তাছাড়া বিদ্যালয়টিতে মোট ১৭৫ জন ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শিক্ষক বরাদ্দ রয়েছে মাত্র পাঁচ (৫) জন। এর মধ্যে বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক। ইনচার্জ হিসেবে এই বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন নিয়তি পাল, উনিও প্রায়শই ট্রেনিং-মিটিং ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ব্যাস্ত থাকেন। ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের ৪ জন শিক্ষক দিয়েই পাঠ দান করাতে হয়। বিদ্যালয়টিতে নেই বসার জন্য উপযুক্ত ব্রেঞ্চ। ফলে একটি ব্রেঞ্চের মধ্যেই গাদাগাদি করে তিন থেকে চার জন ছাত্রছাত্রীকে বসিয়ে পাঠ দান করানো হচ্ছে এই বিদ্যালয়ে,যা ছাত্রজীবনে এক অসহ্য যন্ত্রণার শামিল। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা অভিযোগ করে জানিয়েছেন,, জগদম্বার মতো বৈদ্যুতিন পাখা গুলো শ্রেণিকক্ষে ঝুলে থাকলেও দীর্ঘ প্রায় আড়াই থেকে তিন বছর যাবত সেগুলো বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে,
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সে গুলোকে সারাইয়ের কাছে হাত দিচ্ছে না। ফলে অসহ্যকর গরমের মধ্যে একই ব্রেঞ্চের মধ্যে ৩-৪ জন ছাত্রছাত্রীকে গাদাগাদি করে বসতে হয়। বিদ্যালয়ের পারিপার্শ্বিক অবস্থা গুলি সম্পর্কে তেলিয়ামুড়া বিদ্যালয় পরিদর্শক বিশ্বজিৎ দেববর্মা অবগত থাকলেও কোনো এক অজ্ঞাত কারণে শিক্ষক সংকট মোচন সহ বিদ্যালয়ের অন্যান্য সমস্যা দূরীকরণে কোন প্রকার প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করছেন না বলে অভিযোগ। ফলে ছাত্র-ছাত্রীসহ অভিভাবক মহলে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ