রেল লাইনে আটকে পড়ে শিলচড় আগরতলা গামী যাএিবাহী রেলের ধাক্কায় ঘটনা স্হলেই ধুমড়ে মুছড়ে যায় একটি টমটম ইরিক্সা-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা

১১ মে

বুধবার

পানিসাগর প্রতিনিধিঃ উওর জেলার পানিসাগর মহকুমা অন্তর্গত ওয়েষ্ট ডলুবাড়ি চন্দ্র হালাম পাড়া এ,ডি,সি,ভিলেজের রেল লাইনে অসতর্ক ভাবে রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে রেল লাইনে আটকে পড়ে শিলচড় আগরতলা গামী যাএিবাহী রেলের ধাক্কায় ঘটনা স্হলেই ধুমড়ে মুছড়ে যায় টি,আর,০৫ ই,আর,১৯৮৬ নম্বরের একটি টমটম ইরিক্সা।ঘটনার বিবরনে যানা যায় যে,উওর জেলার 

ধর্মনগরের ভাগ্যপুর এলাকার টমটম চালক অপূর্ব রায় গোল্ডেন ভ্যালি স্কুলের তিন জন ছাএ কে নিয়ে পানিসাগর স্হিত সীমান্ত রক্ষি বাহিনী হেডকোয়ার্টারে অবস্হিত কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে দ্বাদশ শ্রেণিতে পরিক্ষারত ছাএদের নিয়ে পরিক্ষা শেষে বাড়িতে ফেরার পথে রেল রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে টমটমের চেচিসএর সাথে রেল লাইনে আটকে পড়ে।অনেক চেষ্টা করে টমটম টিকে ছুটাবার চেষ্টা করার হয়,কিন্তু হঠাৎ করে লক্ষকরে যে পানিসাগরের দিক থেকে পেচারথল অভিমুখে ট্রেনটি দ্রুত গতিতে ছুটে আসছে।এমতাবস্থায় কোন কিছু  বুঝে উঠতে না পেরে তড়িঘড়ি তিন জন ছাএকে টমটম থেকে নেমে যেথে বলে, নিজেও টমটম ছেড়ে সরে পড়ে।মুহুর্তের মধ্যেই দ্রুতগতিতে ছুটে আসা ট্রেনটি টমটম টিকে ধুমরেমুছরে প্রায় দুইশো মিটার দুরত্বে নিয়ে দাড়িয়ে পড়ে।ঘটনার পরবর্তীতে বিষয়টি জানানো হয় ধর্মনগর স্হিত আর,পি,এফ,থানাতে।খবর পেয়ে ছুটে আসে ধর্মনগর আর,পি,এফ,জোয়ানেরা।যদিও দূর্ঘটনার খবর পেয়ে আগেথেকেই পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনা স্হলে পৌছায় পানিসাগর থানার পুলিশ।যানা গেছে ঐ এলাকায় রাস্তা পারাপারের একটি স্হায়ী সমাধানের জন্য বিগত প্রায় পনেরো 

                                           হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন


বৎসর যাবৎ ঐ এলাকার বৃহৎ অংশের জনগনের সংঘবদ্ধ আন্দোলনের ফলে বিগত মাস দুএক পুর্বে রেল দপ্তরের জি,এম,সাহেবের পরিদর্শন শেষে রাজ্য সরকার এবং রেল মন্ত্রণালয়ের যৌথ আর্থিক সহায়তায় বর্তমানে বিকল্প রাস্তা নির্মানের কাজ চলছে।ঐ রাস্তাটি রেল লাইন নির্মাণেরও বহু পুর্বের তৈরি। উপজাতি অধ্যুষিত এলাকার হওয়ার দরুন এলাকটি পেচারথল এ,ডি,সি,সাব জোনালের অন্তর্ভুক্ত হওয়াতে উন্নয়নের নিরিখে রাস্তাটি অনেকটাই বাম,রাম,উভয় আমলেই অবহেলার স্বীকার।অথছ এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতি দিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রায় তিন হইতে চার শতাধিক পাহাড়ী বাঙালী উভয় অংশের জনগন চলাচল করে।ঐ এলাকায় রয়েছে উওর জেলার একমাএ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়টি।এই বিদ্যালয়ে উওর জেলার তথা ঊনকোটি,ধলাই জেলার ছাএ ছাএিরা এই রাস্তা দিয়েই প্রতিনিয়ত জীবন বাঝি রেখে চলাচল করছে।এই ধরনের দৃশ্য প্রতক্ষ করতে করতে স্হানীয়  এলাকাবাসীরা বিগত প্রায় পনেরো বৎসর যাবৎ সংঘবদ্ধ ভাবে আন্দোলন সহ রেল লাইনে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধেও বসে।এর পরও রেল দপ্তর কতৃক ঐ এলাকাদিয়ে রেল চালনার সময় রেলের গতী নিয়ন্ত্রণে রাখার কথা থাকলেও এলাকাবাসীদের অভিযোগ  কখনো কখনো রেলের গতী মাএাতিরিক্ত ভাবে হওয়াতে জনজীবন বিপর্যস্তের মুখে।তবে আজকের ঘটনায় স্হানীয় এলাকাবাসীরা টমটম চালককেই দায়ী করছেন।এলাকাবাসীদের মতে টমটম 

চালক ইচ্ছে করলে তিন জন ছাএ কে নামিয়ে সকলে মিলে টমটমটিকে রেল লাইন থেকে সরিয়ে ফেলতে পারতো।টমটম চালকের অসতর্কতার কারনে আজ অসহায় চার চারটি তরতাজা জীবনকে বেঘোরে প্রান দিতে হতো।রেল পুলিশ দূর্ঘটনায় অভিযুক্ত দুমরেমুছরে যাওয়া টমটম টিকে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়।রেল দপ্তরের পক্ষথেকে অভিযুক্ত টমটম টির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া মোতাবেক মামলা নিয়ে দূর্ঘটনার তদন্ত কার্য অব্যাহত রেখে চলেছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu