ড্রাগন ফুড এর বাগান করে আর্থিক সংকটে ভুগছেন মেলাঘরের যুবক রুপন মজুমদার, সরকারের নিকট আর্থিক আবেদন-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা

২৩ মে

সোমবার

বক্সনগর প্রতিনিধিঃ চিরাচরিত ও গতানুগতিক চাষ পদ্ধতির বাইরে বেরিয়েও কৃষক বন্ধুরা নতুন বিকল্প চাষের সন্ধানে লেগে পড়েছেন এবং তার চাষ পদ্ধতি নিয়েও তাদের মধ্যে উৎসাহের কোনো খামতি নেই। 

ধান,পাট, আলু ও শাকসবজি জাতীয় ফসল থেকে আশানুরূপ লাভের মুখ না দেখতে পেয়ে বিকল্প চাষ হিসাবে ড্রাগন ফলের চাষ করে এ ত্রিপুরা রাজ্যের কৃষকবন্ধুরা কিছুটা হলেও লক্ষ্মীলাভের আশা করছেন।চিরাচরিত ও গতানুগতিক চাষ পদ্ধতির বাইরে বেরিয়েও কৃষক বন্ধুরা নতুন, বিকল্প চাষের সন্ধানে লেগে পড়েছেন এবং তার চাষ পদ্ধতি নিয়েও তাদের মধ্যে উৎসাহের কোনো খামতি নেই। ধান, পাট, আলু ও শাকসবজি জাতীয় ফসল থেকে আশানুরূপ লাভের মুখ না দেখতে পেয়ে কৃষকদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে যে ক্ষতি তাদেরকে বিকল্প চাষের দিকে ঝুঁকতে বাধ্য করছে। বিকল্প চাষ হিসাবে ড্রাগন ফলের চাষ করে এ রাজ্যের কৃষকবন্ধুরা কিছুটা হলেও লক্ষ্মীলাভের আশা করছেন।ক্যাকটেসি পরিবারের অন্তর্গত ড্রাগন ফলের উৎস মেক্সিকো হলেও আমাদের দেশে ইদানীং ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এদেশে গুজরাটে সর্বপ্রথম এই ফলের চাষ শুরু হয়। ড্রাগন ফল এক ধরনের ক্যাকটাস জাতীয় বহুবর্ষজীবী চিরহরিৎ লতা। এই গাছের কোন পাতা নেই। ড্রাগন ফলের গাছ সাধারনত ১.৫ থেকে ২.৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। ফল আকারে বড়, পাকলে খোসার রং লাল হয়ে যায় ,শাঁস গাঢ় গোলাপী রঙের, লাল ও সাদা এবং রসালো প্রকৃতির। ফলের শাঁসের মধ্যে ছোট ছোট অসংখ্য কালো বীজ থাকে এবং সেগুলি নরম। এক একটি ফলের ওজন ১৫০ গ্রাম থেকে ৬০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। টেবিল ফল হিসাবেই শুধু নয়, খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে এই ফল থেকে বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য তৈরি করা হয়। একবার রোপণের পর অন্তত কুড়ি বছর ধরে এর ফল পাওয়া যায়। রোপণের দ্বিতীয় বছর থেকেই ফলন শুরু হলেও পাঁচ বছরের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হয়। এদিকে অবৈধ গাঁজা চাষের প্রতিযোগিতায় না গিয়ে, ড্রাগন ফলের বাগান করে সোনামুড়া গাজাঁ উপত্যকায় আলোর পথের দিশা দেখাচ্ছে এক প্রান্তিক চাষি যুবক রুপন মজুমদার। কোন প্রকার সরকারি সাহায্য সহযোগিতা ছাড়াই মাত্র, এক কানি পাঁচ গন্ডা জমিতে ১৭১ টি ড্রাগন ফুড এর চারা রোপণ করেন। এদিকে রুপন মজুমদার এর প্রায় ১,৫০,০০০/- হাজার টাকা খরচ হয়ে যায় এই বাগানটি তৈরি করতে। জানা যায় সিপাহীজলা জেলার সোনামুড়া মহকুমার মেলাঘরের পূর্ব চন্ডিগড় সরকারপাড়ার ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা 

                                           হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

রুপন মজুমদার তার বাবার নাম খোকন মজুমদার। জানা যায় রুপন মজুমদার  গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করে চাকরির জন্য এদিক ওদিক ছোটাছুটি শুরু করেন। কোথাও কোনো চাকরির ব্যবস্থা না করতে পেরে তিনি মানসিকভাবে অনেকটাই ভেঙ্গে পড়েন। একদিন হঠাৎ করেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন তিনি ড্রাগন ফুড এর বাগান করবেন। তার কাছে সামান্য কিছু অর্থ ছিল। এই সামান্য অর্থ নিয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নেন তিনি বাগান করবেন ।তারপর তিনি ইউটিউব থেকে ড্রাগন ফলের বাগান কিভাবে করতে হয় তা তিনি ইউটিউব থেকে দেখে নেন। জানা যায় উনার পরিবারে ৬ জন সদস্য রয়েছেন, তিন ভাই এক বোন। উনার বাবা এত বড় সংসার একা সামলাতে না পেরে মানসিকভাবে অনেকটাই ভেঙে পড়েন। সোনামুড়া মহাকুমার বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায়  শত শত হেক্টর জমিতে অবৈধ গাজাঁ চাষে ব্যস্ত কয়েক হাজার চাষি। অর্গানিক কৃষিতে সরকার সাহায্য-সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিলেও রাজ্যের অনেক আনাচে-কানাচে অনেক চাষী  রয়েছে সরকারি সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন তারা। এমনই এক ক্ষুদ্র চাষী রয়েছেন মেলাঘরের রুপন মজুমদার। তিনি তার বাগানের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নিকট আবেদন রাখেন তার বাগানটি যাতে পরিদর্শন করেন। তিনিই এই বাগানের পেছনে অনেক টাকা খরচ করেছেন। কিন্তু এখন তার আর্থিক দুর্বলতার কারণে ড্রাগন ফুড এর চারার মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ কীটনাশক ওষুধ দিতে পারছেন না। 

এই কারণে ড্রাগন ফলের চারা গুলির গ্রুদ অনেকটাই কমে যাচ্ছে। এই কারণেই তিনি রাজ্য সরকারের নিকট করুন আবেদন রাখেন তার বাগানটি যেন মুখ্যমন্ত্রী পরিদর্শন করেন এবং কিছু সরকারি আর্থিক সহযোগিতা যাতে উনাকে প্রদান করা হয়। এ দিকে তাকিয়ে আছে চাষী রুপন মজুমদার। এখন দেখার বিষয় সরকার উনার দিকে করুন দৃষ্টিতে তাকায় কিনা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu