সবুজ ত্রিপুরা
২২ জুন
বুধবার
বক্সনগর প্রতিনিধিঃ সারা রাজ্যেই চুরি,ছিনতাই,পকেটমার লুটপাট ,ডাকাতির মত অহরহ ঘটনা ঘটছে। যদিও বক্সনগর আর ডি ব্লক এলাকায় চুরি প্রায়ই টুকটাক
চুরি হয়,যদিও তা কলমচৌড়া থানা সংলগ্ন এলাকার মধ্যেই বেশী।অফিস কাছাড়ী, হাসপাতালে,বাজার গুলোতে, বিভিন্ন পাড়ায় নিশিকটুম্ভদের হানা এবং চোরের দলের উপদ্রবে অতিষ্ঠ গোটা বক্সনগর এলাবাসী। গতকাল কলসীমুড়া নিবাসী বিশিষ্ট ইট বালি পাথর ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম পলাশের বাড়ীতে রাত প্রায় একটার সময় একদল ডাকাত বাহিনী হানা দেয়। ডাকাত বাহিনী গাড়ি নিয়ে সিনেমার ফিল্মি কাদায় জহিরুল ইসলাম এর বাড়ি থেকে অনেকটাই দূরে রেখে পায়ে চলে আসেন ডাকাতি করার জন্য।
হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন
দালান পাকাবাড়ী সামনে বিশাল গেইট চতুরদিকে বেড়া থাকা সত্বেও পেছনের বেড়া টপকে প্রবেশ করছে ডাকাত দল। ঘরে ঢুকার বারান্দায় ভিতরে তালা ছিল কিন্তু তালা ভাঙা অথবা কাটারের কাটা কিংবা এসিড দাগ বা কনো চিহ্ন পাওয়া যাইনি।কিভাবে ঘরে প্রবেশ করেছে তা কিন্তু বাড়ীর মালিক জহিরুল ইসলাম কোনো সাড়া শব্দ পাইনি। ঘরের ভিতরের দরজা গুলি লক ছিল না।পাাঁচ সাত জন ডাকাত এক সঙ্গে ঘরে ঢুকে পলাশ কে সজোড়ে ডেকে ঘুম থেকে তুলে।হঠাৎ করে ঘুম থেকে ওঠেই দেখেন তার গলায় দাড়ালো চকচকে রাম দা লাগিয়েছে ডাকাত জল্লাদ বাহিনীর সর্দার ।চিতকার চেচামেচি করলে প্রাণেমেরে ফেলার হুমকি দেন।এই বিভর্স চিএ দেখে তার স্ত্রীর ও ভয়ে হতভম্ব হয়ে পরে। ঘরের ভিতরে ডাকাতের মুখ কালো কাপড় দিয়ে মোড়া আর দা গুলো জল্লাদ ডাকাত বাহিনী ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বলছে দেড়ি না করে ভাল চাস তো সব টাকা পয়সা এবং স্বর্নালংকার কোথায় আছে তা বের করে দেয়। সমস্থ ঘর লন্ড ভন্ড করে দেয় এবং দক্ষযজ্ঞ বেধেঁ যায়। স্ত্রী বাধ্য হয়ে বলে দিয়েছে কোথায় টাকা এবং স্বর্না লংকার আছে।তার পর ডাকাত সর্দার লকার খুলে নয় লাখ বাইশ হাজার টাকা এবং সাত বড়ি স্বর্ন গহনা এবং মূল্যবাল সামগ্রী নিয়ে চম্পট দেয় ডাকাত বাহিনী। এই ডাকাতির খবর সকালবেলায় গোটা বক্সনগরে চাউর হতেই কলসীমুড়া পঞ্চায়েত প্রধান উপপ্রধান শাসকদলের নেতা এবং বিরোধী দলের নেতা এবং বিধায়ক সহীদ চৌধুরী এমনকি সাধারণ মানুষের ভীড় জমে জহিরুল এর বাড়ীতে।খবর পেয়ে কলমচৌড়া থানা ওসি বিষ্ণুপদ ভৌমিক এবং সোনামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বনোজ বিপ্লব দাস পুরো ঘটনা পুঙ্কানুপঙখু ভাবে গোটা বিষয়ে তদন্তে নেমেছে।
বক্সনগর এলাকায় এযাবত পর্যন্ত এত বড় ডাকাতির মত ঘটনা আর হয়নি বলে এলাকা বাসীর বক্তব্য,যা জহিরুল এর বাড়ী ডাকাতি ইতিহাস রচিত হয়েছে ।এখন দেখার বিষয় পুলিশ কোনো ক্লু খুজে বের করতে পারে কি না।উক্ত ডাকাতির ঘটনাকে ঘিরে গোটা বক্সনগর এলাকায় চাঞ্চল্য এবং আতঙ্ক বিরাজ করছে।আমজনতা নিরাপত্তা হীনতা ভোগছে জহিরুল ইসলাম এর পরিবার ।
0 মন্তব্যসমূহ