বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকার আসার পর ত্রিপুরায় আগরের নতুন দিগন্তের সূচনা -Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা

২১ মার্চ

সোমবার

কদমতলা প্রতিনিধিঃ  বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকার আসার পর ত্রিপুরায় আগরের নতুন দিগন্তের সূচনা হয়। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব প্রধানমন্ত্রী  নরেন্দ্র মোদির সাথে 

সাক্ষাত করে ত্রিপুরার বৃহৎ আগর শিল্পের সম্ভাবনার দিকটি তুলে ধরেন। বিপ্লব কুমার দেব  ভারতের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী যিনি আগর নিয়ে সরাসরি  প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছেন।আগর ব্যবসায় অনেক জটিলতা রয়েছে এগুলি রাজ্য সরকারের পক্ষে একা দুর করা সম্ভবপর ছিল না। ২০২১ সালে আগর উড পলেসি নিয়ে আসে ত্রিপুরার রাজ্য সরকার। এরপর থেকেই আশার আলো দেখে ত্রিপুরার আগর ব্যবসায়ীরা। 

রাজধানীর হোটেল পলো  টাওয়ারে  আগরের ক্রেতা বিক্রেতা সন্মেলনের আয়োজন করে রাজ্য সরকার। এখানে দেশ-বিদেশের  আগরের ক্রেতারা আসেন। গোটা ত্রিপুরায় আগর চাষ সম্ভব। ত্রিপুরার প্রাকৃতিক সম্পদ বলতে  একমাত্র আগরই আছে যা দিয়ে ত্রিপুরার  অর্থনীতিকে  মজবুদ করার পাশাপাশি ব্যাপক কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কোটি কোটি টাকার আগর এখনো বাঁকা পথে ত্রিপুরা থেকে পাচার হচ্ছে। আগর ব্যবসায় আরো সরলীকরণ করলে ব্যবসায়ী, চাষী  ও সরকারের মুনাফা হবে আরো। রাজ্য বিধানসভায়  
ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে যে ত্রিপুরায় ১৫ কোটি ব্যয়ে  আগর ট্রেড  সেন্টার নির্মাণ হবে। সেই আগর  ট্রেড সেন্টারটি যাতে কদমতলায় হয় তার দাবি রাখছে অল ত্রিপুরা আগর এসোসিয়েশন। কদমতলা ব্লকের ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে চার কানির ভুমি পরিদর্শন করেছিলেন ব্লক চেয়ারম্যান সহ বন দপ্তরের আধিকারিকরা। এবার ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত রেজুলেশন করে সেই ভুমি আগর ট্রেড সেন্টারের জন্য দেওয়ার তৈরি হয়ে গেছে। পঞ্চায়েতের প্রধান, মেম্বাররা জানান আগরের ট্রেড সেন্টারটি নির্মাণ হলে পিছিয়ে 
পড়া ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের চেহারা বদলে যাবে। তারপাশাপাশি এলাকার আগর ব্যবসায়ী ও চাষিরা বেশ লাভবান হবেন। অপরদিকে অল ত্রিপুরা আগর এসোসিয়েশন নেতৃত্বরা মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে কদমতলার আগর অঞ্চল পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu