ওই সময়ে বাম আমলের মাফিয়াদের দ্বারা বড়মুড়া টুরিস্ট লজের কিছু সংখ্যক আসবাবপত্র সহ কিছু মূল্যবান আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র ও লোপাট হয়ে যায়। রাজ্য রাজনীতিতে পটপরিবর্তনের পর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় বিজিপি আইপিএফটি সরকার। এতদিন বড়মুড়া টুরিস্ট লজ চত্বর আগাছার ছয়লাপ, নিশিকুটুম্বদের আড্ডাস্থল সহ বিভিন্ন নেশা পাচারকারী সহ নেশা সেবনকারীদের আড্ডার মূল কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠে। এই বিষয়টি তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদের নজরে আসে। সদ্য তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদের দায়িত্বভার গ্রহণ করা পৌর পিতা রূপক সরকার, তেলিয়ামুড়া বিধায়িকা কল্যাণী রায় সহ তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদের ডেপুটি সি.ই.ও শীর্ষেন্দু দেববর্মা'কে সঙ্গে নিয়ে বড়মুড়া টুরিস্ট লজ-টি পরিদর্শনে যান চলতি মাসের ২৬ তারিখে। এই লজের কঙ্কালসার বাস্তব চিত্র পরখ করে হতবাক হয়ে যান। কারণ, বিগত বাম আমলে কোন প্রকার মাস্টার প্ল্যান ছাড়াই যে উন্নয়ন কার্য সংগঠিত হয়েছিল তারই বাস্তব চিত্র পাওয়া যায়।
পরে এ প্রসঙ্গে তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদের পৌর পিতা রূপক সরকার জানিয়েছেন জায়গা সংকূলনের কারণে তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদের কার্যালয়টি স্থানান্তরিত করে বড়োমুড়া টুরিস্ট লজে নিয়ে যাওয়া হবে। এবং বর্তমান পৌর পরিষদ কার্যালয়টিতে তহশীল এবং ডি.সি.এম অফিস করা হবে। প্রসঙ্গে তেলিয়ামুড়া বিধায়িকা কল্যাণী রায় পর্যটন মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদ কার্যালয় টি বড়মুড়া টুরিস্ট লজে স্থানান্তরিত করবেন।তবে বড়মুড়া টুরিস্ট লজ-টিকে পুনরায় সংস্কার করতে রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে অর্থ ব্যায় করা হবে।
0 মন্তব্যসমূহ