বেহাল রাস্তা সংস্কারের দাবি ক্ষোভে ফুঁসছেন কদমতলা এলাকার জনগণ-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা

১১ মে

বুধবার

কদমতলা প্রতিনিধিঃ দপ্তরের দায়সারা মনোভাব আর চরম উদাসীনতার ফলে জনদুর্ভোগ চরমে।বেহাল রাস্তা সংস্কারের দাবি। রাস্তা নয় যেন মরণফাঁদ, 

ভোটের বাক্সে জনগণ দেবে জবাব।এমনই চিত্র উঠে আসলো উত্তর জেলার কদমতলা ব্লক এলাকার জুমটিল্লা হইতে কদমতলা যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটির।বিগত বাম আমলে পিচ রাস্তাটি হওয়ার পর এখন পর্যন্ত সারাইয়ের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।প্রায় প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় যান দুর্ঘটনা।হেলদোল নেই সংশ্লিষ্ট দফতরের।অভিযোগ প্রতিবছরের বর্ষা মরসুমের শুরুতেই যানবাহন নিয়ে যাতায়াত তো দূরস্ত পায়ে হেঁটে চলাফেরা করাও কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায় স্থানীয়দের।জুমটিল্লা, বাঘন জেরজেরি, বৃহতর এলাকাজুড়ে রয়েছে হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের বসবাস।তাছাড়া রাস্তার পাশেই রয়েছে কদমতলা গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়।কদমতলা ব্লকের নাকের ডগায় উল্লেখিত বেহাল রাস্তাটির ফলে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।এদিকে মধ্যবর্তী এলাকায় রয়েছে একটি বেসরকারি সুনামধন্য ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল।রয়েছে বাঘন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, 

                                           হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যাও রয়েছে অনেক।তাই বিশেষ করে স্কুল পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।যেকোনো সময় ঘটতে পারে বিপত্তি।কদমতলা হইতে জুমটিল্লা পর্যন্ত মাত্র 3.283 দৈর্ঘ্যের রাস্তাটি বেহাল দশার জন্য দপ্তরের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন এলাকার জনগণ।বিগত দিনে বহুবার রাস্তা সংস্কারের দাবিতে কদমতলা পূর্ত দপ্তর এবং সমষ্টি উন্নয়ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ জানিয়েও কাজের কাজ কিছুই হয়নি, এমনকি পূর্ত দফতরের প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা কুমারঘাট ডিভিশনেও বারবার লিখিত অভিযোগ জানিয়ে ও  ফল দাঁড়ায় শূন্য।এলাকাবাসীরা বাধ্য হয়ে বিগত কয়েক বছর ধরে নিজেদের মধ্যে চাঁদা সংগ্রহ করে বেহাল রাস্তাটির কিছুটা মেরামতি করলেও বর্ষার শুরুতেই ভগ্নদশায় পরিণত হয়ে যায় রাস্তাটি।এবার শুনে নেওয়া যাক কি বলছেন এলাকার জনগণ। এদিকে কদমতলার পূর্ত দপ্তর আধিকারিক কে এ 

বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন বিগত 2010 সালে প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা আওতায় এই রাস্তাটির কাজের বরাত হয়েছিল HSCL নামক একটি সংস্থা কে,পাঁচ বছর পর সংস্কারের দায়িত্ব রয়েছে তাদের উপর,কিন্তু সংস্থাটি প্রথমবার কাজ শেষ হওয়ার পর সারাইয়ের আর কোনো উদ্যোগ নেয়নি।যার ফলে পূর্ত দফতর কেও হস্তান্তর করা হয়নি।তাই HSCL কর্তৃপক্ষকে সরাসরি দায়ী করছেন তিনি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu