পঞ্চাশ লক্ষ টাকার গাঁজা উদ্ধার করল বি এস এফ-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা

২৮ মার্চ

সোমবার

বক্সনগর  প্রতিনিধিঃ পাচার বাণিজ্যের একটি অন্যতম স্থান হল সোনামুড়া মহাকুমা। সোনামুড়া সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন  রাতের অন্ধকারে 

পাচার বাণিজ্য চালায় পাচারকারীরা।সাম্প্রতিক দেখা গেছে সোনামুড়া মহাকুমার কমলনগর, মতিনগর কুলুবাড়ি,আশাবাড়ি,রহিমপুর এসব এলাকা গুলোতে গাঁজা চাষ ছাড়াও ইয়াবা ট্যাবলেট,গরু পাচার,ফেনসিডিল,এসকফ এই সব ব্যবসায় জড়িত রয়েছে অনেক যুবকরা।একদিকে পাচারকারীরা রাতের অন্ধকারে বিএসএফকে ফাঁকি দিয়ে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া কেটে গরু পাচারসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য পাচার করে বাংলাদেশে। পাচারকারীদের রুখতে সর্বদা বদ্ধপরিকর বিএসএফ জওয়ানরা।


সাম্প্রতিক সীমান্তরক্ষী বাহিনীদের অতিরিক্ত  ক্ষমতা দেওয়ার পর থেকেই সীমান্তে মাদকদ্রব্য আটক করতে সক্ষম হচ্ছে জওয়ানরা।গত পাঁচ মাস যাবৎ সোনামুড়া মহকুমার বক্সনগর সহ বিভিন্ন এলাকার সীমান্তে ১৫০নং ব্যাটেলিয়ান জওয়ানরা আসার পর থেকেই বাংলাদেশের সীমান্তের পাচার করার আগেই অভিযান করে সাফল্য অর্জন করছেন।১৫০ নম্বর ব্যাটেলিয়ান বিএসএফ জওয়ানরা বক্সনগর সীমান্তে আসার পর থেকেই বেকায়দায় পাচারকারীরা।এরই অঙ্গ হিসেবে রবিবার কলমচৌড়া থানাধীন আশাবাড়ী দুপরিয়াবান্ধ এলাকায়  দুপুর ১ ঘটিকা থেকে বিকাল ৭  টা পর্যন্ত টানা ছয়ঘন্টা অভিযান করার পর গাঁজা গুলি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।বিএসএফের কাছে গোপন খবর আসে কলমচৌড়া থানাধীন আশাবাড়ী দুপরিয়াবান্ধ এলাকার জাতক মিয়ার বাড়ির একটি পরিত্যক্ত জায়গায় প্রচুর পরিমাণে নেশা সামগ্রী মজুদ করা রয়েছে।খবর পেয়ে বিএসএফ জওয়ানরা ও কলমচৌড়া থানার পুলিশ গিয়ে তল্লাশি চালায়।তল্লাশি করে প্রচুর গাঁজা উদ্ধার করে।জানা গেছে ২০টি নীল রঙের ড্রামে ১০০০কেজি শুকনো গাঁজা উদ্ধার করে বিএসএফ জওয়ানরা।যার বাজারজাত মূল্য প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ টাকা।

গাঁজাগুলি বাংলাদেশে পাচার করার উদ্দেশ্যে মাটির নিচে মজুদ করা ছিল।তবে বিএসএফ জওয়ানরা গাঁজা উদ্ধার করতে পারলেও পাচারকারীদের আটক করতে পারেনি।গাঁজা গুলি কার তাও এখনো চিহ্নিত করা যায়নি। পুলিশ এখনো কারোর বিরুদ্ধে মামলা নেয়নি।এই অভিযানে কলমচৌড়া থানার পুলিশ ১৫০ ব্যাটেলিয়ান বিএসএফের আধিকারিক জওয়ানরা এবং পুলিশ ও ডিআরআই যৌথ অভিযান করে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu