বাজারে রাত্রিকালীন প্রহরাধার থাকাকালীন সময়ে দোকানের দরজা ভেঙ্গে নগদ অর্থ নারায়ন ৫০ হাজার টাকানিয়ে চম্পট দেয় চোরের-Sabuj Tripura

সবুজ ত্রিপুরা

০৮ মে

রবিবার

বিশালগড় প্রতিনিধিঃ  বাজারে রাত্রিকালীন প্রহরাধার থাকাকালীন সময়ে এক দোকানের মালিকের দোকানের দরজা ভেঙ্গে নগদ অর্থ নারায়ন ৫০ হাজার টাকানিয়ে চম্পট দেয় চোরের দল। 

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ঘটনা কমলাসাগর বিধানসভা আমতলী থানাদিন ফুলতলী এলাকায়। যদিও দোকানের মালিক সঞ্জিত সরকার রাত্রিকালীন পাহারাদার যতজন ছিল তাদের বিরুদ্ধে আমতলী থানা মামলা দায়ের করবে বলে তিনি জানান। এদিকে বাজার কমিটির ভূমিকা নিয়েও সাধারণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায় ফুলতলী বাজার ব্যবসায়ী সঞ্জিত সরকার নিত্য দিনের মতো শুক্রবার রাত্রিবেলা ব্যবসা সেরে শহর থেকে কিছু দোকানের জিনিসপত্র এনে ৫০ হাজার টাকা দোকানের মধ্যে রেখে বাড়িতে চলে যাই দোকান বন্ধ করে। তার বক্তব্য ওই দিন রাত্রে বেলা তার বাড়িতে ছিল ছোট্ট একটি অনুষ্ঠান। আবার অন্যদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে সামান্য বৃষ্টি হচ্ছিল বৃষ্টির মধ্যে সেই টাকা নিয়ে বাড়ীতে যেতে পারবে না বলে দোকানের মধ্যে রেখে গিয়েছিল। কিন্তু শনিবার সকাল বেলায় এসে দেখতে পায় বাজারের রাস্তার পাশেই তার দোকানের একটি দরজা ভাঙা অবস্থায় রয়েছে এবং দোকান খুলে দেখতে পায় তার ক্যাশের মধ্যে ৫০ হাজার টাকা রেখে গিয়েছিল তা চুৱের দলে চুরি করে নিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে তিনি হতভম্ব হয়ে বাজার কমিটি সম্পাদক দ্বারস্থ হয় এবং আমতলী থানার খবর দেয়। ছুটে আসে আমতলী থানার পুলিশ। এদিকে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে ফুলতলী বাজারের প্রহরাধারের অবহেলাই প্রায় সময়ই চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

                                           হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

দেখা যাচ্ছে যে সকল ব্যবসায়ীরা রাত্রিবেলা পাহারাদার অবস্থায় থাকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আকন্ঠ মদ্যপান করে ঘুমিয়ে পড়ে। আবার কখনো দেখা যায় যাদের প্রহরাধার দেওয়ার কথা এরা কর্তব্য পালন না করে কিছু মদ্যপ যুবকদের ৫০ টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয় তাদের হাতে। যার ফলে ওই মদ্যপ যুবকরা আকন্ঠ মদ্যপান করে কখনো ঘুমিয়ে পড়ে আবার কখনো বাড়িতে চলে যায়। ফলে চুরেৱ দলের সুবিধা হচ্ছে। এদিকে চুরি যাওয়া দোকানের মালিক সরাসরি দায়ী করলেন যারা পাহারাদার অবস্থা ছিলেন তাদেরকেই।কারন রাস্তার পাশের দোকান থাকার পরেও কি করে চোরের দল তাদের সামনে থেকে দরজা ভেঙ্গে টাকা নিয়ে চলে যায়। এদিকে আমতলী থানা পুলিশ যারা রাত্রিকালীন পাহারাদার ছিলেন সকলকে থানায় ডেকে নেই এখন দেখার বিষয় পুলিশ তদন্তে মূল রহস্য বেরিয়ে আসে কিনা।অন্যদিকে বাজার কমিটির সম্পাদকের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। নতুন বাজার কমিটির সম্পাদক দায়িত্ব নেওয়ার পর বাজারের প্রতি খামখেয়ালিপনার অভিযোগ উঠছে। তিনি সঠিকভাবে পরিচালনা করতে ব্যর্থ। যার ফলে বাজারের আজ এই অবস্থা।এখন দেখার বিষয় চুৱের মূল পাণ্ডাদের গ্রেপ্তার করতে পারি কিনা আমতলী থানার পুলিশ।তবে জানা যায় আমতুলী থানার বড়বাবু কড়া হাতেই চুরির বিষয়টা নিয়ে মাঠে নেমেছেন।

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu