সবুজ ত্রিপুরা
৩১ মার্চ
বৃহস্পতিবার
তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর এবং কলাক্ষ্মম ডান্স একাডেমির যৌথ উদ্যোগে ও তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদের সৌজন্যে বুধবার সন্ধ্যায় তেলিয়ামুড়া টাউন হলে রাজ্যের তথ্য ও
সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর হাত ধরে শুভ উদ্বোধন হলো বসন্ত উৎসব-২০২২ এর। এদিনের এই অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়িকা তথা রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায়, তাছাড়া তেলিয়ামুড়া মহাকুমা শাসক মোহাম্মদ সাজ্জাদ পি,তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদের পৌর পিতা রূপক সরকার সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা।
এদিনের এই অনুষ্ঠান প্রদীপ প্রজ্জ্বলের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। এদিনের এই অনুষ্ঠানে মহাকুমার শিল্পীরা মনোমুগ্ধকর গান-নৃত্য পরিবেশন করেন। এদিনের এই অনুষ্ঠানে রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায় বলেন,, দুর্গা পুজোর সময় যেমন আমরা কাশফুলের দোলা লক্ষ্য করি ঠিক তেমনি ঋতুরাজ বসন্তের আগমন ঘটলে কোকিলের ডাক ও প্রত্যক্ষ করি। যদিও বর্তমান সময়ে কোকিল প্রায় বিলুপ্তির পথে। বসন্তের আগমন ঘটলে আমাদের মনে দোলা দেয়, রঙ খেলি আমরা হোলি খেলি, আনন্দ করি। তাছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালন করি, ঠিক তেমনি একটি অনুষ্ঠান হল এই বসন্ত উৎসব। এদিনের এই অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তার ভাষণে রাজ্যের তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন,, প্রেমের উৎসব, আনন্দের উৎসব, উল্লাসের উৎসব।
ভেঙ্গে পড়া যে সম্পর্ক গুলো রয়েছে সে গুলোকে জোড়া লাগিয়ে নতুনভাবে পথচলার যে উৎসব তার নামই বসন্ত উৎসব। তাছাড়া তিনি বলেন, ভারতবর্ষের ইতিহাস বাসুদেব কুটুম্বকম। ওয়ার্ল্ড ইজ মাই ফ্যামেলি, পৃথিবীর সবকটি দেশ আমার আত্মীয়, পৃথিবীর সবকটি মানুষ আমার আত্মীয়। তিনি আরো বলেন,, দেশের সংস্কৃতি, সমাজের সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েই মূলত রাজ্য সরকার তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে প্রতিটি জেলায়, প্রতিটি মহাকুমায় পালিত হচ্ছে এই রঙ ও প্রেমের উৎসব বসন্ত উৎসব।
0 মন্তব্যসমূহ