ভালোবাসার টানে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এক নাবালিকা কন্যা-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা

১৮ জুলাই

সোমবার

বক্সনগর প্রতিনিধিঃ জানা যায় রাজিয়া সুলতানা রিয়া ১৫ বছরের এক নাবালিকা কন্যা গত ১৩- ৭- ২০২২ ইং রোজ বুধবার বিকাল আনুমানিক ৪ ঘটিকার সময় বাড়ির লোকজনকে কোন কিছু না 

বলে আচমকা বাড়ি থেকে চলে যায়। পরে সন্ধ্যা হওয়ায় বাড়িতে না আশায়, আত্মীয়-স্বজন এর বাড়ি থেকে শুরু করে সর্বত্র জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। খোঁজা খুঁজি করার পর কোন সন্ধান না পাওয়ায় বাংলাদেশের কসবা থানায় নিখুঁজ ডায়েরি করেন রাজিয়া সুলতানা রিয়ার পরিবার। জিডি নম্বর ৬৮৭। উল্লেখ্য ১৩- ৭- ২০২২ ইং রোজ বুধবার রাতে সোনামুড়া মহকুমার কলমচৌড়া থানা এলাকার রহিমপুর এর গৌরাঙ্গলা এলাকায় দিয়ে রাজিয়া সুলতানা রিয়া তারকাটা বেড়া টপকে ভারতে চলে আসেন। রহিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ নং ওয়ার্ড এলাকার হানিফ মিয়ার পুত্র শাকিল মিয়ার সাথে দীর্ঘদিন ধরে ভালবাসার সম্পর্ক রয়েছে। এই ভালোবাসার সম্পর্কের জের ধরে শাকিল মিয়া বুধবার রাতে কাঁটাতারের বেড়া ছিদ্র করে রহিমপুর গৌরাঙ্গলা সীমান্ত দিয়ে  ভারতে নিয়ে আসেন। ভারতে নিয়ে এসে মধ্য বক্সনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সোবান মিয়ার বাড়িতে নিয়ে আসেন। সুবান মিয়ার বাড়িতে  নিয়ে এসে বৃহস্পতিবার মুসলিম সম্প্রদায়ের রীতিনীতি অনুসারে বিয়ে সম্পূর্ণ করেন তারা। জানা যায় সোবান মিয়ার মেয়ের 

                          হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

ভাসুরের ছেলে শাকিল মিয়া, এর সূত্র ধরে শাকিল মিয়া সোবান মিঞার বাড়িতে নিয়ে আসেন, এদিকে বাড়ির মালিক সোবান মিয়া তিনি বলেন এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না।  এই ছেলে আমার দূর সম্পর্কের আত্মীয় লাগে তাই এসেছে আমি আশ্রয় দিয়েছি। আপনি আসলেও আমি আশ্রয় দেব এমনটাই ব্যক্ত করেন বাড়ির মালিক সোবান মিয়া। এদিকে বাংলাদেশ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আশাবাড়ী বিএসএফ কমান্ডডি কমান্ডেন্টের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন মেয়েটিকে উদ্ধার করে দেওয়ার জন্য। বিএসএফের তরফ থেকে খবর দেওয়া হয় কলমচৌড়া থানায়। এদিকে কলমচৌড়া থানার পুলিশের কাছে খবর আসে মেয়েটি মধ্য বক্সনগর এলাকার সোবান মিয়ার বাড়িতে রয়েছেন। তখন তড়িঘড়ি কলমচৌড়া থানার পুলিশ রবিবার দুপুর এক ঘটিকার সময় সোবান মিয়ার বাড়িতে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে শাকিল মিয়ান নামে এক যুবক তাকে ফুসলিয়ে বাংলাদেশ গৌরাঙ্গলা এলাকা থেকে কাঁটাতারের বেড়া টপকে ভারতে নিয়ে আসেন। এনে তাকে ফুসলিয়ে বিয়ে ও করে নেন। জানা যায় শাকিল মিয়া চোরা কারবারের সাথে জড়িত রয়েছেন। গাঁজা ,ইয়াবা, ফেনসিডিল সহ বিভিন্ন চোরা কারবারের সাথে জড়িত রয়েছেন শাকিল মিয়া। এই কারণে ১৫ বছরের এক নাবালিকা কন্যাকে কাঁটাতারের বেড়া টপকে ভারতে নিয়ে আসেন। এদিকেই মেয়ের পরিবার জানতে পারেন মধ্য বক্সনগর এলাকার সুবহান মিয়ার বাড়িতে রয়েছেন, এমন খবর পেয়ে তাকে ফিরিয়ে আনতে বেপরুয়া হয়ে ওঠেন তার মা সহ গোটা পরিবার। কিন্তু মেয়ের বৈধ কাগজপত্র না থাকায় সমস্যায় পরে যান। এদিকে পুলিশ প্রশাসন এবং সাংবাদিকদের তরফ থেকে শাকিল মিয়ার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার সাথে কোন যোগাযোগ করা যায়নি ।

এদিকে রবিবার আশা বাড়ি বিওপির কমান্ডি কমান্ড্যান্ট এর হস্তক্ষেপে বাংলাদেশের বিজেবির হাতে তুলে দেওয়া হয়। আশাবাড়ি বিওপির কমান্ডিং অফিসার জানান ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বেআইনি পাচার বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স। যেকোনো মূল্যে মহিলা ও নাবালিকা পাচারের মতো ঘটনা তারা আটকাবেন ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu