নিয়োগে মহিলাদের জন্য ৩৩% সংরক্ষণ, রাজ্য জুড়ে খুশীর হাওয়া-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা 

১৬ মার্চ
বুধবার
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ রাজ্য সরকারের সমস্ত সরকারী দপ্তরের চাকুরেতে নিয়োগের ক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষিত করার ঐতিহাসিক ঘোষণা করলেন দেশের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের মন্ত্রী অমিত সাহ। 

এই ঘোষনায় অত্যন্ত খুশি রাজ্যের মহিলারা। রাজ্যে বিজেপি আইপিএফটি জোট সরকারের চার বছর পূর্তি অনুষ্ঠান উপলক্ষে ৮ মার্চ রাজ্যে এসেছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতৃত্ব অমিত সাহ। ঐ দিন এসে আগরতলার আস্তবল ময়দানে জনসভা মঞ্চ থেকে এই ঘোষনা উনার। ৮ মার্চ  মঙ্গলবার ছিল বিশ্ব নারী দিবস । নারী দিবসের শুভ দিনে নারীদের জন্য এমন ঘোষণা নারীদের জন্য একটি বড় পাওনা।  অমিত সাহ-র আগমনকে কেন্দ্র করে গোটা রাজ্যের ছিল বিজেপির জোর প্রস্তুতি।  গোটা আগরতলাকেই সাজিয়ে তোলা হয়েছিল সবুজ গেড়ুয়া পদ্মফুলের ফ্লেগ পোস্টার ও ফ্লেক্সে। ৮ মার্চ মঙ্গলবার সকালে অমিত সাহ বিমানযোগে  ত্রিপুরায় এসেই সোজা চলেযান উদয়পুর ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের মন্দিরের। 

সেখানে গিয়ে  ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের মন্দিরের রোপার দরজার শুভ উদ্বোধন করেন।রৌপ ধাতুদিয়ে তৈরি বিশালাকারের দরজার উদ্বোধন করার সাথে সাথে  মায়ের চরণে পুজো দেন তিনি। এই উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল থেকেই উদয়পুর মাতাবাড়ীতে ছিল উৎসুক জনতার ভীড়। সবাই  সকাল থেকে এই শুভ মুহুর্তের সাক্ষী হতে অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন। মন্দির কতৃপক্ষ জানিয়েছেন দরজাটি সুদূর মহারাষ্ট্র থেকে তৈরি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সাহ মায়ের মন্দিরে উপহার স্বরূপ দান করেছেন। মঙ্গলবার ত্রিপুরেশ্বরী  মন্দিরে অমিত সাহের আগনকে কেন্দ্র করে গোটা মন্দিরের চারিদিকে ছিল কোঠর নিরাপত্তার ব্যাবস্থা । অমিত সাহ মন্দিরের দরজা উদ্বোধন ও পুজো সেরে চলেযান আগরতলা আনন্দনগরে জাতীয় ফরেনসিক বিশ্ব বিদ্যালয়ের ভূমি পৃজনে। সেখান থেকে সাহ হাজির হন আস্তাবল ময়দানেরর বিশাল জনসভায়।  মঙ্গলবার সকাল থেকেই আস্তাবল ময়দানে দলে দলে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা ভীড় জমাতে থাকেন।সময়ের সাথে সাথে গোটা আস্থাবল ময়দান কানায় কানায় ভরে উঠে সমর্থকদের ভীড়ে।  ভীড়ের পরিমান এতোটাই ছিলযে দূরদূরান্ত থেকে আসা বিজেপি কর্মীরা ভীড়ের জন্য মাঠেই প্রবেশ করতে পারেন নি। অমিত সাহ মঞ্চে উঠেই হাত নেরে সকলের প্রতি অভিবাদন জানান। খুব সংক্ষিপ্ত আলোচনার মধ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব আমিত সাহ ও উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।তারপর ভারত মাথার জয়ধ্বনি দিয়ে অমিত সাহ তার আলোচনা শুরু করেন।তিনি প্রথমেই বলেন।  বহু দিন পর আবার ত্রিপুরায় এসে উনি আপ্লুত। তিনি বলেন আগামী নির্বাচনের পূর্বে ২০১৮ সালে ভিশন ডকুমেন্টে দেওয়া প্রতিটি প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হবে। বিগত  চার বছরের রাজ্যের উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে বলেন।একটা সময় ত্রিপুরায় রাজনৈতিক হিংসা চলতো অনবরতো, প্রশাসনের উপর  কেডারদের নিয়ন্ত্রণ ছিল, উন্নয়নের কোন ছোয়া ছিল না। বিগত ২৫ বছরের কমিউনিস্টরা গরিবের নামে সরকার করেছে কিন্তু গরবদের জন্য কিছু করেনি।যে ত্রিপুরা ড্রাগস ও স্মাগলিংএ ভরপুর ছিল ঐ ত্রিপুরা এখন আত্মনির্ভরের দীশায় কাজ করছে।তিনি মঙ্গলবার মহারাজ বীর বিক্রম মানিক্য বাহাদুরের ভূয়সী প্রশংসা করেন।তিনি বলেন , ত্রিপুরা আজ ভারতের সাথে আছে তার একমাত্র কারন মহারাজা বীর বিক্রম মানিক্যের অবদান । রাজ্যের সৌন্দর্যায়নে রুদ্র সাগর নিরমহলের মত বহু আকর্ষণীয় স্থান তৈরি করেছে মহারাজা। অথচ কমিউনিস্টরা প্রতিনিয়ত মহারাজকে ভুলিয়ে দেবার চেষ্টা করেছে। আর বিজেপি মহারাজাকে শ্মরন করতে উনার নামেই বিমান বন্দরের নামাকরন করা হয়েছে।এভাবেই কেন্দ্রের সরকার মোদিজির নেতৃত্বে গোটা উত্তর পূর্বাঞ্চলের অষ্টলক্ষ্মীর ধারাবাহিক উন্নয়ন করে চলছে।উত্তর পূর্বের সাথে ত্রিপুরাও বিকাশের পথে এগোচ্ছে। 

তিনি বলেন বিজেপি জোট সরকার রাজ্যের প্রায় ৩৬ বিদ্যুতের নতুন সংযোগ দিয়েছে।৩ লক্ষ ঘরে পানিয় জলের পাইপ প্রবেশ করেছে।গত ৪ বছরে মানুষ মাথাপিছু আয় বেরে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা হয়েছে। এভাবেই সমাবেশ মঞ্চ থেকে তিনি রাজ্যের ও দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের বিবরণ তুলে ধরেন।সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতি মন্ত্রী প্রতীমা ভৌমিক, সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা, প্রদেশ বিজেপি সভাপতি ডঃ মানিক সাহা ও রাজ্য মন্ত্রী সভার সদস্যগন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu