১৬ দিন পেরিয়ে গেলেও এলোনা মেডিকেল রিপোর্ট-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা

১৬ জুন

মঙ্গলবার

তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ টাকায় বিকালো কি পুলিশ,১৬ দিন পেরিয়ে গেলেও এলোনা মেডিকেল রিপোর্ট। চুরাইবাড়ি থানার পুলিশ হায় হায় শ্লোগান উঠলো 

খাদিম পাড়া গ্রামে৷ আসামি গ্রেপ্তার না করলে জাতীয় সড়ক থানা অবরোধের হুমকি। ধর্ষণ শেষে হত্যার মামলায় এখনো কোন গ্রেপ্তার নেই। মুখ্যমন্ত্রীর নিকট নাবালিকার মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন পাথর কুয়ারির মহিলা শ্রমিকরা। তবে এই নাবালিকা মৃত্যু কাণ্ডে অনেক রহস্যের দানা বাঁধতে শুরু করেছে। পুলিশ ও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মোটা অংকের উৎকোচ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করছেন মৃতার মা। এমনকি মৃতার মাকে তিন লক্ষ টাকা দিয়ে সম্পূর্ণ ঘটনা মীমাংসা করার চেষ্টা করেছিল নিজাম উদ্দিন বলে জানান মহিলা। ঘটনা গত মে মাসের ৩১ তারিখে। বিবরণে প্রকাশ, চুরাইবাড়ি থানাধীন ফুলবাড়ি গ্ৰামের বাসিন্দা নিজাম উদ্দিন এর 

                                            হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

ক্রেসারে নাবালিকা জায়েদা বেগমকে(১৬) কাজ না থাকা সত্বেও বলপূর্বক কাজের বাহানা করে নিয়ে আসে ফাতেমা বিবি নামে এক মহিলা। তখন ক্রেসারে কোন শ্রমিক ছিলনা যার একাকীত্বে নাবালিকা জায়েদা বেগমকে বলপূর্বক ধর্ষণ করে টানাহেঁচড়া করে পুকুরের জলে ডুবিয়ে মারা হয় বলে মৃতার মা খুদেজা বিবির অভিযোগ। অবশ্য ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও অগ্নিনির্বাপক দপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে সেখান থেকে মৃতদেহ কদমতলা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু আজ বুধবার ঘটনার পনেরো দিন অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরও এখনো পর্যন্ত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসেনি। তবে এ ক্ষেত্রে ঘটনার তদন্তকারী অফিসার বিনোদ দেববর্মাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত পুলিশ কিছুই করতে পারবেনা। অন্যদিকে মৃত জায়েদা বেগমের মা খুদেজা বিবি এবং গ্রামবাসীরা আজ বুধবার অভিযুক্ত ধর্ষণকারী নিজাম উদ্দিন এবং এ কাণ্ডে জড়িত ফাতেমা বিবিকে গ্রেপ্তারের জন্য সোচ্চার হোন। তারা সংবাদমাধ্যমের নিকট জানান পুলিশ নাকি মোটা অংকের বিনিময় চুপ হয়ে বসে রয়েছে। তার জন্য তারা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করছেন। 

অপরদিকে পুলিশও জলে ডুবে মৃত্যুর নাটক মঞ্চস্থ করতে চলছে। তবে জায়েদা মৃত্যু কাণ্ডের চুরাইবাড়ি থানা ২৮/২২ ও ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০২/৩৭৬/২০১/৩৪ সেকশন ০৪,পক্সো  এ্যক্ট ২০১২ নম্বরে মামলা গ্ৰহন করলেও তদন্ত হীন অবস্থায় রয়েছে পুলিশ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu