কদমতলার চল্লিশ দ্রোণ কবর স্থানে পরিদর্শন করেন লন্ডন প্রবাসী বাংলাদেশী গীতিকার কবি ও টিভি উপস্থাপক জাহাঙ্গীর রানা-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা

০৮ জুন

বুবার 

কদমতলা প্রতিনিধিঃ ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ২০ লক্ষ বাঙালিকে প্রাণ দিতে হয়েছিলো। পাক হানাদার বাহিনীর বর্বরতা, 

হিংস্রতা মানবাধিকারকে ভূলুণ্ঠিত করেছিল।ভারত যদি এগিয়ে না আসতো তাহলে বাংলাদেশ নামক একটি দেশের জন্ম হতোনা। ভারতের সিমান্ত খুলে দেওয়া হয়েছিল লাখ লাখ নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষ প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন বিশেষ করে হিন্দুরা। এই মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ৫ মুক্তিযুদ্ধার  দেহ কবরস্থ করা হয় কদমতলার চল্লিশ দ্রোণ কবর স্থানে৷ 

                                           হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন


প্রাথমিক অনুমান পাকিস্থানি হানাদার বাহিনী তাদের তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মাটিতে কবর দিতে দেয়নি তাই সিমান্তের এপারের লোকেরা তাদের কবর দেয়। লন্ডন প্রবাসী বাংলাদেশি গীতিকার, কবি ও টিভি উপস্থাপক জাহাঙ্গীর রানা ত্রিপুরায় আসেন। তিনি কদমতলার চল্লিশ দ্রোণ কবর স্থানে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের কবর গুলি পরিদর্শন করে ত্রিপুরা সরকারের কাছে আবেদন রাখেন যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্তদের ত্রিপুরায় এনে দুদেশের যৌথ সমন্বয়ে কবর গুলির পরিকাঠামো উন্নয়ন করলে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর স্বাধীনতার চেতনা সম্পন্ন মানুষ এখানে আসবে। 

অন্যদিকে স্থানীয় এক এলাকাবাসী জানালেন কবর গুলি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকারি তরফে কোন সাহায্য এখনো অবধি করা হয়নি। ওদের পূর্বসূরিরা এই মুক্তিযুদ্ধাদের এখানে দাফন করেছিলেন। চল্লিশদ্রোণ এলাকায় মোট ৫ জন মুক্তিযোদ্ধার কবর রয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu