সবুজ ত্রিপুরা
০৮ জুন
বুধবার
বক্সনগর প্রতিনিধিঃ ৪ই জুন ২০২২ইং সোনামুড়া মহকুমার মধ্যে অন্যান্য যত সব ব্যাঙ্ক আছে,তার চাইতে অধিক সংখ্যক গ্রাহক পাঞ্জাব ন্যাশান্যাল বেঙ্কে ।
প্রতিদিন কয়েকশো গ্রাহক তার প্রয়োজনে টাকা জমা করা,টাকা তোলা, চ্যালান কাটা, ভাতা তোলা,পেনশনের টাকা,কর্মচারীদের বেতন পাওয়া , বিভিন্ন ধরনের লোন দেওয়া,নেওয়ার জন্য ব্যাঙ্কের দরজায় কড়া নাড়তে হয়। সোনামুড়া মহকুমার চার টি বিধান সভার লোকজন অর্থ্যাৎ পি এন বি য়ের নিয় মিত গ্রাহক অনেক দূর দূরান্ত থেকে আসে টাকা পয়সা তোলার জন্য। সকাল দশটা থেকে লাইন ধরে, প্রচন্ড ভীড় গরম সহ্য করে ও সঠিকভাবে ভাল পরিষেবা দিতে ব্যর্থ পি এন বি ব্রাঞ্চ ম্যান্যজার।গ্রাহকদের অভিযোগ এই ব্যঙ্ক প্রায় সত্তর হাজার থেকে আশি হাজার গ্রাহক রয়েছে।
হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন
সঠিক সময়ের মধ্যে সকালে ১০ হইতে দুপুর ১.৩০ পযর্ন্ত সময়ের মধ্যে লেনদেনের করতে হবে । তার পর দুপুরে টিফিন বাবদ ১ ঘণ্টা সময়।দ্ধিতীয় পর্বে আড়াই টা থেকে সাড়ে তিনটা পযর্ন্ত ব্যাঙ্কের কাজ কর্ম চলবে। কিন্তু পর্যাপ্ত পরিমানে রয়েছে কর্মচারী ,অথচ হাজার গ্রাহক থাকা স্বত্তে ও ব্যাঙ্কে রয়েছে মাএ দুটি ক্যাশ কাউন্টার। তারই মধ্যে এক নম্বর ক্যাশ কাউন্টারের ক্যাশিয়ারের অকর্মন্যতা,এমনিতে বয়স্ক উনার দৃষ্টি শক্তি হীন এবং কম্পিউটার মাউস চলে শ্বম্ভুক গতিতে । এক জন গ্রাহকে টাকা দিতে সময় লাগে প্রায় নূনতম এিশ/চ ল্লিশ মিনিটের মত। লাইনে প্রচন্ড ভীড় পেছনে শতশতলোক দাড়িয়েছে ঠিকই । কিন্তু তাতে ক্যাশিয়ার বাবু এবং ম্যানাজার বাবুর কি আসে যায় ।নির্ধারিত সময়েই মধ্যে যে সকল গ্রাহক পরিষেবা পাবে তো তাদের ভাগ্য খুবই ভাল ,আর যাহারা পাবেন না তারা বাড়িতে ফিরে যাওয়া ছাড়া আর কনো রাস্থা নেই। প্রতিদিন এই হচ্ছে রোজনামচা ,পরিষেবার নামে নিত্য দিন হয়রানির শিকার।দূরদর্শা আর ভোগান্তি ফলে ব্যাঙ্কে চলে চিৎকার বিশৃঙ্খলা,লাইনে চলে ধাক্কা ধাক্কি মত ঘটনা,যার ফলে অনেক বৃদ্ধ বৃদ্ধা অসুস্থ হয়ে পড়ে,রাগে ক্ষোভে অভিমানে বাড়ী চলে যায় । আবার সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে বলা হয়েছে যার পাশ বই সে নিয়ে আসলেই আপডেট করা হবে।অন্য কেউ পাশ বই নিয়ে আসলে তাকে আপডেট করে দেওয়া হবে না আদেশ অনুসারে ব্যাঙ্ককতৃপক্ষ। মা র পাশ বই নিয়ে আসছে ছেলে তাকে পযর্ন্ত আপডেট করে দিচ্ছে না এই নিয়ে প্রায় সময় ব্যাঙ্কে কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঝগড়া হয়। উক্ত বিষয়গুলো নিয়ে ব্রাঞ্চ ম্যান্যজারের দৃষ্টি গোচরে দেওয়া হলে ও কনো হেল দৌল নেই কতৃপক্ষের। প্রচুর সংখ্যক গ্রাহক সাংবাদিকের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিয়ে গিয়ে ক্ষোভে বিক্ষোভে বলেন আমার ম্যানুয়েল যুগে খুবই ভালো পরিষেবা পেয়েছি, কিন্তু বর্তমানে ডিজিটাল ইন্টারনেট যুগে গ্রাহক পরিষেবা
একে বাড়ে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।রাজ্যের অর্থ মন্ত্রী এবং ব্যাঙ্ক চেয়ারম্যান কি এই পরিষেবার ব্যাপারে কনো খুজ খবর রাখেন। যদি রাখতেন তাহলে আজকের দিনে ব্যাঙ্কের এই দূরবস্থা হতো না।তার পরও সাধারণ গ্রাহকদের দাবী সরকার যাতে খুব শীঘ্রই ব্যাঙ্ক পরিষেবা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে।
0 মন্তব্যসমূহ