগর প্রতিনিধিঃ জানা যায় মেলাঘর মিউনিসিপ্যালি কর্পোরেশন এর ৯ নাম্বার ওয়ার্ড এর ১৪ পরিবারের অভিযোগ ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দা মনোরঞ্জন দাস নামে এক  (শিক্ষক) হঠাৎ করে রাস্তার মাঝখান দিয়ে টিনের বেড়া দিয়ে দেয়। তাতে 

তিন মাস ধরে চলাচল করতে অসুবিধা পড়েন ১৪ পরিবার লোকজন। এ দিকে ১৪ পরিবারের অভিযোগ ৩ মাস ধরে চলাচল করতে খুবই অসুবিধে হচ্ছে তাদের । তাই এক সালিশি সবার মধ্যমে আপাতত বাড়িতে আসা যাওয়ার রাস্তা করেদেন। বাইক এমনকি গাড়ি নিয়ে আসা-যাওয়া করা সম্ভব হচ্ছে না তাদের। তাদের আরো অভিযোগ তিন মাস ধরে রাস্তার কোন সুরাহা মিলছে না। তারা দাবি করেন অবিলম্বে যাতে তাদের রাস্তার সমস্যার সমাধান হোক। এদিকে পাল্টা অভিযোগ চৌদ্দ পরিবারের। তাদের অভিযোগ এই রাস্তাটি প্রায় ২০০ বছর পুরনো রাস্তা, এই রাস্তা দিয়ে তাদের বাপ-দাদার পূর্বপুরুষ চলাফেরা করেছিল। কিন্তু হঠাৎ করে মনোরঞ্জন মাস্টার মাঝখানে দিয়ে টিনের বেড়া দিয়ে দেন। 

                          হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

যার ফলে ও ১৪ পরিবারের লোকজন বিকল্প কোন রাস্তা না থাকার ফলে তাতে চলাফেরা করার ক্ষেত্রে বিরাট সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় এবং এ বিষয়ে একটা গ্রামীন আলোচনা সভা হয়েছিল ওই সবার পর থেকে মনোরঞ্জন মাস্টার মহাশয় যে টিনের বেড়া রাস্তার মাঝখানে দিয়েছিলেন সেটাকে কিছুটা খুলে দেওয়া হয় যাতে আপাতত লোকজন চলাফেরা করতে পারে সে ব্যবস্থা করে দেন। কিন্তু বাইক বাইসাইকেল বা গাড়ি চলার মতন কোনো পরিবেশ না থাকার ফলে ১৪ পরিবার বিরাট সমস‍্যায় পড়ে যান। তাছাড়া এই ১৪ পরিবারের লোকজন জানতেন এই রাস্তাটি সরকারি রাস্তা তাই তারাও বা তাদের বংশের লোকজন বিকল্প কোন রাস্তার ব্যবস্থা করেন নি। কেননা যেহেতু ২০০ বছর পুরনো সে রাস্তাটি রয়েছে সুতরাং বিকল্প কোন রাস্তার ব্যবস্থা আর প্রশ্নই আসে না। কিন্তু অন্যদিকে টিনের বেড়া অর্থাৎ জমির মালিক মনোরঞ্জন মাস্টার সরকারি আমিন এনে যখন তিনি বাড়িঘরের সীমানা মাপতে যান তখন তিনি দেখেন এ রাস্তা পর্যন্ত তার দখলে রয়েছে প্রমাণ সহকারে। তিনি ডিমারগেশন করেন এবং তার কাছে এইচডিএম ভেরিফাই করা কাগজ রয়েছে। মনোরঞ্জন মাস্টার এই চৌদ্দ পরিবারের জন্য রাস্তা দিতে প্রস্তুত কিন্তু পুরানো যে রাস্তাটি তার সীমানার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে সে রাস্তাটি দিতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন এ রাস্তা বাদ দিয়ে অন্য জায়গা দিয়ে মনোরঞ্জন মাস্টার সাহেব তার অন্য জায়গা দেখিয়ে দেন রাস্তা করার জন্য। কিন্তু সেখানেও বিরাট সমস্যা হয়ে দাঁড়ালো। মনোরঞ্জন মাস্টার সাহেব অন্য জায়গা দিয়ে রাস্তা দিলেও তার জায়গা বিহীন আরেকজনের বাড়ির উপর দিয়ে রাস্তা করতে হয় যার ফলে ওই বাড়ির মালিক রাস্তা দিতে অস্বীকার করে। ১৪ পরিবারের অভিযোগ ২০০ বছর পুরনো রাস্তাটি আগে থেকে যদি জানত এই রাস্তাটি মনোরঞ্জন মাস্টারের দখলে রয়েছে। তাহলে তারা আগে থেকেই বিকল্প রাস্তা তৈরি করার ব্যবস্থা নিতো কিন্তু বর্তমানে ঘনবসতি হওয়ার ফলে বিকল্প রাস্তা করার কোন তাদের 

কাছে কোন ব্যবস্থা নেই। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল বিকল্প রাস্তার কোনো ব্যবস্থা না হওয়ার ফলে এবং রাস্তাটির সমস্যার সমাধান না করে হঠাৎ করে মনোরঞ্জন কারো সঙ্গে কোন কথা না বলে টিনের বেড়া দিয়ে দেন। এখন ওই ১৪ পরিবারের লোকজন দাবি করেন তারা যে পুরনো রাস্তা রয়েছে সে পুনরায় রাস্তা ফিরে পাওয়ার জন্য আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu