ধর্মঘটের প্রচারে খোয়াইয়ে লালঝান্ডার গর্জমান মিছিল ও দৃপ্ত জমায়েত-Sabuj Tripura

 


সবুজ ত্রিপুরা

২৬ মার্চ

শানিবার

খোয়াই  প্রতিনিধিঃ  আরো ব্যাপক অংশের শ্রমজীবী মানুষকে সামিল করে দুর্বার গণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে  কেন্দ্রীয় সরকারকে জনবিরোধী নীতির অভিমুখ পরিবর্তনে বাধ্য করতে হবে। 

বলেছেন সি পি আই ( এম)র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা জি এম পি -র  প্রবীণ নেতা অঘোর দেববর্মা। শনিবার খোয়াইয়ে এক জমায়েতে তিনি বক্তব্য রাখছিলেন।কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন ও স্বতন্ত্র ক্ষেত্রগুলোর সারা ভারত ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশন সমূহের যৌথ মন্চ আহূত " মানুষকে বাঁচাও, দেশ বাঁচাও " শ্লোগানকে সামনে রেখে সোমবার ও মংগলবারের দুদিনের দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটের প্রচারে শনিবার এক শ্লোগান সোচ্চার গর্জমান মিছিল শেষে আয়োজিত জমায়েতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অঘোর দেববর্মা এই আহ্বান জানান। শ্রমবিধি বাতিল করা, বিদ্যুৎ বন্টন ও সরবরাহ আইন 


বাতিল করা, কৃষি আইন প্রত্যাহারের পর সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার ছয় দফা দাবী পূরণ করা, রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রের বেসরকারীকরণ বন্ধ করা, গরীব পরিবারে খাদ্য ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর জন্য মাসে সাড়ে সাত হাজার টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা, রেগা প্রকল্পে ব্যায়বরাদ্দ বৃদ্বি করা, শ্রমজীবী মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা, স্কীম ওয়ার্কারদের বিধিবদ্ধ ন্য্যুনতম মজুরি ও সামাজিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা, কৃষি , শিক্ষা, স্বাস্হ্য ও অন্যান্য জরুরি গণপরিষেবা খাতে রাষ্ট্রীয় ব্যায়বরাদ্দ বৃদ্বি করা, অনিয়মিত শ্রমিক কর্মচারীদের নিয়মিতকরণ সহ সমকাজে সমবেতন নীতির রুপায়ন করা সহ বারো দফা দাবীতে দুদিনের ধর্মঘট। শনিবার খোয়াইয়ে রাজপথ প্রকম্পিত করে শত শত শ্রমজীবী নারী পুরুষ ধর্মঘটের প্রচারে দীর্ঘক্ষণ মিছিলে হাঁটেন। পায়ে পা মিলিয়ে বেলা বারোটার একটু পরে লালঝান্ডার গর্জমান মিছিল কবিগুরু পার্কের রবীন্দ্র মূর্তির পাদদেশ থেকে শুর হয়ে একে একে বনকর, জননেতা রঞ্জন রায় সেতু, নিবেদিতা পার্ক, এন সি অ্যাভেনিও হয়ে সুভাষপার্ক বাজারের ওপর দিয়ে স্বামী বিবেকানন্দ সরণী ঘুরে লালছড়া হয়ে আবার রবীন্দ্র মূর্তির পাদদেশে এসে শেষ হয়। মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন, সি পি আই ( এম)র  কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা জি এম পি-র প্রবীণ নেতা অঘোর দেববর্মা, জি এম পি-র  কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি রন্জিৎ দেববর্মা, সহ সম্পাদক পদ্ম কুমার দেববর্মা, কৃষক নেতা আলয় রায়,বিদ্যুৎ ভট্যাচার্য্য, শ্রমিকনেতা নির্মল বিশ্বাস, যুবনেতা পলাশ ভৌমিক, নারীনেত্রী গৌরী পাল প্রমুখ।মিছিল শেষে কবিগুরু পার্কে রবীন্দ্র মূর্তির পাদদেশে জমায়েতে বক্তব্য রাখেন জি এম পি -র প্রবীণ নেতা অঘোর দেববর্মা, রঞ্জিত দেববর্মা ও শ্রমিক নেতা নির্মল বিশ্বাস। সভাপতি ছিলেন কৃষক নেতা আলয় রায়।জমায়েতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অঘোর দেববর্মা বলেন, কেন্দ্রের সরকার সর্বস্তরের সাধারণ গরীব শ্রমজীবী মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। মানুষের জীবন জীবিকা আক্রান্ত। রুজি রোজগার শূন্যের কোঠায় এনে দাঁড় করিয়েছে। বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা নেই।দ্রব্যমূল্য আকাশছোঁয়া। রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে চলছে নির্বিচারে বেসরকারীকরণের ধূম।কৃষকের অবস্থা দুর্বিষহ। কৃষি আক্রান্ত।ব্যাংকেও চলছে বেসরকারীকরণ।শ্রমিকদের নায্য অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। রেগার প্রকল্পে ব্যায়বরাদ্দ দিন দিন কমিয়ে আনা হচ্ছে।

আক্রান্ত অর্থনীতি। সবধরনের সামাজিক কর্মসূচী থেকে সরকার হাত গুটিয়ে নিচ্ছে। এই অবস্থায় সারা দেশের মানুষ আজ আন্দোলনের ময়দানে সামিল।এই আন্দোলনের গতিকে আরো বেগবান করে কেন্দ্রীয় সরকারকে তার জনবিরোধী নীতির অভিমুখ পরিবর্তনে বাধ্য করতে হবে। আরো ব্যাপক অংশের মানুষকে লড়াই সংগ্রামে সামিল করতে হবে।সাধারণ ধর্মঘটের বার্তা সর্বত্র সব অংশের মানুষের মাঝে পৌঁছে দিতে হবে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu