পাহাড়ের পাথর চুষা জল‌ই একমাত্র পানীয় জলের উৎস-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা

২৫ এপ্রিল 

সোমবার

তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ জল সংকট দূরীকরণে ব্যর্থ এ.ডি.সি প্রশাসন।  সুখা মরসুম কিংবা বর্ষাকালে ও বিশুদ্ধ পানীয় জলের থেকে বঞ্চিত প্রত্যন্ত এলাকায় উপজাতি গিরিবাসিরা। 

পানীয় জলের তীব্র সংকট লেগে থাকলেও সংকট দূরীকরণের নেই কোনো ব্যবস্থা। বিশুদ্ধ পানীয় জলের সংকট তেলিয়ামুড়া মহাকুমার মুঙ্গিয়াকামী ব্লকের অধীন নোনাছড়া এ ডি সি ভিলেজের কর্ণরাম পাড়ায়। জানা যায়, তেলিয়ামুড়া শহর থেকে চড়াই-উৎরাই পাহাড়ি মেঠো পথ পার  করে যেতে হয় তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুঙ্গিয়াকামী ব্লকের প্রত্যন্ত কর্ণরাম পাড়ায়। বর্তমানে ওই এলাকায় প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ টি জনজাতি পরিবারের বসবাস। ওই এলাকার প্রত্যেকটি পরিবারে জুমচাষের মধ্য দিয়ে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। ওই ৪০ থেকে ৪৫ টি পরিবারের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত জলের একমাত্র উৎস হল পাহাড়ের বিশাল আকার পাথর থেকে চুইয়ে পড়া দীর্ঘ দিন ধরে জমে থাকা অপরিশ্রুত জল। ওই এলাকার জনজাতি প্রত্যেকটি পরিবারের অন্যান্য মৌলিক সমস্যাগুলির কথা না তুলে ধরলেও পানীয় জলের জন্য যে প্রতিদিন সংগ্রামে লিপ্ত থাকতে হচ্ছে, একথা তুলে ধরেন। 

                                           হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

ওই এলাকায় বসবাসকারী এলাকাবাসীদের একটাই দাবি বিশুদ্ধ পানীয় জলের। ওই এলাকায় এক জনজাতি মহিলা জানান   তিনি জানান  তাদের পানীয় জলের একমাত্র উৎস হল পাথর চুইয়ে পড়া জল। এই অস্বাস্থ্যকর জলের উপর নির্ভর করে প্রত্যেকটি পরিবারের খাবারের জল থেকে শুরু করে স্নান বাসন মাজার জল এর একমাত্র ব্যবস্থা। আর এই  অপরিশ্রুত পানীয় জল পান করে শূন্য থেকে আশির সকলেই জল বাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকাবাসীর তরফ থেকে বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য  স্থানীয় তিপ্রা মথা 

নেতাদের দ্বারস্থ হয়ে থাকলেও, পানীয় জলের সমস্যা দূরীকরণে এগিয়ে আসছে না কেউই। এখন দেখার বিষয়, সংবাদটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট দপ্তরের টনক নড়ে কিনা। স্থানীয় গিরিবাসীদের মধ্য থেকে দাবি উঠতে শুরু করে দিয়েছে  এডিসি প্রশাসন যাতে অতি দ্রুত তাদের বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দেয়।।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu