তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ আত্মনির্ভর ত্রিপুরা গড়ার ক্ষেত্রে রকমারি পাখি লালন পালন করেও স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব।
উড়ন্ত পাখিকে পোষ মানানো কষ্টসাধ্য ব্যাপার হলেও অমৃত পাব অক্লান্ত পরিশ্রম করে সেই পাখি থেকেই ডিম এবং ছানা প্রজনন করিয়ে দিব্যি পাখির ব্যাবসা করে স্বাবলম্বী তিনি। এমনই এক চিত্র উঠে এলো আমাদের ক্যামেরার লেন্সে তেলিয়ামুড়া মহকুমার বিবেকানন্দ নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত দক্ষিণ পুলিনপুর এলাকায়।
জানা যায়, এই এলাকার বাসিন্দা অমৃত দাস বিগত চার বছর যাবৎ নিজ বাড়িতে বিভিন্ন প্রজাতির বিদেশি পাখি যেমন বাজরিগার, ককটেল, ফিন্স, জাভা, লাভ বার্ড সহ রকমারি পাখি পালন করে বর্তমানে স্বাবলম্বী তিনি। রাজ্যের তরুণ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলছেন ত্রিপুরা রাজ্যের সকলকে আত্মনির্ভর হওয়ার কথা। মুখ্যমন্ত্রীর সেই আহবানে সাড়া দিয়ে তেলিয়ামুড়া মহাকুমার বিবেকানন্দ নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত দক্ষিণ-পুলিন পুর এলাকার বাসিন্দা অমৃত দাস বর্তমানে স্বাবলম্বী।তবে বিগত দুবছর যাবত করোনা মহামারীর দাপাদাপিতে উনার পাখির ব্যাবসা কিছুটা ক্ষতির সম্মুখীন হলেও বর্তমান সময় কালে ফের ব্যাবসা চাঙ্গা করে তুলেছেন তিনি। উনি উনার নিজ বাড়িতে প্রায় শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির পাখির ডিম বাচ্চা প্রজনন করে চড়া দামে বিক্রি করে আজ তিনি লাভবান। যদিও ঐসকল পাখি
গুলি লালন পালন করতে বনদপ্তরের কোন বৈধ কাগজপত্র প্রয়োজন হয় না বলে জানান তিনি। গোটা তেলিয়ামুড়া মহাকুমার মধ্যে অমৃত বাবুই একমাত্র ব্যাক্তি যিনি উনার নিজ বাড়িতে প্রায় কয়েক শতাধিক বিভিন্ন বিদেশি রকমারি পাখি লালন পালন করে চলেছেন দীর্ঘ প্রায় চার বছর যাবত। যা অনেকটা চেয়ে দেখার মত বিষয়। আর এই সকল পাখিগুলো মানুষজন কিনে নিয়ে নিজেদের বাড়িতে শখের বশে লালন পালন করে বলে জানান অমৃত বাবু।
0 মন্তব্যসমূহ