বিদ্যালয়ের আসভাব পত্রের অভাবে ছাত্র-ছাত্রীরা শ্রেণিকক্ষের মেঝেতে বসে শিক্ষা গ্রহণ করছে-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা 

১৬ মার্চ
বুধবার
তেলিয়ামুড়া  প্রতিনিধিঃ রাজ্য সরকার সমগ্র রাজ্যে শিক্ষার সুদূর প্রসার ঘটাতে চাইলেও তা সম্ভব পর হয়ে উঠছে না শিক্ষা 

দপ্তরের একাংশ আমলাদের বদান্যতার কারণে। এমনই এক বাস্তব চিত্র প্রত্যক্ষ করা গেল  তেলিয়ামুড়াতে। খবরে প্রকাশ তেলিয়ামুড়া শহর থেকে তুইসিন্দ্রাই বাড়ি দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের অবস্থান। তুইসিন্দ্রাই বাড়ী সহ তার আশপাশ এলাকার ছাত্র-ছাত্রীরা এই বিদ্যালয়েই পঠন-পাঠন করে। বর্তমান সময় কালে বিদ্যালয়টির অবস্থা কঙ্কালসার। বিদ্যালয়ের পাকা ঘরের পেলেস্তার গুলি খসে খসে পড়ছে। এছাড়াও বিদ্যালয়ের আসভাব পত্রের অভাবে ছাত্র-ছাত্রীরা শ্রেণিকক্ষের মেঝেতে বসে

শিক্ষা গ্রহণ করতে হচ্ছে দীর্ঘদিন যাবত ধরে। বিদ্যালয়টির এমন করুণ দশার চিত্র খোয়াই জেলার শিক্ষা অধিকর্তা সমরেন্দ্র নাথ দাস ও জানে। বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে খোয়াই জেলা শিক্ষা অধিকর্তা সমরেন্দ্র নাথ দাস বেশ কয়েকবার এই বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করতে এসেছিলেন। এছাড়াও তুইসিন্দ্রাই বাড়ী দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকবার খোয়াই জেলা শিক্ষা অধিকর্তাকে জানিয়েছিলেন বিদ্যালয়টির পরিবেশ পরিস্থিতির কথা। কিন্তু কোনো এক অজ্ঞাত কারণে খোয়াই জেলা শিক্ষা অধিকর্তা বিদ্যালয়টি সংস্কার অথবা নতুন পাকা স্কুল বাড়ি তৈরি করার জন্য কোন উদ্যোগ নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ। এদিকে স্কুলের জনৈক ছাত্র জানায়, বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ গুলি দীর্ঘ বছরের পুরনো। যার ফলে বিদ্যালয়ের পেলেস্তার গুলি খসে খসে পড়ছে। যেকোনো সময় খসে পড়া  পেলেস্তার গুলি দিয়ে অঘটন ঘটে যেতে পারে বিদ্যালয়ে। অন্যদিকে এই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক ক্ষোভের  সাথে জানান, প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে  ছাত্র-ছাত্রীদের বসার জন্য আসবাবপত্রের চূড়ান্ত সংকট। যার ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা শ্রেণিকক্ষের মেঝেতে বসেই শিক্ষা গ্রহণ করতে হচ্ছে। যা এ রাজ্যের শিক্ষা জগতের একটা নগ্ন চিত্র। অপরদিকে  বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জানান, বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ৭২০জন। বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ গুলির অবস্থা খুবই খারাপ। এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীরা আসবাবপত্রের অভাবে শ্রেণিকক্ষের মেঝেতে বসেই শিক্ষা গ্রহণ করতে হচ্ছে। 
তবে ওই প্রধান শিক্ষিকা এই বিদ্যালয়ে এক সপ্তাহের মত হবে কাজে যোগদান করেছেন। আদতে খোয়াই জেলা শিক্ষা অধিকর্তা সমরেন্দ্র নাথ দাস এর বদান্যতায় স্কুলের পঠন পাঠন যেমন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে তেমনি বিদ্যালয়ের পরিবেশ-পরিস্থিতি এক সংকটময় আকার ধারণ করছে। যদিও  তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়িকা কল্যাণী রায় কয়েকবার বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করলেও পরিকাঠামোগত ভাবে বিদ্যালয়টির কোন উন্নয়নই ঘটেনি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu