আনন্দনগরে আগুনে ভষ্মীভূত বসতঘর-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা

০৬ মে

শুক্রবার

বক্সনগর প্রতিনিধিঃ  সোনামুড়া থানাধীন আনন্দনগর গ্রাম- পঞ্চায়েতের লচারবাড়ি গ্রামের মহসিন মিয়ার বাড়িতে আগুন লেগে বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়৷ 

ঘটনা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টার নাগাদ৷ মহসিন মিয়া তার স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল বৃহস্পতিবার দুপুর বেলা৷ ঘরের মধ্যে তালা ঝুলানো ছিল৷এই অবস্থায় সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ বিদ্যুতের শক লেগে ঘরের মধ্যে আগুন ধরে যায়৷ প্রতিবেশীরা আগুন দেখতে পেয়ে ছুটে আসে৷ ঘরের মধ্যে গ্যাসের সিলিন্ডার আছে জেনে ভয়ে কেউ এগিয়ে যায়নি৷এই সুযোগকে ঘরের সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়৷ বক্সনগর বিধানসভার মাঝামাঝি অঞ্চল হল এই লচারবাড়ি৷দুর্ভাগ্যজনকভাবে বক্সনগর আজ পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের কোন অফিস করা হয়নি৷ফলে খবর দিতে হয়েছে সোনামুরা ফায়ার সার্ভিসের অফিসে৷ সোনামুড়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসার পূর্বেই বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়৷

                                           হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

ঘরের ভিতরে থাকা আসবাবপত্র কাপড়-চোপড় সহ খাদ্য সামগ্রী যা ছিল কিছুই আগুনের হাত থেকে বাঁচানো যায়নি৷ বক্সনগর বিধানসভা বাসির দীর্ঘদিনের দাবি বিধানসভাতে একটি ফায়ার সার্ভিস অফিস গঠন করা৷ এই লক্ষ্যে পূর্বতন সরকার বক্সনগর কলসিমুরা এলাকায় ফায়ার সার্ভিস অফিস গড়ার জন্য একটি জায়গা পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে ক্রয় করে নিয়েছিল৷জায়গাটিতে বাউন্ডারি করে কাজও শুরু করেছিল তৎকালিন সরকার৷ নতুন সরকার আসার পর চার বছর কেটে গেলেও পূর্বতন সরকারের শুরু করা কাজে হাত লাগাইনি৷ যার খেসারত দিতে হচ্ছে বক্সনগরবাসীকে৷ গত ছয় মাসে বক্সনগর এলাকার ৯টি বাড়ির মধ্যে বিভিন্নভাবে আগুন লেগেছে৷শুধু ফায়ার সার্ভিস পরিষেবা না থাকার কারণে একটা বাড়িও রক্ষা করা সম্ভব হয়নি৷

এই অবস্থায় আজকের মহসিন মিয়ার বাড়ির আগুন নতুন করে বক্সনগর বাসীকে ফায়ার সার্ভিস অফিস এর অভাব মনে করে দিয়েছে৷ আজকের আগুনের জন্য মহসিন মিয়ার  প্রায় ১০ লক্ষ টাকার সম্পদ ধ্বংস হয়ে গেছে৷ সরকারের চরম ব্যর্থতার মধ্যেও বক্সনগরের মানুষ আশা করছেন যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব হয় ফায়ার সার্ভিস অফিসের কাজ শুরু করার হউক৷

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu