সবুজ ত্রিপুরা
১৮ জুন
শানিবার
তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ তেলিয়ামুড়া মহকুমা বনদপ্তরের অধীন চাকমাঘাট এলাকার হারাধন দাস পাড়ার শান্তি লুঙ্গার গভীর জঙ্গলে একটি পুকুরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার হলো একটি মৃত হাতী শাবকের।
হাতী শাবকের মৃত্যুকে নিয়ে শুভবুদ্ধি মহলে বনদপ্তরের প্রতি সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই গোটা তেলিয়ামুড়া জুড়ে ।ঘটনায় জানা যায়, শনিবার সকালে স্থানীয় এলাকার এক যুবক গরু চরাতে এলে ওই পুকুরে ভাসমান অবস্থায় একটি মৃত হাতী শাবককে দেখতে পায়। খবর দেয় অন্যান্য এলাকাবাসীদেরও।
হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন
এলাকাবাসীরা ঘটনা প্রত্যক্ষ করে ফোন যুগে তেলিয়ামুড়া মহকুমা বনদপ্তরের এস.ডি.এফ.ও সাবির কান্তি দাস'কে জানানোর চেষ্টা করে। বার বার ফোন করা শর্তেও এলাকাবাসীর ফোন কলটি রিসিভ করার প্রয়োজন টুকু মনে করেননি এস.ডি.এফ.ও বাবু। পরবর্তী সময়ে এলাকাবাসীরা জেলা বন আধিকারিক'কে ঘটনা স্ব-বিস্তারে বললে ঘটনাস্থলে কাল বিলম্ব না করে বন দপ্তরের কর্মীদের পাঠানো হয়। বনদপ্তরের কর্মীরা ঘটনা স্থলে গিয়ে হাতী শাবকটির মৃত্যুর সত্যতা পায় এই হাতী শাবকের মৃত্যুর ব্যাপারে মহকুমা বন আধিকারিক সাবীর কান্তি দাসের কাছে জানতে চাইলে উনি কোনো প্রকার সহায়তা করেনি সাংবাদিকদের। উল্টো উনার দপ্তরে গিয়ে হাতী শাবকের মৃত্যুর কারন সম্পর্কে বক্তব্য নিতে সাংবাদিকদের পরামর্শ দেন। এদিকে এলাকাবাসীরা জানায়, হাতির শাবকের মৃত্যু আনুমানিক ২-৩ দিন হতে পারে। এবং এক সপ্তাহের ভিতরে হাতির শাবকের জন্ম হয়েছে এমনই ধারণা এলাকাবাসীদের। এই দুর্বল হাতি শাবকটির জল খেতে এসে তার মৃত্যু হতে পারে বলে একাংশ এলাকাবাসীর ধারণা করছে। এদিকে যদিও, তেলিয়ামুড়া মহকুমার জঙ্গলে বন্য দাঁতাল হাতি সংরক্ষণে এবং তাদের রক্ষণাবেক্ষণ ও তাদের বর্তমান পরিস্থিতির অবস্থান সম্পর্কে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা দরকার ছিল তেলিয়ামুড়া মহকুমা বনদপ্তর। কিন্তু আক্ষেপের বিষয় বিগত
এক সপ্তাহ আগে একটি হাতির শাবকের জন্ম হলেও বনদপ্তরের কাছে কোন খবর ছিল না। যে কারণে পুকুরের কাছে হাতির শাবক জল খেতে এসে পুকুরের জলে ডুবে মৃত্যু হয়। এদিকে হাতির শাবক'টির কি কারণে মৃত্যু হয়েছে ময়নাতদন্ত ক্রমেই আসল রহস্য বেরিয়ে আসতে পারে বলে মনে করছেন গ্রামবাসী সহ সচেতন মহল।
0 মন্তব্যসমূহ