কিন্তু সাহা বেকারী সংলগ্ন এলাকার গ্রামবাসীদের কাছে প্রথম থেকেই খবর ছিল ভূষণ শুক্রবার এই নেশাজাতীয় সামগ্রী নিয়ে রেলপথে তেলিয়ামুড়ায় আসছে। এলাকাবাসীরা তুই সবার স্থিত রেলস্টেশনে ভূষণ কে একবার পাকড়াও করতে চাইলেও গ্রামবাসীরা ব্যার্থ হয়। পরবর্তীতে গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে ভূষণ রেলস্টেশন থেকে পালিয়ে তেলিয়ামুড়া অনুকুল ঠাকুর আশ্রম সংলগ্ন রাকেশ বণিক তথা কুডু-র বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরবর্তীতে ভূষণ সাহা বেকারি সংলগ্ন এলাকায় নেশা সামগ্রী ডেলিবারী দিতে গেলে ওই এলাকা থেকে শুক্রবার বিকেল নাগাদ পাকড়াও করে হাতে-নাতে নেশা সামগ্রী সহ। এবং ভূষণ কে উত্তম-মধ্যম দিয়ে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। যদিও এলাকাবাসীদের উত্তম-মধ্যম খেয়ে ভূষণ তেলিয়ামুড়ার ১ নেশা কারবারির নাম স্বীকার করে নিজ মুখে। নেশা জগতের মূল বাদশা তথা রাকেশ বণিক ওরফে কুডু। তবে এলাকাবাসীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে এক ব্যাক্তি বলেন নেশা কারবারিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে গেলে তেলিয়ামুড়া থানার পক্ষ থেকে কোনো প্রকার সাহায্য সহযোগিতা পাওয়া যায় না। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশের কাছে জানতে চাইলে, তদন্তের দোহাই দিয়ে পুলিশ বাবুরা মুখে কুলুপ এঁটেছেন।
তবে লোকমুখে গুঞ্জন চলছে বার-বার তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ বাবুদের জারি করা দুর্বল চার্জশিটের কারণেই পার পেয়ে যায় নেশা জগতের কুডু, ভূষণের মতো নেশা কারবারিরা। তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার আহ্বান রেখেছেন তবে হয়তো'বা তেলিয়ামুড়ার থানার কিছু পুলিশ আধিকারিকের বদান্যতায় মুখ্যমন্ত্রীর নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার অঙ্গীকার কালিমালিপ্ত হচ্ছে বলে অভিমত শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সচেতন মহলের।
0 মন্তব্যসমূহ