বক্সনগরপ্রতিনিধিঃরাজ্যের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকাকে করিডর বানিয়ে পাচার কার্য চালিয়ে যাচ্ছে একাংশ পাচারকারীরা।এপার থেকে ওপারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বিভিন্ন নেশা সামগ্রী।আবার ওপার থেকে এপারেও নেশার রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।ইদানিংকালে গরু পাচারের রমরমা বাণিজ্য সীমান্ত এলাকা গুলোতে কেন্দ্র করে চালিয়ে যাচ্ছে পাচারকারীরা।
সোমবার সাতসকালে গরু পাচার কালে বিএসএফের হাতে আটক গাড়িসহ দশটি গরু।কামথানা বিওপির দায়িত্বে থাকা ১৫০ নম্বর ব্যাটেলিয়ান বিএসএফ জোয়ানদের হাতে আটক হয় গাড়ি ও দশটি গরু।এই গরু গুলির বাজার মূল্য আনুমানিক ৪ লক্ষ টাকা।কামথানা বিওপির দায়িত্বে থাকা ১৫০ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের বিএসএফ বিশালগড় থেকে TR01P-1775 নাম্বারের গরু বোঝাই গাড়ি দাওয়া করতে করতে কলমচৌড়া থানাধীন পুটিয়া সীমান্তের পাশাপাশি একটি স্থানে পাচার হওয়া গরু গুলি আটক করতে সক্ষম হয়।দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত দিয়ে অবৈধ গরুগুলি পাচার হচ্ছে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে।পুলিশ সেই অবৈধ গরুগুলির নম্বরবিহীন গাড়ি গুলো দেখলে ও মাঝে মাঝে না দেখার ভান করে থাকেন আবার মাঝে মাঝে জরিমানা কেটে ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ। আর সেই নম্বর বিহীণ গরু বোঝাই গাড়ি তীব্রগতিতে চলাচলের রাস্তা দিয়ে ছোট-বড় যান চলাচলে খুবই কষ্টকর।
বিশেষ করে বিশালগড়, কৈয়েরডেপা,কোনাবন, কমলাসাগর,কামথানা ও বক্সনগর পুটিয়া সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া কেটে কিংবা বিএসএফকে দোলোদিয়ে বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছে অবৈধ গরু এবং বিভিন্ন সামগ্রী।এ দিন সকাল ১১ ঘটিকার সময় বিশালগড় থেকে দাওয়া করতে করতে কলমচৌড়া থানাধীন পুটিয়া সীমান্তের জঙ্গলের কাছাকাছি স্থানে গিয়ে বিএসএফ পাচারকারীর গরুবোঝাই গাড়িটি আটক করার জন্য পিছনে ধাওয়া করতে থাকলেও গাড়ি থামায়নি পাচারকারীরা।পরবর্তী সময়ে বিএসএফ জওয়ানরা পাচারকারীর গরুবোঝাই গাড়ির মধ্যে রাবার বুলেট ছুড়তেও দ্বিধাবোধ করেননি।অবশেষে পুটিয়া সীমান্তের জঙ্গলে গিয়ে গাড়িটিকে আটক করতে সক্ষম হয়।পরে জোয়ানরা উদ্ধারকৃত গরুগুলি কামথানার বিওপিতে নিয়ে যাওয়া হয়।এলাকার জনগণের অভিযোগ পুলিশ এবং বিএসএফ আরো বেশি সতর্ক হলে সীমান্ত দিয়ে এভাবে অবৈধ গরু পাচার এবং নেশা সামগ্রী পাচারে ব্যর্থ হবেন পাচারকারীরা।তবে এই গরু পাচারের যুক্ত থাকা মূল মাস্টারমাইন্ড হলেন পুটিয়া এলাকার শাহা আলম,ঐনিক আহমেদ,মো সেলিম,বেশ কয়েকজন তাদের নামে পুটিয়া সীমান্তে হাজার হাজার গরু আসে সূত্রের খবর ।
0 মন্তব্যসমূহ