তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃতেলিয়ামুড়ার পৌরবাসীদের পানীয় জলের সমস্যা নিরসনে ডি.ডব্লিউ.এস দপ্তরের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের নিয়ে চাকমাঘাট ব্যারেজ সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শনে তেলিয়ামুড়ার বিধায়িকা কল্যাণী রায়।
জানা যায়, তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদের ১৫ টি ওয়ার্ডের মধ্যে পানীয় জলের কম-বেশি সমস্যা থাকলেও ১৩-১৪-১৫ নং ওয়ার্ড গুলিতে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। তাছাড়া তেলিয়ামুড়া পৌর এলাকা গুলিতে দিনে দুই বার করে পানীয় জল সরবরাহ করার কথা থাকলেও দিনে একবার ৩০ মিঃ করে যে পানীয় জল সরবরাহ করা হয় তা পৌরবাসীদের জন্য পর্যাপ্ত নয়।
আর সে কারণেই পানীয় জলের সমস্যা নিরসনে তেলিয়ামুড়া বিধায়িকা কল্যাণী রায়ের প্রচেষ্টায় তেলিয়ামুড়ার পৌরবাসীদের পানীয় জলের সমস্যা নিরসনে রাজ্য সরকার পাঁচ কোটি একান্ন লাখ টাকা ব্যায় করে উন্নত পরিষেবা সম্পন্ন পৌরবাসীদের জন্য পানীয় জলের সুবন্দোবস্ত করতে চলেছে। ইতিমধ্যেই সেই কাজের বরাত পেয়েছে বহিঃ রাজ্যের একটি নামি কোম্পানি। আর সে কারণেই ডি.ডাব্লিউ.এস দপ্তরের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা তেলিয়ামুড়া বিধায়িকা কল্যাণী রায়'কে সঙ্গে নিয়ে তেলিয়ামুড়া চাকমা ঘাট খোয়াই নদী সহ এর আশপাশ এলাকা পরিদর্শন করে।বলা চলে, তেলিয়ামুড়া বাসীর জন্য যে পানীয় জল পাইপ লাইনের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি সরবরাহ করা হয় সেটি মূলত খোয়াই নদীর জলের উপর একমাত্র ভরসা।
খোয়াই নদী থেকে উন্নত প্রযুক্তি ব্যাবহার করে তেলিয়ামুড়া ডি.ডাব্লিউ.এস দপ্তর থেকে খোয়াই নদীর জল বিশুদ্ধ করে পাইপ লাইনের মাধ্যমে তেলিয়ামুড়া এলাকার প্রত্যেকটি বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয় পানীয় জলের জন্য। সুখা মরসুমে যখন খোয়াই নদী'তে জল স্তর নীচে নামতে থাকে তখন জল সরবরাহ করছে যাতে বেগ পেতে না হয় তার জন্য আধুনিক সুবিধা যুক্ত মেশিন ব্যাবহার করে কিভাবে পৌরবাসীদের আরো বেশি করে জল সরবরাহ করা যায় তার জন্যই এদিনের এই প্ররিদর্শন।এ প্রসঙ্গে বিধায়িকা কল্যাণী রায় জানিয়েছেন,,, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পানীয় জলের সরবরাহের কাজ শেষ করাই লক্ষ্য। তাছাড়া তেলিয়ামুড়া পৌর পরিষদের ১৫ টি ওয়ার্ডে যাতে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে পানীয় জল সরবরাহ করা যায় তা তিনি নজর দেবেন।
0 মন্তব্যসমূহ