হাসপাতালে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা 

২৯ জানুয়ারি
শনিবার
বক্সনগর প্রতিনিধিঃ রাজ্যে থেমে নেই খুন,সন্ত্রাস, আত্নহত্যা,অপহরণ,ধর্ষণ,নারী নির্যাতন সহ অপরাধমূলক ঘটনা।এমনই একটি ঘটনা ঘটে কলমচৌড়া থানাধীন বক্সনগর সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।

এক যুবকের হাসপাতালে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য বিরাজ করছে।ঘটনাটি ঘটে কলমচৌড়া থানাধীন আশাবাড়ী দুই নং ওয়ার্ড এলাকায়।ঘটনার বিবরণে জানা যায় শুক্রবার বিকাল তিন ঘটিকার সময় প্রচন্ড পেট ব্যথা নিয়ে বক্সনগর সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি হন সুমন মিয়া।কর্তব্যরত চিকিৎসক তার চিকিৎসা করে হাসপাতালে একদিন ভর্তি থাকার জন্য অনুরোধ করেন।তার মার কথা অনুযায়ী হাসপাতালে তার চিকিৎসায় সারারাত্র ভালোই ছিলেন।

কিন্তু ভোরবেলা তার কাছ থেকে টয়লেটের নাম করে হাসপাতালের ওয়ার্ড থেকে বের হয়।কিন্তু অনেকক্ষণ পর হাসপাতালের এক সাফাই কর্মী বারান্দা পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখতে পায় সুমন মিয়া(২৭) বারান্দায় একটি রডের সাথে ক্যাবলের তার দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে রয়েছে।তখন সাফাই কর্মী চিৎকার করাতে হাসপাতালে অন্যান্য চিকিৎসাধীন রোগীরা সহ তার মা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে দেখতে পায় তার ছেলে ফাঁসিতে ঝুলে রয়েছে। পরবর্তী  সময়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ সকাল ৮ ঘটিকার সময় এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। বর্তমানে তার মৃতদেহটি হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।ময়না তদন্ত করার পর তাঁর মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।এই দিকে জানা যায় আগামী সোমবার তার বিবাহের তারিখ ছিল।বিবাহের দুপক্ষের মধ্যে প্রস্তুতিও প্রায় শেষের পথে।আর তখনই গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার বিকালে হঠাৎ করে তার পেট ব্যাথা শুরু হয়ে যায়।তবে কি এই পেটব্যথা অন্য কোন নাটক হতে পারে এ নিয়েও প্রশ্ন জাগছে অভিজ্ঞমহলের।অনেকেরই ধারণা তার মেয়ে পছন্দ হয়নি। মা-বাবা জোরপূর্বক বিবাহের দিন তারিখ তৈরি করে ফেলেছেন।
হয়তো বিবাহ সংক্রান্ত কারণেই সুমন মিয়া ফাঁসিতে ঝুলে আত্নঘাতী হয়েছেন। অপরদিকে হাসপাতালের চরম উদাসীনতার অভিযোগ উঠে আসে।হাসপাতালে নেই কোন নাইট গার্ড।ডাক্তার-নার্স সহ সমস্ত রোগীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে প্রত্যহ।যদি নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকতো হয়তো এই আত্মহত্যার   ঘটনাটি নাও ঘটতে পারতো, অনেকের ধারণা।তবে ঘটনাটির সুষ্ঠ তদন্ত করছে পুলিশ।এখন দেখার বিষয় ঘটনাটি কোন দিকে মোড় নেয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu