২৫ এপ্রিল
সোমবার
তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ নিজেদের চুরির অপবাদ আড়াল করতে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অনূর্ধ্ব ১৭ ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট থেকে নাম সরিয়ে নিতে চাপ
সৃষ্টি করলেন একাংশ শিক্ষকেরা, ঘটনা তেলিয়ামুড়ার ইচারবিল দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে। খবরে প্রকাশ,, তেলিয়ামুড়া ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন পরিচালিত অনূর্ধ্ব ১৭ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরু হয় চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে। চলতি মাসের ১৩ এবং ১৭ই এপ্রিল ইচারবিল দ্বাদশের একাংশ রামভক্ত শিক্ষকেরা ক্রিকেট এসোসিয়েশন থেকে প্রদত্ত খেলোয়াড়দের জন্য বরাদ্দকৃত ৯০০ টাকা কাঁচা চিবিয়ে খাচ্ছেন এই সংক্রান্ত সংবাদ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা সহ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এতেই আঁতে ঘা লাগে একাংশ রামভক্ত শিক্ষক যথাক্রমে আশুতোষ দাস, সঞ্জিত সরকার এবং জয় বাহাদুর রুপিনি সহ অন্যান্য রামভক্ত শিক্ষকদের। ফলে রামভক্ত শিক্ষকেরা স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটি খোলা বাংলা ভাষায় যাকে বলে স্কুল মাফিয়া কমিটির একাংশ মাতব্বরদের সঙ্গে নিয়ে ইচারবিল দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের খেলোয়ার সহ তাদের অভিভাবকদের ডেকে এনে সালিশি সভা বসায়। আর এই সালিশি সভার মধ্যে স্কুল মাফিয়া কমিটির মাতব্বর সহ বিদ্যালয়ের একাংশ রামভক্ত শিক্ষকের যথাক্রমে আশুতোষ এবং সঞ্জিত বিদ্যালয়ের ছোট ছোট খেলোয়াড়দের এবং তাদের অভিভাবকদের রক্তচক্ষু দেখায়, এমনটাই বিশ্বস্ত সূত্রের খবর। তাছাড়া আরও খবর, তাদের ধমক চমক দিয়ে জোর করে তেলিয়ামুড়া ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন পরিচালিত অনূর্ধ্ব ১৭ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আসর থেকে বিদ্যালয়ের নাম তুলে নেওয়ার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে আবেদন করায় জনাকয়েক রাম ভক্ত শিক্ষক সহ স্কুল মাফিয়া কমিটির মাতব্বরেরা। এই আবেদন পত্রে উল্লেখ করা হয় বিদ্যালয়ের সকল
হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন
খেলোয়াড়রাই নাকি অসুস্থ।যদিও এই সালিশি সভায় বিদ্যালয়ের সব খেলোয়াড়রা উপস্থিত না থাকায় আগামী মঙ্গলবার পুনরায় সালিশি সভার ডাক দিয়েছে রাম ভক্ত শিক্ষক সহ স্কুল মাফিয়া কমিটির মাতব্বরেরা। কিন্তু এই ঘটনার অন্তর তদন্তে বেরিয়ে জানা যায়,, বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র সাগ্নিক দেবনাথের হাতে অল্পবিস্তর আঘাত লেগেছে বাকি সমস্ত খেলোয়াড়ই সুস্থ রয়েছে। তবে যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে দেশের প্রধানমন্ত্রী সকলেই শিক্ষাঙ্গনে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলো ইন্ডিয়া সহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সেখানে একাংশ বাম মার্গীয় নামাবলী ছেড়ে রাম ভক্তের নামাবলী গায়ে জড়িয়ে
বর্তমানে রামভক্ত শিক্ষক হয়ে নিজেদের চুরির অপবাদ ঢাকতে ছাত্র-ছাত্রীদের খেলাধুলাতে বাঁধা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ। যদিও এক্ষেত্রে সবকিছু জেনে অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের ভূমিকা পালন করছেন ইচারবিল দ্বাদশের প্রধান শিক্ষক মধুসূদন দেববর্মা। যদিও অনেকেই মনে করছেন প্রধান শিক্ষক বাবুর মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খাচ্ছেন বাম নামাবলী ছেড়ে রামভক্তের নামাবলী গায়ে জড়ানো সঞ্জিত, আশুতোষ সহ জয় বাহাদুরের মতো একাংশ শিক্ষকেরা।
0 মন্তব্যসমূহ