তেলিয়ামুড়া দুষ্কি,মালাকতই, দুর্গাবণ, দুখাই জমাদার হাকিম পাড়া সহ কল্যাণপুরের বড়ময়দান প্রভৃতি এলাকা দিয়ে, ও.এন.জি.সি-র কূপ খননের কাজ করছিল এশিয়ান এনার্জি সার্ভিসেস লিমিটেড কোম্পানি। দুই বছরের বরাত নিয়ে কাজ শুরু করে এই কোম্পানি। কিন্তু দুই মাস কাজ করতে পারেনি তিপ্রা মথা গোষ্ঠীর কারণে। এই কোম্পানির সাথে যুক্ত ছিল প্রায় এক হাজার শ্রমিক। তিন শতাধিক গাড়ি শ্রমিক ও মালিক। কর্মসংস্থান হারিয়েছে তারা। শুধু তাই নয় কোম্পানির প্রায় কোটি টাকার যন্ত্রপাতি হাফিজ করে দেয়। কাজ বন্ধ করে দেওয়া কোম্পানির ৭৫% কর্মচারী কাজ হারিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে বলে কোম্পানির তরফে জানা গেছে। তিপ্রা মথার সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন দলীয় নেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন যারা ও.এন.জি.সি-র হয়ে কাজ করবে তাদের তিপ্রা মথা দল থেকে বহিষ্কৃত করে হবে। তিপ্রা মথা শুধুমাত্র এ.ডি.সি দখন করেই রাজ্যের উন্নয়ন মূলক কাজ ও মানুষজনের রোজগার বন্ধ করে দিলেও রাজ্য সরকার অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের ভূমিকায়। কোম্পানী গুলির পক্ষ থেকে বিভিন্ন জেলার জেলা শাসকের সঙ্গে দেখা করে কাজ করার ব্যাবস্থা করার দাবি জানালেও জেলাশাসকরা সামনে নির্বাচন বলে জনজাতি এলাকায় কোন প্রকার আইনী পদক্ষেপ নিচ্ছে না।যেখানে রাজ্যের তরুণ মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের প্রাকৃতিক সম্পদকে কাজে লাগিয়ে শিল্প গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছেন, যেখানে বেকারদের কর্মসংস্থানের কথা বলেন, বেরোজগারিদের রোজগারের কথা বলেন সেখানে ও.এন.জি.সি-র কাজে যুক্ত হওয়া হাজার হাজার রোজগারী শ্রমিক কর্মচারীর রোজগার বন্ধ হয়ে যাবার পর ও কেন
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চুপ তা নিয়ে যথেষ্ট সমালোচনার ঝড় বইছে।প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের যুবকদের রোজগার বেড়েছে বলে যে বুলি তা সবটাই ভাওতা নাকি আগামী বিধানসভায় দলকে টিকিয়ে রাখতে জনজাতি দের বিরুদ্ধে কোনো ব্যাবস্থা নিতে চাইছে না। তবে ঘটনা যাই হোক রাজ্যের সিকি ভাগ অংশ দখল করে তিপ্রা মথা যেভাবে রাজ্যের সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ করে দিচ্ছে আগামী দিনে তার মাশুল গুনতে হবে বলে ওয়াকি মহলের ধারণা।
0 মন্তব্যসমূহ